পটুয়াখালীর যুবক ক্বারী সাইয়্যেদ মুসতানজিদ বিল্লাহ রব্বানীর কোরআন তেলাওয়াতে মুগ্ধ যুক্তরাষ্ট্রবাসী
ইসলামি সভ্যতা ও সংস্কৃতি বিকাশে বাংলাদেশের অবদান অনস্বীকার্য। এদেশে ইসলামি সংস্কৃতি চর্চার ইতিহাস অনেক প্রাচীন।
জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের (জবি) টিএসসিতে দোকান বসানোকে কেন্দ্র করে বিশ্ববিদ্যালয়ের শাখা ছাত্রলীগের দুই গ্রুপের মধ্যে দফায় দফায় সংঘর্ষ হয়েছে। এতে জবি শাখা ছাত্রলীগের যুগ্ন-সাধারণ সম্পাদকসহ অন্তত ১০ জন ছাত্রলীগ নেতাকর্মী আহত হয়েছে।
শনিবার বিশ্ববিদ্যালয়ের মুল ফটক ও টিএসসির সামনে এ সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে। এতে বিশ্ববিদ্যালয়ের ৮ম ব্যাচের অর্ক, ১০ম ব্যাচের সজল, ১২তম ব্যাচের সাগর সহ অন্তত দশজন আহত হয়। আহতদের ঢাকা মেডিক্যাল কলেজে ভর্তি করা হয়েছে। জানা যায়, জবি ছাত্রলীগের সভাপতি তরিকুল ইসলামের অনুসারী জবি ছাত্রলীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক হোসনে মোবারক রিশাত বিশ্ববিদ্যালয়ের টিএসসি এলাকা থেকে চাদাঁবাজি করত। জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্রলীগের নতুন কমিটি আসার পর সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদক বিশ্ববিদ্যালয়ের টিএসসি থেকে সকল দোকান বন্ধ করে দেয়। এতে ছাত্রলীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক রিশাতের চাদাঁবাজি বন্ধ হয়ে যায়। গতকাল শনিবার রিসাত নতুন করে টিএসসিতে আবার দোকান বসাতে চায়। এ নিয়ে জবি ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক গ্রুপের কর্মী সুজন দাস অর্কের সাথে তর্কাতর্কি হয়। এ সময় রিসাত অর্ককে বেধড়ক মারপিট করেন। পরে অর্ক তার দলবল নিয়ে ক্যাম্পাসে মহড়া দিতে থাকলে দুই গ্রুপের মধ্যে সংঘর্ষ হয়। এতে সভাপতি গ্রুপের সজল আহত হয়। এসময় সাধারণ সম্পাদকের গ্রুপ সভাপতি গ্রুপের কর্মীদের ধাওয়া দিয়ে ক্যাম্পাস থেকে বের করে দেয়। পরবর্তীতে জবি ছাত্রলীগের সভাপতি তরিকুল ইসলাম ও সাধারণ সম্পাদক শেখ জয়নুল আবেদিন রাসেল ক্যাম্পাসে আসলে দু গ্রুপ শান্ত হয়। এ সময় ক্যাম্পাসে অতিরিক্ত পুলিশ মোতায়েন করা হয়।
এ বিষয়ে সভাপতি তরিকুল ইসলাম বলেন, ভুল বুঝাবুঝির কারণে ক্যাম্পাসে এ অনাকাঙ্খিত ঘটনা ঘটেছে। আমরা জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের শাখা ছাত্রলীগের দায়িত্ব নেয়ার পরই টিএসসি থেকে সকল দোকানপাট উঠিয়ে দিয়েছি। সেখানে কোনো প্রকার দোকান বসানো নিষেধ। যারা ছাত্রলীগ পরিচয়ে চাঁদাবাজি করবে তাদের বিরুদ্ধে সাংগঠনিক ভাবে ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে। আর যারা আহত হয়েছে আমরা তাদের চিকিৎসা দেয়ার ব্যবস্থা করেছি।
এবিষয়ে সাধারণ সম্পাদক জয়নুল আবেদীন রাসেল বলেন, আমরা কমিটিতে আসার পরেই জবি টিএসসিকে দখলমুক্ত করেছি। বিশ্ববিদ্যালয়ের অভ্যন্তরীণ শান্তি শৃঙ্খলা বজায় রাখায় আমরা ছাত্রলীগ অঙ্গিকারবদ্ধ। যারাই ছাত্রলীগের নাম ভাঙ্গিয়ে অরাজগতা সৃষ্টি করবে তাদেরকে কোনো ভাবেই ক্ষমা করা হবেনা।
এবিষয়ে জবি প্রক্টর ড. নুর মোহাম্মদ বলেন, শুক্র ও শনিবার ক্যাম্পাস বন্ধ। ক্যাম্পাসে ছাত্রলীগের একটি সংঘর্ষের কথা শুনেছি। আমরা ক্যাম্পাসে অতিরিক্ত পুলিশ ফোর্স মোতায়ন করে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রনে আনেছি। তবে কি কারণে এ সংঘর্ষ হয়েছে এ বিষয়ে কিছু জানা যায় নি। ক্যাম্পাস খোলার পর এ বিষয়ে যথাযথ ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।