পটুয়াখালীর যুবক ক্বারী সাইয়্যেদ মুসতানজিদ বিল্লাহ রব্বানীর কোরআন তেলাওয়াতে মুগ্ধ যুক্তরাষ্ট্রবাসী
ইসলামি সভ্যতা ও সংস্কৃতি বিকাশে বাংলাদেশের অবদান অনস্বীকার্য। এদেশে ইসলামি সংস্কৃতি চর্চার ইতিহাস অনেক প্রাচীন।
নরসিংদীর চাঞ্চল্যকর স্কুল ছাত্রী আজিজা হত্যামামলার প্রধান আসামি বিউটি আক্তার (২৫) ধরা পড়েছে। সাথে ধরা পড়েছে তার মা সানোয়ারা বেগম (৫২)। গতকাল মঙ্গলবার র্যাব-৯’র জওয়ানরা তাদেরকে সিলেটের বিশ্বনাথ উপজেলার মীরেরগাও গ্রাম থেকে গ্রেফতার করেছে। হত্যাকন্ডের পর পরই বিউটি আক্তার ও তার মা সানোয়ারা বেগম এলাকা থেকে ছেড়ে অজ্ঞাত স্থানে পালিয়ে যায়। শিবপুর থানা পুলিশ বহু খোঁজাখুজি করেও তাদের কোন হদিস পায়নি। হত্যাকান্ডের ৪ দিন পর গোপন সংবাদের ভিত্তিতে র্যাব জওয়ানরা তাদেরকে সিলেটের বিশ্বনাথ উপজেলার মীরেরগাও গ্রাম থেকে গ্রেফতার করতে সক্ষম হয়।
জানা গেছে, শিবপুর উপজেলার ভিটি খৈনকুট গ্রামের আব্দুস সাত্তারের কন্যা স্থানীয় খৈনকুট প্রাথমিক বিদ্যালয়ের ৫ম শ্রেণীর ছাত্রী আজিজা আক্তারকে মোবাইল চুরির অপবাদ দিয়ে তাকে অপহরণ করে গায়ে কেরসিন ঢেলে আগুন লাগিয়ে পুড়িয়ে হত্যা করে। হত্যাকান্ডের পর পুলিশ জানতে পারে যে, হত্যাকান্ডের পিছনে একটি পরকীয়া প্রেমের ঘটনা রয়েছে। চাচী বিউটি আক্তারের সাথে তাদের পরিবারের একজন সদস্যসহ এলাকার একাধিক ব্যক্তির সাথে বিউটি আক্তারের পরকীয়া প্রেম রয়েছে। বিউটি আক্তারের স্বামী আব্দুস সালাম ৪ মাস পূর্বে প্রবাসে চলে যাবার সুযোগে বিউটি আক্তার এলাকায় কয়েকজন লোকের সাথে পরকীয়ায় লিপ্ত হয়। হত্যাকান্ডের কয়েকদিন পূর্বে ঘটনাক্রমে আজিজা চাচীর ঘরে গিয়ে চাচী বিউটি আক্তারকে পরকীয়া প্রেমিকের সাথে আপত্তিকর অবস্থায় দেখে ফেলে। এই ঘটনার পর থেকে বিউটি আক্তার তার উপর ক্ষিপ্ত হয়। এক পর্যায়ে সে তার পরকীয়া প্রেমিকদেরকে আজিজার পিছনে লাগিয়ে দেয়। তারা পরিকল্পিতভাবে এই মর্মে খবর প্রচার করে যে, আজিজা তার চাচী বিউটি আক্তারের মোবাইল ফোন চুরি করেছে। তারা হুমকি দেয় যে, মোবাইল ফোন ফেরত না দিলে তাকে পুড়িয়ে মারা হবে। এই ঘটনা চলমান অবস্থায় গত ২৭ অক্টোবর বিউটি আক্তারের লেলিয়ে দেয়া প্রেমিকরা তাকে অপরহণ করে সিএনজিযোগে অজ্ঞাতস্থানে নিয়ে যায়। একই দিন রাত ৮টায় তারা বাড়ীর অদূরে একটি টিলায় নিয়ে হাত, পা, মুখ বেঁধে আজিজার গায়ে কেরসিন ঢেলে আগুন ধরিয়ে দেয়। এসময় আজিজার চিৎকারে পার্শ্ববর্তী পোল্ট্রি ব্যবসায়ী মোজাম্মেল হকসহ ২/৩ ব্যক্তি দৌড়ে ঘটনাস্থলে গেলে অগ্নিসংযোগকারীরা পালিয়ে যায়। পরে তারা তাকে উদ্ধার করে প্রথমে নরসিংদী জেলা হাসপাতাল ও পরে তাকে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে বার্ন ইউনিটে নিয়ে ভর্তি করে। সেখানে চিকিৎসাধীন অবস্থায় ২৮ অক্টোবর ভোরে আজিজা মৃত্যুর কোলে ঢলে পড়ে।
এই ঘটনায় আজিজার পিতা আব্দুস সাত্তার, আজিজার চাচী বিউটি আক্তার, বিউটির মা সানোয়ারা বেগম, চাচাতো দাদী তমুজা খাতুন ও চাচাতো ভাই রুবেলকে নামে এবং অগ্নিসংযোগকারী অজ্ঞাতনামা ৩ জনকে বেনামে আসামী করে শিবপুর মডেল থানায় একটি মামলা দায়ের করে। এর মধ্যে ঘটনার দিনই আজিজার চাচাতো দাদী তমুজা বেগমকে গ্রেফতার করে আদালতের মাধ্যমে ২ দিনের রিমান্ড নিয়েছে শিবপুর থানা পুলিশ। মূল আসামী বিউটি আক্তারসহ অন্যান্য আসামীদেরকে খোঁজাখুজির মধ্যেই র্যাব-৯’র সদস্যরা মঙ্গলবার দুপুরে তাদেরকে সিলেটের বিশ্বনাথ থেকে গ্রেফতার করে। এ ব্যাপারে শিবপুর থানা পুলিশের সাথে যোগাযোগ করে কাউকেই পাওয়া যায়নি।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।