বিএনপি নেতা সাজুর তত্ত্বাবধানে বিজয় দিবস র্যালিতে বিপুল নেতাকর্মীর অংশগ্রহন
ঢাকা-১৪ আসনের বিএনপি মনোনীত সংসদ সদস্য প্রার্থী ও দারুসসালাম থানা বিএনপির সাবেক ভারপ্রাপ্ত সভাপতি এস
ফেনীতে খালেদা জিয়ার গাড়িবহরে দুই দফা হামলার ঘটনা পরিকল্পিত বলে দাবি করেছেন বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর। তিনি বলেন, ফেনীর মহিপালের হামলা অত্যন্ত পরিকল্পিত। কিন্তু আওয়ামী লীগ উল্টো বিএনপির ওপর দোষ চাপাচ্ছে। হামলা কারা করেছে গণমাধ্যমের কর্মীরা তার সাক্ষী। এই ঘটনার প্রতিবাদে আজ বৃহস্পতিবার সারাদেশের জেলা শহরে এবং আগামী শনিবার মহানগরীর থানায় থানায় প্রতিবাদ কর্মসূচি ঘোষণা করেছে দলটি। গতকাল (বুধবার) নয়াপল্টনে দলের কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে এক সংবাদ সম্মেলনে তিনি এই কর্মসূচি ঘোষণা করেন। গত শনিবার বিএনপি চেয়ারপার্সন বেগম খালেদা জিয়া মিয়ানমার থেকে পালিয়ে আসা রোহিঙ্গাদের মাঝে ত্রাণ বিতরণের উদ্দেশ্যে ঢাকা থেকে চট্টগ্রাম যাওয়ার সময় ফেনীতে তার গাড়িবহরে হামলা করা হয়। এসময় বহরে থাকা বিএনপি নেতাকর্মী ও গণমাধ্যমের গাড়ি ও কর্মীরা আক্রান্ত হন। একই পথে ফেরার সময় গত মঙ্গলবার ফেনীতে খালেদা জিয়ার গাড়িবহরে হামলার চেষ্টা করা হয়। হামলার ঘটনায় বিএনপি আওয়ামী লীগকে দায়ী করলেও আওয়ামী লীগের পক্ষ থেকে বলা হচ্ছে বিএনপি অন্তর্কোন্দল।
বিএনপি চেয়ারপার্সনের গাড়িবহরে হামলার ঘটনায় নিন্দা ও প্রতিবাদ জানিয়ে মির্জা ফখরুল বলেন, আমরা মনে করি এই হামলা গণতন্ত্রের প্রতি হামলা। এই হামলা বাংলাদেশের মানুষের অধিকারকে ফিরিয়ে আনার সংগ্রামের ওপর হামলা। এটা মানবতার বিরুদ্ধে একটা হামলা। তিনি সরকারের প্রতি আহ্বান জানিয়ে বলেন, এই সংঘাতের রাস্তা ছেড়ে দিয়ে আপনারা সমঝোতার রাস্তায় ফিরে আসুন এবং একটা আলাপ আলোচনা মাধ্যমে সংলাপের মধ্য দিয়ে আগামী নির্বাচন কীভাবে সুষ্ঠু, অবাধ ও নিরপেক্ষ হতে পারে, কিভাবে সকলের কাছে গ্রহণযোগ্য একটা নির্বাচন হতে পারে সেই পথ খুঁজে বের করার জন্য সংলাপের ব্যবস্থা করুন। অন্যথায় সময় পেরিয়ে গেলে সেটাও সম্ভব হবে না, তখন আপনাদেরকেই দায় বহন করতে হবে।
তিনি বলেন, বেগম জিয়া রোহিঙ্গাদের মাঝে ত্রাণ বিতরণের জন্য শনিবার সড়কপথে কক্সবাজারের উদ্দেশে রওয়ানা হন। কিন্তু পথিমধ্যে ফেনীতে হামলা করেছে। আগের হামলায় বোমা ছিল না। কিন্তু পরে মঙ্গলবার ঢাকায় ফেরার পথে হামলার সময় ককটেল বোমা মেরেছে। হামলাকারীদের ছবি ও বায়োডাটা সংবাদমাধ্যমের প্রকাশ হলেও তারা ডিফেন্ড করছে। আমরা মনে করি আওয়ামী লীগের নেতাদের প্রচ্ছন্ন মদদে এই হামলা হয়েছে। প্রতিকূল পরিস্থিতি মোকাবিলা করে সংবাদ সংগ্রহ ও প্রচার করায় সাংবাদিকদেরকে বিএনপি ও দলের চেয়ারপার্সন বেগম খালেদা জিয়ার পক্ষে ধন্যবাদ জানিয়ে তিনি বলেন, যদিও পুলিশ নিরাপত্তার জন্য যথাসাধ্য চেষ্টা করেছে। কিন্তু আওয়ামী লীগের ভ্রান্তনীতির কারণে হামলা হয়েছে।
বিএনপি চেয়ারপার্সনের গাড়িবহরে হামলার বিষয়ে মির্জা ফখরুল বলেন, বিএনপি চেয়ারপার্সনের যাত্রাপথে হামলার ঘটনার আমরা ইতিমধ্যে প্রতিবাদ ও নিন্দা জানিয়েছি। আমরা এই বিষয়ে এই মুহূর্তে কঠিন কোনো কর্মসূচি দিতে চাই না। কারণ আমরা আশা করি সরকারের শুভবুদ্ধির উদয় হবে, তারা সমঝোতার পথে আসবেন। সেই সমঝোতার রাস্তা আমরা খোলা রাখতে চাই। সেজন্য আমরা প্রতিবাদ জানানো কর্মসূচি দিচ্ছি। বৃহস্পতিবার (আজ) সারাদেশে জেলা সদরে প্রতিবাদ কর্মসূচী আমাদের দলের প্রত্যেকটি ইউনিট তাদের মতো করে করবে। প্রতিবাদ বিক্ষোভ হতে পারে, মিছিল হতে পারে- যেটা সুবিধা হবে সেটা তারা করবে। ঢাকা মহানগরে আগামী শনিবার প্রত্যেকটি থানায় প্রতিবাদ সভা অথবা প্রতিবাদ মিছিল হবে যেটা তাদের সম্ভব হয়। এটাই হচ্ছে আমাদের কর্মসূচি।
নয়া পল্টনে বিএনপির কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে এই সংবাদ সম্মেলনে দলের স্থায়ী কমিটির সদস্য মির্জা আব্বাস, গয়েশ্বর চন্দ্র রায়, ড. আবদুল মঈন খান, আমীর খসরু মাহমুদ চৌধুরী, ভাইস চেয়ারম্যান শামসুজ্জামান দুদু, আহমেদ আজম খান, চেয়ারপার্সনের উপদেষ্টা আবদুস সালাম, সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী, কেন্দ্রীয় নেতা খায়রুল কবির খোকন, প্রফেসর ড. এবিএম ওবায়দুল ইসলাম, মীর সরফত আলী সপু, অ্যাডভোকেট আবদুস সালাম আজাদ, মো: মুনির হোসেন, রফিক শিকদার প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।