পটুয়াখালীর যুবক ক্বারী সাইয়্যেদ মুসতানজিদ বিল্লাহ রব্বানীর কোরআন তেলাওয়াতে মুগ্ধ যুক্তরাষ্ট্রবাসী
ইসলামি সভ্যতা ও সংস্কৃতি বিকাশে বাংলাদেশের অবদান অনস্বীকার্য। এদেশে ইসলামি সংস্কৃতি চর্চার ইতিহাস অনেক প্রাচীন।
ব্যবসায়ীদের প্রবল আপত্তির মুখে নতুন মূল্য সংযোজন কর ও সম্পূরক শুল্ক আইন, ২০১২ সরকার দুই বছরের জন্য স্থগিত করেছে। কিন্তু পরোক্ষভাবে এ আইনের সুবিধা গ্রহণ করতে চাচ্ছেন ব্যবসায়ীরা। স¤প্রতি ব্যবসায়ীদের শীর্ষ সংগঠন দি ফেডারেশন অফ বাংলাদেশ চেম্বার্স অফ কমার্স অ্যান্ড ইন্ডাস্ট্রি (এফবিসিসিআই) এ সুবিধা চালু করতে জাতীয় রাজস্ব বোর্ড (এনবিআর) কে চিঠি দিয়েছে। এর আগে ১৯ অক্টোবর বিএবিবিএমএ এর পক্ষ থেকে এফবিসিসিআই প্রেসিডেন্টের কাছে এ চিঠি দেওয়া হয়। বিএবিবিএমএ এর চিঠির আলোকে এফবিসিসিআই এ সুবিধা চালু করতে এনবিআরকে অনুরোধ জানিয়ে চিঠি দেয়। চিঠিতে বলা হয়, মূল্য সংযোজন কর আইন, ১৯৯১ এর ধারা ১৫(২) ও ১৫(৩) এর আওতায় একই মালিকানাধীন একাধিক সহযোগী প্রতিষ্ঠান থাকলেও তাদের সকল হিসাবপত্র একত্রে সংরক্ষণ এবং তাদের জন্য একটি নিবন্ধন প্রয়োজন। এক্ষেত্রে সংশ্লিষ্ট কমিশনারেট হতে অনাপত্তিপত্র প্রদান করা।
এনবিআর সূত্র জানায়, ভ্যাট অনলাইন প্রকল্প কেন্দ্রীয় ভ্যাট নিবন্ধন চালু করার পাইলটিং এর অংশ হিসেবে এলটিইউ-ভ্যাট এ নিবন্ধিত প্রতিষ্ঠানের কেন্দ্রীয় নিবন্ধন সম্পন্ন করে। এলটিইউ-ভ্যাটে ১০৯টি প্রতিষ্ঠানের ২৩৪টি ভ্যাট নিবন্ধন ছিল। একটি প্রতিষ্ঠানের একাধিক নিবন্ধন ছিল। কেন্দ্রীয় ভ্যাট নিবন্ধনের ফলে ১০৯টি প্রতিষ্ঠানের একটি করে নিবন্ধন হয়ে যায়।
বিএবিবিএমএ এর চিঠিতে আরো বলা হয়, মূল্য সংযোজন কর আইন, ১৯৯১ এর ধারা ১৫(২) বলা হয়েছে, কোন ব্যক্তি দুই বা ততোধিক স্থান হতে পণ্য সরবরাহ, সেবা প্রদান, আমদানি-রপ্তানি করলে প্রতিটি স্থান হতে পৃথকভাবে নিবন্ধন নিতে হবে।
এ আইন সংশোধনের প্রস্তাব দিয়ে বিএবিবিএমএ বলছে, একই মালিকাধীন একাধিক সহযোগী প্রতিষ্ঠান থাকলে তাদের সকল হিসাবপত্র একত্রে সংরক্ষণ এবং তাদের জন্য একটি নিবন্ধন প্রদান করা প্রয়োজন। এক্ষেত্রে সংশ্লিষ্ট কমিশনারেট যেন অনাপত্তি দেয়।
যদি সংশ্লিষ্ট কমিশনারেট কেন্দ্রীয় নিবন্ধন দিতে আপত্তি জানায় সেক্ষেত্রে আলোচনা সাপেক্ষে এনবিআরকে কেন্দ্রীয় নিবন্ধন দেবার অনুরোধ করা হয়েছে। যুক্তি দিয়ে সংগঠনটি বলছে, একটি নিবন্ধন বা কেন্দ্রীয় নিবন্ধন হলে ৬টি প্রতিষ্ঠানের জন্য ১২টি নিরীক্ষা কার্যক্রম এবং বারবার একই বিষয়ে কাগজপত্র প্রদান পরিহার করা যাবে।
