ইভিএম-এ ভোট কেন?
আগামী জাতীয় নির্বাচনে ইভিএম-এ ১৫০ আসনে ভোট গ্রহণের পরিকল্পনার কথা জানিয়েছেন প্রধান নির্বাচন কমিশনার। কাকতালীয় কিনা জানি না, ১৫০ সংখ্যাটা আমাদের এর আগে চিনিয়েছিলেন রকিবুল
জানা যায়, মিয়ানমারে এইআইভি নিয়ে বসবাস করা মানুষ বাংলাদেশের চেয়ে ১৯ গুণ বেশি। ইতোমধ্যে বাংলাদেশে আসা রোহিঙ্গাদের মধ্য থেকে ৫৫ জনের শরীরে এইচআইভি পজেটিভ পাওয়া গিয়েছে এবং ধারণা করা হচ্ছে, প্রায় সাড়ে চার হাজার রোহিঙ্গা এইআইভিতে আক্রান্ত রয়েছে। আগে চলে আসা রোহিঙ্গাদের মধ্যে দশজন সনাক্ত করা হয়েছিল এবং এ নিয়ে এখন এইচআইভি সনাক্তকৃত রোহিঙ্গার সংখ্যা ৬৫!
দশ লাখ রোহিঙ্গার মধ্যে সাড়ে চার হাজার রোহিঙ্গা যদি এইচআইভি আক্রান্ত হয় তবে বিষয়টি কতটা উদ্বেগজনক হতে পারে আমাদের জন্য ভাবতে পারেন? শোনা যাচ্ছে, অনেক রোহিঙ্গাই পতিতা বৃত্তির সাথে জড়িয়ে পড়ছে। এছাড়াও কিছুদিন আগে শোনা যাচ্ছিল বাংলাদেশিরা রোহিঙ্গাদের বিয়ে করার ব্যাপারে আগ্রহ দেখাচ্ছে এমন খবর। কক্সবাজারে উখিয়াতে অবস্থানরত রোহিঙ্গা যারা রয়েছে তারা সংখ্যার দিক থেকে অনেক এবং তা প্রায় আট লাখেরও কাছাকাছি। এত বৃহৎ জনগোষ্ঠির প্রতি খেয়াল রাখা আমাদের দেশের জন্য কঠিন হলেও প্রশাসন এতদিন খুব দক্ষতার সাথে তা করে এসেছে।
একদিকে শিশুদের মায়াভরা মুখ আর অন্যদিকে এই হতাশাজনক চিন্তাগুলো আমাদের বার বার হতভম্ব করে দিচ্ছে। সরকার দ্রুত অনেক ব্যবস্থা নিলেও অন্যদেশের নাগরিককে একটি দেশে থাকবার মতো জায়গা তৈরি করে দেবার পর সমস্ত সেবা দেওয়া যথেষ্ঠ কঠিন। সবচেয়ে বিব্রতকর ও হতাশার কথা হল রোগ ছড়িয়ে পড়ার আশংকা এবং নিরাপত্তা বিঘিœত হওয়া। আরও বেশি আকারে রোহিঙ্গারা ছড়িয়ে পড়লে জঙ্গি তৎপরতা নিয়েও বড় ধরনের শঙ্কা তৈরি হওয়ার বিষয়টি উড়িয়ে দেওয়া যায় না।
রোহিঙ্গাদের রাখাইনে ফেরত পাঠানোর ব্যাপারে সব দেশ কথা বললেও এখনও মিয়ানমার চুপচাপই রয়েছে। কোন ধরনের নির্দিষ্ট উদ্যোগের ব্যাপারে তারা এখনও নিশ্চুপ থাকায় বিষয়টি আমাদের জন্য আরও বেশি উদ্বেগের কারণ হয়ে দাঁড়িয়েছে।
রোহিঙ্গাদের দ্বারা কোন বড় ধরনের রোগ ছড়িয়ে পড়ার আশঙ্কা না থাকলেও এইচআইভির ব্যাপারে আরও সতর্ক হতে হবে সরকারকে। এইচআইভি সনাক্তকৃত রোহিঙ্গাদের আলাদা করে চিকিৎসা দেওয়া প্রয়োজন। একসাথে এরা থাকলে সংক্রমণ আরও বেড়ে গিয়ে আমাদের জন্য বড় হুমকির কারণ হতে পারে। সার্বিক নিরাপত্তার জন্য রোহিঙ্গারা যাতে বাংলাদেশের যে কোন জায়গায় ছড়িয়ে পড়তে না পারে সে ব্যাপারে আরও কঠোর দৃষ্টি দিতে হবে।
খুব দ্রুত রোহিঙ্গাদের দেশে ফেরত পাঠাতে হবে। এর কোন বিকল্প নেই। মিয়ানমারকে চাপ দেওয়ার প্রক্রিয়া আরও দ্রুততর করতে হবে। চেকপোস্টে নিরাপত্তা আরও জোরদার করতে হবে। প্রয়োজেন প্রতিটি চেকপোস্টে এজন করে এইআইভি বিষয়ক সেবা দানকারী ডাক্তার নিয়মিত পর্যবেক্ষণের জন্য রাখতে হবে।
লেখক : সদস্য, উপজেলা দুর্নীতি প্রতিরোধ কমিটি ও রসায়নবিদ
শ্রীপুর, গাজীপুর
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।