নারী দিবস ম্যারাথনে পাপিয়া চ্যাম্পিয়ন
‘নিরাপদ সমাজ, নিরাপদ নারী’-স্লোগানে অনুষ্ঠিত নারী দিবস রেগুলার ম্যারাথনে রেগুলার বাংলাদেশের পাপিয়া খাতুন চ্যাম্পিয়ন, হামিদা
পাকিস্তানে আরো দল পাঠানোর পরিকল্পনা করছে শ্রীলংকা ক্রিকেট (এসএলসি)। সন্ত্রাসী হামলার দীর্ঘ নয় বছর পর প্রথমবারের মতো লাহোরে একটি টি-২০ ম্যাচ সফলভাবে আয়োজনের পর এমন কথা জানান এসএলসি প্রধান নির্বাহী আসলে ডি সিলভা। পাকিস্তান সফর শেষে দল শ্রীলংকায় ফিরে সিলভা বলেন, ‘পাকিস্তান প্রতিশ্রæতি অনুযায়ী কাজ করেছে এবং আমরা বেশ খুশী। খুব শিগগিরই জুনিয়র দল পাঠাবে বোর্ড এবং সিনিয়র দলও তাদের অনুসরণ করবে। আমাদের এফটিপিতে (ফিউচার ট্যুর প্রোগ্রাম) পাকিস্তান সফরের কোন সূচি নেই। তবে আমরা ‘এ’ দল ও অনূর্ধ্ব-১৯ দলকে পাকিস্তানে পাঠাবো।’ পাকিস্তানের নিরাপত্তা ব্যবস্থায় কলম্বোর আস্থা থাকায় শ্রীলংকার ক্রীড়ামন্ত্রী দয়াসিরি জয়াসেকেরা এবং বোর্ড সভাপতি থিলাঙ্গা সুমাথিপালা সিরিজের তৃতীয় ও শেষ টি-২০ ম্যাচ দেখতে লাহোরে উপস্থিত ছিলেন।
এমন একটি সদনের পর আরো বড় কিছু আশা করতেই পারে পাকিস্তান। সে লক্ষ্যে এবার ২০১৮ সালে দেশের মাটিতে এমার্জিং কাপ আয়োজনের পরিকল্পনা করছে দেশটি। স্বাগতিকদের সঙ্গে এ টুর্নামেন্টে অংশ নেবে বাংলাদেশসহ শ্রীলঙ্কা, আফগানিস্তান ও ভারত। লাহোরে এক সংবাদ সম্মেলনে পাকিস্তান ক্রিকেট বোর্ডের (পিসিবি) প্রেসিডেন্ট নাজাম শেঠি এমন আশাবাদ ব্যক্ত করেছেন। সিদ্ধান্ত চূড়ান্ত না হলেও টুর্নামেন্ট আয়োজনের ব্যাপারে প্রায় নিশ্চিত শেঠি। এ নিয়ে গাদ্দাফি স্টেডিয়ামেই একটি বৈঠকেও বসেছিলেন এসিসি কর্মকর্তারা। এ নিয়ে নাজাম শেঠি জানিয়েছেন, আগামী বছরের এপ্রিলে টুর্নামেন্ট আয়োজন করার ইচ্ছে পাকিস্তানের। আসরটি পাকিস্তানের একাধিক ভেন্যুতে হবে। এশিয়ার ছয় জাতির এই ইভেন্টে খেলতে ভারত আসবে কি না তা নিশ্চিত না। বাংলাদেশের অবস্থানও পরিষ্কার না। তবে মাঝে সময় আছে অনেক। এমার্জিং কাপে সব দলেই কম বেশি জাতীয় দলের খেলোয়াড়রা থাকেন। মূলত এটি অনূর্ধ্ব-২৩ টুর্নামেন্ট। ষষ্ঠ দলটিকে আসতে হবে বাছাই পর্ব থেকে।
২০০৯ সালে শ্রীলঙ্কার টিম বাসের ওপর লাহোরের রাজপথে সন্ত্রাসী হামলা হয়েছিল। তারপর থেকে পাকিস্তানে কোনো আন্তর্জাতিক দল খেলতে যায় না। একবার স্বল্পদৈর্ঘ্যরে সফরে জিম্বাবুয়ে গিয়েছিল। এরপর এই বছরই পাকিস্তান সুপার লিগের ফাইনালটি হয় এই লাহোরে। সেখানেই ক’দিন আগে বিশ্ব একাদশের সাথে ৩টি ম্যাচ খেলে পাকিস্তান। বাংলাদেশের তামিম ইকবালও গিয়েছিলেন, খেলেছিলেন বিশ্ব একাদশের হয়ে। সে পথে হাঁটা শ্রীলঙ্কা বুঝি দুয়ার খুলে দিল আরেকটি ক্রিকেট রোমাঞ্চের।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।