নারী দিবস ম্যারাথনে পাপিয়া চ্যাম্পিয়ন
![img_img-1720424973](https://old.dailyinqilab.com/resources/images/cache/169x169x3_1678440025_nnn.jpg)
‘নিরাপদ সমাজ, নিরাপদ নারী’-স্লোগানে অনুষ্ঠিত নারী দিবস রেগুলার ম্যারাথনে রেগুলার বাংলাদেশের পাপিয়া খাতুন চ্যাম্পিয়ন, হামিদা
সাবেক ফিফা রেফারি জেড আলম আর নেই। গতকাল (শুক্রবার) দুপুরে ইব্রাহিম কার্ডিয়াক হাসপাতালে হৃদরোগে আক্রান্ত হয়ে ইন্তেকাল করেন তিনি (ইন্না লিল্লাহে ওয়া ইন্না ইলায়হি রাজেউন)। মৃত্যুকালে তার বয়স হয়েছিল ৯১ বছর। তিনি দুই ছেলে ও চার মেয়েসহ অসংখ্য আতœীয়-স্বজন রেখে যান। কাল বাদ মাগরিব রাজধানীর ওয়ারী জামে মসজিদে নামাজে জানাযা শেষে মরহুম জেড আলমের লাশ ফেনীস্থ তার গ্রামের বাড়িতে নেয়া হয়। সেখানে দ্বিতীয় নামাজে জানাযা অনুষ্ঠিত হলে রাতেই পারিবারিক কবরস্থানে মরহুমকে দাফন করা হয়।
গত ২২ অক্টোবর নিজ বাসভবন ওয়ারীতে হঠাৎ হৃদরোগে আক্রান্ত হলে জেড আলমকে বারডেম হাসপাতাল সংলগ্ন ইব্রাহিম কার্ডিয়াক সেন্টারে নেয়া হয়। পাঁচদিন এখানে চিকিৎসাধীন থাকার পর কাল দুপুর একটার দিকে হঠাৎ করেই তার শারীরিক অবস্থার অবনতি ঘটে। এর কিছুক্ষনের মধ্যেই ফের হৃদরোগে আক্রান্ত হয়ে ইন্তেকাল করেন এই রেফারি। গেল ক’মাসে দেশের ক্রীড়াঙ্গণ থেকে ঝরে পড়লেন বেশ কয়েকজন সাবেক খেলোয়াড় ও সংগঠক। গত দু’মাসে ইন্তেকাল করেছেন সাবেক তারকা ফুটবলার শামসুল ইসলাম (শামসু), আইনুল হক ও মোতালেব হোসেন। তাদের শোক ভুলতে না ভুলতেই গত মঙ্গলবার হঠাৎ ইন্তেকাল করেন সাবেক তারকা খেলোয়াড় ও দেশ বরেণ্য হকি সংগঠক খাজা রহমতউল্লাহ। তিনি মারা যাওয়ার চার দিনের মাথায় দেশ হারালো ক্রীড়াঙ্গনের অভিভাবক তুল্য ফুটবল রেফারি জেড আলমকে। তিনি ছিলেন বাংলাদেশের প্রথম ফিফা রেফারি। ১৯৫৫ থেকে ’৮০ সাল পর্যন্ত রেফারি হিসেবে দাপটের সঙ্গে ক্রীড়াঙ্গনে বিচরণ করেছেন। দক্ষতার সঙ্গে পরিচালনা করেছেন অনেক স্মরণীয় ম্যাচ। তিনি ফিফা রেফারি হন ১৯৬৮ সালে। ১৯৬৯-এ ইরানে কেসিডি ফুটবল টুর্নামেন্ট, ১৯৭১-এ তেহরানে প্রাক-অলিম্পিক (এশিয়ান জোন) ফুটবল, ১৯৭৩-এ মারদেকা টুর্নামেন্ট, ১৯৭৫-এ থাইল্যান্ডে কিংস কাপ, ১৯৭৮-এ ঢাকায় অনুষ্ঠিত সপ্তদশ এশীয় যুব ফুটবল টুর্নামেন্টে রেফারিং করেছেন তিনি। ১৯৮০ সালে অবসরে গেলেও ফুটবলের সঙ্গে সম্পর্ক ছিন্ন করেননি জেড আলম। ১৯৮২ থেকে ২০০৩ সাল পর্যন্ত বাফুফের রেফারিজ কমিটির সম্পাদক ছাড়াও কাবাডির রেফারি এবং সংগঠক হিসেবে ১৯৯৮ পর্যন্ত কাজ করেছেন। ১৯৯০ থেকে ২০০৫ পর্যন্ত ছিলেন বাংলাদেশ কাবাডি ফেডারেশনের সহ-সভাপতি।
জেড আলমের মৃত্যুতে বাংলাদেশ ফুটবল ফেডারেশন (বাফুফে), ফুটবল রেফারিজ অ্যাসোসিয়েশন, সোনালী অতীত ক্লাব, কাবাডি ফেডারেশন, আজাদ স্পোর্টিং ক্লাব, আরামবাগ ক্রীড়া সংঘ, ব্রাদার্স ইউনিয়ন, ঢাকা মোহামেডান স্পোর্টিং ক্লাব, ঢাকা আবাহনী লিমিটেড, বাংলাদেশ স্পোর্টস জার্নালিস্টস কমিউনিটি, বাংলাদেশ ক্রীড়া লেখক সমিতি ও বাংলাদেশ ক্রীড়া সাংবাদিক সংস্থাসহ বিভিন্ন সংগঠন ও সংগঠকরা গভীর শোক প্রকাশ করেছেন। তারা মরহুমের বিদেহী আত্মার মাগফেরাত কামনাসহ তার শোক সন্তপ্ত পরিবারের প্রতি সমবেদনা জানিয়েছে।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।