Inqilab Logo

শনিবার ৩০ নভেম্বর ২০২৪, ১৫ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৭ জামাদিউল সানী ১৪৪৬ হিজরি

’২৫ নাগাদ অধিকাংশ বিলাসী পণ্যের ভোক্তা হবে চীন

ইনকিলাব ডেস্ক: | প্রকাশের সময় : ৫ নভেম্বর, ২০১৭, ১২:০০ এএম

ভারত, জাপান, চীন ও দক্ষিণ কোরিয়ার মতো এশিয়ার উন্নত ও উদীয়মান বাজারের দিকে ছুটছে বিলাসবহুল পণ্য প্রস্তুতকারক প্রতিষ্ঠানগুলো। একদিকে উচ্চমধ্যবিত্ত শ্রেণীর উত্থান এবং অন্যদিকে এশিয়ার বাজারে ক্রমাগত বিলাসী পণ্যের চাহিদা বাড়তে থাকায় এসব দেশে বিনিয়োগে আগ্রহী হয়ে উঠছে তারা। তবে এর মধ্যেও চীনের অবস্থান উল্লেখযোগ্য। কেননা বিলাসী পণ্য কেনার ক্ষেত্রে চীনা ভোক্তাদের মধ্যে উচ্চাকাক্সক্ষা অনেক বেশি লক্ষণীয়। পাশাপাশি দেশের বাইরে উচ্চশুল্ক দিয়ে বিলাসী পণ্য কেনার চেয়ে দেশের অভ্যন্তরে এসব পণ্য কেনার ক্ষেত্রে তাদের আগ্রহ অনেক বেশি। সব মিলে পশ্চিমা বিলাসী ব্র্যান্ড ও প্রসাধনী প্রস্তুতকারীদের কাছে চীনের বাজারের গুরুত্ব অনেক বেশি। বিগত ৪০ বছরে এশিয়ার বাজার ব্যক্তিগত বিলাসী পণ্য, বিশেষ করে কাপড় ও জুয়েলারির সর্ববৃহৎ বাজারে পরিণত হয়েছে। মার্কিন বহুজাতিক ব্যবস্থাপনা-বিষয়ক প্রতিষ্ঠান বেইন অ্যান্ড কোম্পানির এক জরিপের ফলাফল বলছে, ২০১৬ সালে বিলাসী পণ্যের অর্ধেকের বেশি বিক্রি হয়েছে এশিয়ায়। এদিকে প্যারিসভিত্তিক আন্তর্জাতিক বিলাসী পণ্য প্রস্তুতকারক প্রতিষ্ঠান কেরিংয়ের দেয়া তথ্যানুযায়ী, চলতি বছরের প্রথম প্রান্তিকে এলভিএমএইচ, বারবেরি ও কেরিংসহ পশ্চিমা বিলাসবহুল পণ্যের ব্র্যান্ডগুলো এশিয়ার দেশগুলো থেকে উল্লেখযোগ্য রাজস্ব প্রবৃদ্ধি অর্জন করেছে। দেশগুলোর অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধি শ্লথ হয়ে পড়া সত্তে¡ও বিলাসবহুল পণ্যে চীনা ভোক্তাদের ব্যয় ধারাবাহিকভাবে বেড়েছে। রোবেকো গ্রæপের তহবিল-বিষয়ক ম্যানেজার রিচার্ড স্পিটজেনস এ বিষয়ে বলেন, মানুষ অভিজ্ঞতালব্ধ পণ্যের পাশাপাশি ভ্রমণ ও বিলাসী পণ্যের পেছনে অনেক বেশি খরচ করছে। আমরা বৃহৎ ইন্টারনেট কোম্পানিগুলোর পাশাপাশি বিলাসী পণ্যেও বিনিয়োগ করছি। রোবেকোর ভোক্তা তহবিলের প্রায় ২০-২৫ শতাংশ এশিয়ার উদীয়মান বাজারে বিনিয়োগ করা হয়েছে বলেও জানান তিনি। গত এক বছরে এসঅ্যান্ডপি গেøাবাল লাক্সারি ইন্ডেক্স বেড়েছে ২৯ শতাংশ। একই সময় আইশেয়ার এমএসসিআই ইমার্জিং মার্কেট ইটিএফ (ইইএম) বেড়েছে ২১ শতাংশ। এদিকে এশিয়ার বাজারের ক্রমবর্ধমান ভোক্তা চাহিদা কাজে লাগিয়ে বেশ লাভজনক অবস্থানে আছে এশিয়ার অন্যতম বিলাসী পণ্য প্রস্তুতকারী চাও স্যাং স্যাং, চো তাই ফুক জুয়েলারি গ্রæপ, সিসিয়েডু এবং লুক ফুক হোল্ডিংস। গত পাঁচ বছরে এসব কোম্পানির লভ্যাংশ বেড়েছে উল্লেখযোগ্য পরিমাণে। চাও স্যাং স্যাং হংকংভিত্তিক একটি বিলাসী জুয়েলারি প্রস্তুতকারী প্রতিষ্ঠান। কোম্পানিটি হংকং, তাইওয়ান ও ম্যাকাউয়ে ৫০টির মতো জুয়েলারির দোকান পরিচালনা করছে। বাকি ১৫৫টি দোকান রয়েছে চীনের মূল ভূখন্ডে। ২০১৬ সালে ২১০ কোটি ডলারের ব্যবসা করেছে চাও স্যাং স্যাং। ওয়েবসাইট।



 

দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।

আরও পড়ুন
এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ
গত​ ৭ দিনের সর্বাধিক পঠিত সংবাদ