পটুয়াখালীর যুবক ক্বারী সাইয়্যেদ মুসতানজিদ বিল্লাহ রব্বানীর কোরআন তেলাওয়াতে মুগ্ধ যুক্তরাষ্ট্রবাসী
ইসলামি সভ্যতা ও সংস্কৃতি বিকাশে বাংলাদেশের অবদান অনস্বীকার্য। এদেশে ইসলামি সংস্কৃতি চর্চার ইতিহাস অনেক প্রাচীন।
অস্ট্রেলিয়ায় অনুষ্ঠিত জার্মান-অষ্ট্রেলিয়ান এশিয়া প্যাসিফিক রিজিওনাল কনফারেন্সে যোগদানরত বাণিজ্যমন্ত্রী তোফায়েল আহমেদ বলেছেন, রোহিঙ্গাদের উপর মিয়ানমার সরকার অমানিক আচরণ করছে। রোহিঙ্গাদের ঘরবাড়ি পুড়িয়ে দেয়া হচ্ছে এবং তাদের হত্যা, ধর্ষণসহ নানা ভাবে নির্যাতন করা হচ্ছে। ফলে রোহিঙ্গারা জীবন বাচাঁতে বাংলাদেশে আশ্রয় গ্রহণ করেছে। বাংলাদেশে আশ্রয় গ্রহণকারী রোহিঙ্গার সংখ্যা পূর্বেরসহ এখন প্রায় ১০ লাখ। এ বিপুল সংখ্যাক রোহিঙ্গা বাংলাদেশের জন্য বড় সমস্যা। বাণিজ্যমন্ত্রী বলেন, বঙ্গবন্ধু কন্যা প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা মিয়ানমার থেকে বিতারিত রোহিঙ্গাদের একান্তই মানবিক কারনে বাংলাদেশে সাময়িক আশ্রয় প্রদান করেছেন। তাদের বাসস্থান, খাদ্য, চিকিৎসাসহ যথাসম্ভব সবধরনের মানবিক সহায়তা প্রদান করা হচ্ছে। এদের দ্রুত মিয়ানমারে ফিরিয়ে নেওয়া প্রয়োজন। নানা কৌশলে মিয়ানমার সরকার বিষয়টিকে বিলম্বিত করছে। রোহিঙ্গাদের নিজ দেশে ফিরিয়ে নেয়ার জন্য আন্তর্জাতিক চাপ বাড়ানো প্রয়োজন। মন্ত্রী বলেন, বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা জাতিসংঘের সাধারণ পরিষদের ৭২তম সেশনে রোহিঙ্গা সংকটের স্থায়ী সমাধানে যে ৫ দফা প্রস্তাব উপস্থাপন করেছেন তা যথাযথ ভাবে বাস্তবায়নে অস্ট্রেলিয়ার সহযোগিতা প্রয়োজন। একই সাথে সমস্যা সমাধানে বিশ^জনমত সৃস্টিতে অস্ট্রেলিয়ার সহযোগিতা কামনা করা হয়। অস্ট্রেলিয়া মায়ানমারের রোহিঙ্গাদের নিজ দেশে ফিরিয়ে নেয়ার জন্য মায়ানমার সরকারের উপর চাপ বৃদ্ধিসহ গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখবে বলে বাংলাদেশ আশা করে। বাণিজ্যমন্ত্রী গতকাল সোমবার অস্ট্রেলিয়র পার্থ শহরে ক্রাউন টুওয়ার্স হোটেলে অস্ট্রেলিয়ার পররাষ্ট্রমন্ত্রী জুলি বিশোপ এর সাথে একান্ত বৈঠকের সময় এসব কথা বলেন। তিনি এ সময় বাংলাদেশ সরকারের পক্ষ থেকে অস্ট্রেলিয়ার পররাষ্ট্রমন্ত্রীকে এ সংক্রান্ত একটি পত্র হস্তান্তর করেন।
তোফায়েল আহমেদ অস্ট্রেলিয়ার পররাষ্ট্রমন্ত্রীকে বলেন, বাংলাদেশ অর্থনৈতিক ও সামাজিক ক্ষেত্রে দ্রুত এগিয়ে যাচ্ছে। অস্ট্রেলিয়ার সাথে বাংলাদেশের বাণিজ্য বৃদ্ধির উজ্জল সম্ভাবনা রয়েছে। অস্ট্রেলিয়া বাংলাদেশকে ডিউটি ও কোটা ফ্রি বাণিজ্য সুবিধা দিচ্ছে, সেজন্য অস্ট্রেলিয়ার প্রতি বাংলাদেশ কৃতজ্ঞ। বাংলাদেশ থেকে অস্ট্রেলিয়ায় এয়ার কার্গো চলাচল বন্ধ রয়েছে। বাংলাদেশের বিমানবন্দরের নিরাপত্তা ব্যবস্থা নিশ্চিত করতে বিশেষ ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে। এখন বিমান বন্দরের নিরাপত্তা অন্য যে কোন সময়ের চেয়ে অনেক ভালো। অস্ট্রেলিয়া কার্গো উড়োজাহাজ চলাচল চালু করতে পারে। বাণিজ্য প্রতিবন্ধকতা দূর করে উভয় দেশের বাণিজ্য সহযোগিতা বৃদ্ধি করলে আগামী ৪ থেকে ৫ বছরের মধ্যে বাণিজ্য ২ বিলিয়ন মার্কিন ডলার ছাড়িয়ে যাবে। এ মহুর্তে দু’দেশের বাণিজ্য প্রায় ১ দশমিক ৩ বিলিয়ন মার্কিন ডলার। এর আগে বাণিজ্যমন্ত্রী ক্রাউন টুওয়ার্স হোটেলে ক্রাউন কনভেনশন সেন্টারের দি অস্ট্রা-২ তে অনুষ্ঠিত ‘জার্মান এশিয়া-প্যাসিফিক বিজনেস অ্যাসোসিয়েশন (ওএভি) ব্রেকফাষ্ট ঃ ইন্ডয়ান সাবকন্টিনেন্ট’ বিষয়ক সেশনে বক্তব্য রাখেন।
‘জার্মান এশিয়া-প্যাসিফিক বিজনেস অ্যাসোসিয়েশন(ওএভি)-এর চেয়ারম্যান এন্ড চিফ এক্সিকিউটিভ অফিসার জুংহেইনরিস এর সঞ্চালনায় সেশনে অন্যান্যের মধ্যে বক্তব্য রাখেন নয়াদিল্লীতে নিযুক্ত জার্মানের রাষ্ট্রদূত ড. মার্টিন নে, ইন্ডো-জার্মান চেম্বার অফ কমার্সের ডিরেকটর জেনারেল বার্নহার্ড স্টিনরুয়েক। এরপর বাণিজ্যমন্ত্রী জার্মানীর ইকোনমিক এফেয়ার্স এন্ড এনার্জী বিষয়ক জার্মান পালিয়ামেন্টারি স্টেট সেক্রেটারি উইবেকমিয়ার-এর সাথে একান্ত বৈঠক করেন। জার্মানী এখন বাংলাদেশের দ্বিতীয় বৃহত্তম রপ্তানি বাজার। গত বছর বাংলাদেশ জর্মানীতে ৬ হাজার ৩০৩ দশমিক ৬৩ মিলিয়ন মার্কিন ডলার মূল্যের পণ্য রপ্তানি করেছে, একই সময়ে আমদানি করেছে ৮২৭ দশমিক ৯০ মিলিয়ন মার্কিন ডলার মূল্যের পণ্য।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।