পটুয়াখালীর যুবক ক্বারী সাইয়্যেদ মুসতানজিদ বিল্লাহ রব্বানীর কোরআন তেলাওয়াতে মুগ্ধ যুক্তরাষ্ট্রবাসী
ইসলামি সভ্যতা ও সংস্কৃতি বিকাশে বাংলাদেশের অবদান অনস্বীকার্য। এদেশে ইসলামি সংস্কৃতি চর্চার ইতিহাস অনেক প্রাচীন।
হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরের নিরাপত্তায় যুক্ত হচ্ছে ডগস্কোয়াড। নিরাপত্তার দায়িত্বে থাকা এয়ারপোর্ট আর্মড পুলিশ ব্যাটালিয়ন (এএপিবিএন) ডগস্কোয়াডের এ টিম পরিচচালনা করবেন। যুক্তরাজ্য থেকে আনা ৮টি কুকুর যুক্ত হয়েছে এপিবিএন দলে।
গতকাল বৃহস্পতিবার সকালে ইংল্যান্ড থেকে কুকুরগুলোকে ঢাকায় আনা হয়েছে। ঢাকার পরিবেশের সাথে উপযোগী করে তোলতে এগুলোকে প্রশিক্ষণ দেয়া হবে আরো দুই মাস। প্রশিক্ষণ শেষে কুকুরগুলো দু’মাস পর দায়িত্বে নিয়োজিত হবে বলে জানিয়েছেন এএপিবিএন’র পুলিশ সুপার মোহাম্মদ রাশেদুল ইসলাম খান।
রাশেদুল ইসলাম জানান, অপরাধ দমন ও শনাক্তে ডগ স্কোয়াডের ৮টি কুকুর ইংল্যান্ড থেকে গতকাল বৃহস্পতিবারই এয়ারপোর্টে আনা হয়েছে। কুকুরগুলোর বয়স ছয় থেকে আট মাসের মধ্যে। প্রশিক্ষিত এ কুকুরগুলো পরিচালনার জন্য ‘কে-৯’ নামে একটি ইউনিট গঠন করা হয়েছে। এএপিবিএন’র ১৫ সদস্যকে প্রশিক্ষণ দিয়ে কুকুর পরিচালনার দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে। এর আগে এএপিবিএন’র একজন কর্মকর্তা ইংল্যান্ড থেকে প্রশিক্ষণ নিয়ে আসেন।
পুলিশ সুপার মোহাম্মদ রাশেদুল ইসলাম খান বলেন, কুকুরগুলো মাদক, অস্ত্র, বিস্ফোরকসহ ক্ষতিকর বস্ত শনাক্তে পারদর্শী। ঢাকার পরিবেশের সঙ্গে এবং যারা পরিচালনার দায়িত্বে আছেন, তাদের সঙ্গে খাপখাইয়ে নিতে কুকুরগুলোকে দু’মাসের প্রশিক্ষণ দেওয়া হবে। এরপর কুকুরগুলোকে টেস্ট শেষে বিমানবন্দরের নিরাপত্তার কাজে ব্যবহার করা হবে।
রাশেদুল ইসলাম খান আরো বলেন, আগে বিজিবি, র্যাব, ডিএমপি’র ডগ স্কোয়াডের মাধ্যমে এক্সপ্লোসিভ ডিটেকশনের কাজ করা হতো। এয়ারপোর্ট আর্মড পুলিশের চাহিদার ভিত্তিতে নিজস্ব ডগ স্কোয়াডের জন্য ৮টি কুকুর পুলিশ সদর দফতর আমদানি করেছে।
বিমানবন্দর আর্মড পুলিশ ব্যাটালিয়নের (এএপিবিএন) এক কর্মকর্তা জানান,শেম, কোরি, ডিজেল, ডাই, বেক্স, বো, ফিন ও রক নামের ৮টি কুকুরের মধ্যে চারটি জার্মান শেফার্ড এবং চারটি ল্যাবরেডর প্রজাতির।
প্রসঙ্গত, নিরাপত্তার কারণ দেখিয়ে ২০১৬ সালের মার্চে হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর থেকে সরাসরি কার্গো ফ্লাইট পরিচালনার ওপর নিষেধাজ্ঞা জারি করে যুক্তরাজ্য। এরপর যুক্তরাজ্যের পরামর্শে শাহজালালের নিরাপত্তার দায়িত্ব পায় ব্রিটিশ প্রতিষ্ঠান রেড লাইন। প্রতিষ্ঠানটি সিভিল এভিয়েশনের নিরাপত্তা কর্মীদের প্রশিক্ষণের পাশাপাশি যাত্রীদের ব্যাগ তল্লশিসহ বিভিন্ন আধুনিক যন্ত্রপাতি সংযোজনের পরামর্শ দেয়। এরপর চলতি বছরের ১ জুন ইউরোপিয়ান ইউনিয়ন (ইইউ) বাংলাদেশেকে হাই রিস্ক দেশ হিসেবে অন্তর্ভুক্ত করে আকাশপথে কার্গো পণ্য পরিবহনে বিধিনিষেধ আরোপের পর কমে যায় পণ্য পরিবহন। ইউরোপিয়ান ইউনিয়নভুক্ত দেশগুলোতে কার্গোতে পণ্য পাঠাতে এক্সপ্লোসিভ ডিটেকশন সিস্টেমের (এলইডিএস)আওতায় স্ক্রিনিং করার পরামর্শ দেওয়া হয়।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।