গুলিস্তানের বিস্ফোরণে নিহত ১৬ জনের নাম-পরিচয় পাওয়া গেছে
রাজধানীর গুলিস্তানের সিদ্দিক বাজার এলাকায় ভয়াবহ বিস্ফোরণের ঘটনায় এখন পর্যন্ত ১৬ জন নিহত হয়েছেন। এ
অধস্তন (নিম্ন) আদালতের বিচারকদের চাকরি সংক্রান্ত শৃঙ্খলা ও আচরণ বিধিমালার গেজেট প্রকাশের ‘সুরাহা করতে’ আপিল বিভাগের সঙ্গে বসতে চান আইনমন্ত্রী আনিসুল হক। আগামী বৃহস্পতিবার এ আলোচনা হতে পারে বলে জানিয়েছেন অ্যাটর্নি জেনারেল মাহবুবে আলম।
রোববার দায়িত্বপ্রাপ্ত প্রধান বিচারপতি মো. আবদুল ওয়াহ্হাব মিঞার নেতৃত্বে ৫ সদস্যের আপিল বিভাগে রাষ্ট্রপক্ষের করা চার সপ্তাহ সময় আবেদনের শুনানিকালে অ্যাটর্নি জেনারেল এ কথা বলেন। এ সময় আদালত গেজেট প্রকাশে আগামী ৩ ডিসেম্বর পর্যন্ত সময় দেন।
এরপর অ্যাটর্নি জেনারেল নিজ কার্যালয়ে সাংবাদিকদের বলেন, ‘এ মামলায় আমরা আবারও ৪ সপ্তাহ সময় নিয়েছি। আদালতকে জানিয়েছি, এ বিষয়ে আলোচনার জন্য আইনমন্ত্রী ওনাদের সঙ্গে বসতে চান। আগামী বৃহস্পতিবার এ বৈঠক হতে পারে।’
এক প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, ‘আগের প্রধান বিচারপতি সুরেন্দ্র কুমার সিনহা যেভাবে চাইতেন, রুলসটা যেভাবে হোক, তাতে রাষ্ট্রপতির ক্ষমতায় নানা রকম কার্টেল হওয়ার একটা বিষয় দাঁড়িয়ে গিয়েছিল। তাই সুপ্রিম কোর্টের সঙ্গে আইন মন্ত্রণালয়ের আলাপ আলোচনার মাধ্যমে জিনিসটা কিভাবে সুষ্ঠুভাবে নিষ্পত্তি হতে পারে সরকার সে চেষ্টা করছে। গতকাল আইনমন্ত্রীর সঙ্গে আমার এ ধরণের কথা হয়েছে।’
গত ৮ অক্টোবর রাষ্ট্রপক্ষের ৪ সপ্তাহ সময় আবেদনের প্রেক্ষিতে ৫ নভেম্বর পর্যন্ত সময় বাড়িয়ে ছিলেন দায়িত্বপ্রাপ্ত প্রধান বিচারপতির নেতৃত্বে পাঁচ বিচারপতির আপিল বেঞ্চ।
এরও আগে গত ২০ আগস্ট প্রধান বিচারপতির নেতৃত্বে ছয় বিচারপতির আপিল বেঞ্চ শুনানি শেষে গত ৮ অক্টোবর পর্যন্ত গেজেট প্রকাশের সময় বাড়িয়ে ছিলেন। তার আগে গত ৬ আগস্ট দুই সপ্তাহ সময় দিয়ে আলাপ-আলোচনা করার কথা বলেছিলেন সর্বোচ্চ আদালত।
উল্লেখ্য, ১৯৯৯ সালের ২ ডিসেম্বর মাসদার হোসেনের মামলায় (বিচার বিভাগ পৃথককরণ) ১২ দফা নির্দেশনা দিয়ে রায় দেয়া হয়। ওই রায়ের ভিত্তিতে নিম্ন আদালতের বিচারকদের চাকরির শৃঙ্খলা সংক্রান্ত বিধিমালা প্রণয়নের নির্দেশনা ছিল। আপিল বিভাগের এ নির্দেশনার পর গত বছরের ৭ মে আইন মন্ত্রণালয় একটি খসড়া শৃঙ্খলা সংক্রান্ত বিধি প্রস্তুত করে সুপ্রিম কোর্টে পাঠায়।
গত বছরের ২৮ আগস্ট শুনানিকালে আপিল বিভাগ খসড়ার বিষয়ে বলেন, শৃঙ্খলা বিধিমালা সংক্রান্ত সরকারের খসড়াটি ছিল ১৯৮৫ সালে সরকারি কর্মচারী (শৃঙ্খলা ও আপিল) বিধিমালার হুবহু অনুরূপ। যা মাসদার হোসেন মামলার রায়ের পরিপন্থী।
এর পর সুপ্রিম কোর্ট একটি খসড়া বিধিমালা করে আইন মন্ত্রণালয়ে পাঠান। গত ১৬ জুলাই প্রধান বিচারপতির সঙ্গে সাক্ষাৎ শেষে এ সংক্রান্ত গেজেট শিগগিরই প্রস্তুত হবে বলে আশা প্রকাশ করেন আইনমন্ত্রী। পরে ফের ২৭ জুলাই বিকেলে প্রধান বিচারপতির সঙ্গে সাক্ষাৎ করে খসড়াটি হস্তান্তর করেন আইনমন্ত্রী আনিসুল হক।
ওই খসড়া গ্রহণ না করে প্রধান বিচারপতি মতপার্থক্য নিরসনে আইনমন্ত্রী, অ্যাটর্নি জেনারেল ও আইন মন্ত্রণালয়ের বিশেষজ্ঞদের আলোচনায় ডাকলেও আইনমন্ত্রী এখন পর্যন্ত সুপ্রিম কোর্টে যাননি।
এ কারণে ক্ষোভ প্রকাশ করে গত ২০ আগস্ট প্রধান বিচারপতি এসকে সিনহা অ্যাটর্নি জেনারেলকে বলেন, ‘এতই আমরা ইয়ে হয়ে গেলাম… আলোচনা পর্যন্ত করলেন না?’
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।