একাধিক প্রতিষ্ঠানের উৎপাদিত পণ্য এক স্থান থেকে সরবরাহ করা হলে সময়, পরিবহন খরচ ও শ্রমিকের মজুরি সাশ্রয় হবে এবং দ্রুততার সাথে পণ্য সরবরাহ করা যাবে। একটি নিবন্ধন হলে হিসাব সংরক্ষণ, সংশ্লিষ্ট কমিশনারেটে হিসাব প্রদান সহজতর হবে এবং হিসাবের স্বচ্ছতা আসবে বলেও যৌক্তি দেখানো হয়।
বিএবিবিএমএ চিঠিতে আরো বলা হয়, এনবিআরের আদেশ অনুযায়ী এক প্রতিষ্ঠান হতে অন্য প্রতিষ্ঠানে কাঁচামাল স্থানান্তর সম্ভব। কোন প্রকার রূপান্তর না করলে তা মূসক আইনের ধারা (২) এর অধীনে ব্যবসায়ী পর্যায়ভুক্ত।
কোন কারখানা থেকে কাঁচামাল অন্যত্র স্থানান্তরের আগে এর মূল্য ঘোষণা প্রদান ও এর ভিত্তিতে ১৫ শতাংশ হার মূসক প্রদান করে কাঁচামাল অপসারণ করা যাবে।
বিএবিবিএমএ বলছে, এক ইউনিট থেকে অন্য ইউনিটে অভ্যন্তরীণ কাঁচামাল বা প্যাকেজিং সামগ্রী স্থানান্তরের জন্য মূল্য ঘোষণা, অনুমোদন নেওয়া ও মূসক প্রদানের বিষয়টি বাতিল প্রয়োজন।
যুক্তি দিয়ে সংগঠনটি বলছে, যেহেতু একই মালিকানাধীন বিভিন্ন ইউনিটে উৎপাদনের জন্য এসব কাঁচামাল স্থানান্তর করা হয়ে থাকে সেহেতু স্থানান্তরের সময় মূসক প্রদান যুক্তি সঙ্গত নয়।
এ বিষয়ে এনবিআরের একজন কর্মকর্তা অর্থসূচকে বলেন, নতুন ভ্যাট আইন বাস্তবায়ন হলে সবচেয়ে বেশি লাভবান হতো ব্যবসায়ীরা। এনবিআর ব্যবসাবান্ধব পরিবেশ সৃষ্টি করতেই এ আইন করেছে।
তিনি বলেন, ব্যবসায়ীরা এখন কেন্দ্রীয় ভ্যাট নিবন্ধন ব্যবস্থা চালুর কথা বলছে। অথচ কেন্দ্রীয় ভ্যাট নিবন্ধনের মতো অনেক প্রবিশন এ আইনে ছিল। কেন্দ্রীয় ভ্যাট নিবন্ধন বিষয়ে এনবিআর সিদ্ধান্ত নেবে।
নতুন আইনে ব্যবসায়ীরা সবচেয়ে বেশি যে সুবিধা পাবে তা হল-একটি প্রতিষ্ঠানের ৫০টি শাখা থাকলে ভ্যাট নিবন্ধন হবে একটি। অর্থাৎ কেন্দ্রীয়ভাবে একটি ভ্যাট নিবন্ধন নম্বর থাকবে। এর মাধ্যমে ব্যবসায়ীরা হয়রানির হাত থেকে নিস্তার পাবে। নতুন আইন স্থগিত হওয়ার পরও নতুন আইন অনুযায়ী ব্যবসায়ীরা কেন্দ্রীয়ভাবে ভ্যাট নিবন্ধন সুবিধা চালুর আহ্বান জানিয়েছেন।
তবে তাদের এ প্রস্তাব গ্রহণ করা হলে ব্যবসায় কার্যক্রম সহজ হবে এবং ডুয়িং বিজনেস (ব্যবসার খরচ) খরচ কমবে বলে দাবি করেন এনবিআর সংশ্লিষ্টরা।
এফবিসিসিআই এর সদস্য সংস্থা বাংলাদেশ অটো বিস্কুট এন্ড ব্রেড ম্যানুফ্যাচারার্স এসোসিয়েশন (বিএবিবিএমএ) এর আবেদনের প্রেক্ষিতে এফবিসিসিআই এনবিআরকে এ চিঠি দিয়েছে।
এফবিসিসিআই এর ভারপ্রাপ্ত মহাসচিব হোসাইন জামিল স্বাক্ষরিত এ চিঠি জাতীয় রাজস্ব বোর্ড চেয়ারম্যান মো. নজিবুর রহমান বরাবর প্রদান করা হয়েছে।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।