নারী দিবস ম্যারাথনে পাপিয়া চ্যাম্পিয়ন
‘নিরাপদ সমাজ, নিরাপদ নারী’-স্লোগানে অনুষ্ঠিত নারী দিবস রেগুলার ম্যারাথনে রেগুলার বাংলাদেশের পাপিয়া খাতুন চ্যাম্পিয়ন, হামিদা
টেস্ট-ওয়ানডে সিরিজে হোয়াইটওয়াশ। নিদেনপক্ষে যেটুকু লড়াই আশা করেছিল তার ছিটেফোঁটাও দেখাতে পারেন মুশফিক-মাশরাফিদের দল। অন্তত টি-২০ তে এসে কিছুটা লড়াই করেই হেরেছে বাংলাদেশ। বৃহস্পতিবার রাতে ব্লমফন্টেইনে ২ ম্যাচ সিরিজের প্রথমটিতে ২০ রানে হেরেছে সাকিবের দল। ১৯৫ রান তাড়ায় ২০ ওভারে বাংলাদেশ তুলতে পারে ৯ উইকেটে ১৭৫ রান। সিরিজের ২য় ম্যাচটি হবে পচেফস্ট্রুমের সিনউইস পার্কে আগামী ২ অক্টোবর সন্ধ্যা সাড়ে ৬টায়।
এই রান তাড়ায় জিততে হলে নতুন রেকর্ড গড়তে হতো বাংলাদেশকে। এই ফরম্যাটে রান তাড়ায় তো বহুদূর, আগে ব্যাট করেও কখনও ১৯০ রানের বেশি করতে পারেনি বাংলাদেশ। ২০১২ সালে আয়ারল্যান্ডের বিপক্ষে ১৯০ রানই বাংলাদেশের সর্বোচ্চ। পরে ব্যাট করে সর্বোচ্চ নিউজিল্যান্ডের বিপক্ষে ২০১৩ সালে ১৮৯। রান তাড়ায় জয়ের রেকর্ড ২০০৭ সালে ওয়েস্ট ইন্ডিজের ১৬৪। তবে হতে হতেও যেন হলনা।
ইনিংস শুরুর ১০ ওভার যেনে সমান তালেই খেললো দু’দল। ডি কক ও ডি ভিলিয়ার্সের ঝড়ে প্রথম ১০ ওভারে রান ছিল ৯৭। মাঝে দক্ষিণ আফ্রিকার রানের গতিতে কিছুটা লাগাম টানতে পেরেছিল বাংলাদেশ। ১১ থেকে ১৫, এই ৫ ওভারে রান উঠেছিল মাত্র ৩৬। কিন্তু শেষ ৫ ওভারে ফারহান বেহারদিন ও ডেভিড মিলার মেটালেন পরিস্থিতির দাবি। দুজনের ঝড়ো জুটিতে উঠল ৬২ রান। দক্ষিণ আফ্রিকা তুলল ২০ ওভারে ৪ উইকেটে ১৯৫ রান।
বাংলাদেশে শুরুটা হলো ভালোই। সাকিব, ইমরুলকে হারিয়েও প্রথম ১০.৫ ওভারে তুললো ১০০! ম্যাচের প্রথম বলে দারুণ শটে চার মেরে শুরু করেন ইমরুল। এরপর ব্যাটন নিয়ে নেন সৌম্য সরকার। খেলেছেন দারুণ সব শট। ঝড়ো সূচনার মাঝেই আউট হন ইমরুল (১০)। তার আগে দু’জনে খেললেন ৪৩ রানের ঝড়ো এক জুটি। নিজের প্রিয় পজিশনে নেমে খুব বড় কিছু করতে পারলেন না সাকিব। অধিনায়ক আউট হলেন ৮ বলে ১৩ রান করে।
এর মাঝে কিছুক্ষণ একা লড়াই চালিয়ে দারুণ খেলতে খেলতেই আউট হয়ে গেলেন সৌম্য। দারুণ এক রিভিউ নিয়ে জিতল দক্ষিণ আফ্রিকা। ফেলুকওয়েয়োর রাউন্ড দা উইকেটে করা বল ফ্লিক করতে গিয়ে মিস করেন সৌম্য। আম্পায়ার আউট না দিলে রিভিউ নেন জেপি দুমিনি। রিপ্লেতে দেখা যায়, বল লাগছিল লেগ স্টাম্পে।
সৌম্য ছন্দে থাকলে যেমন খেলেন, এদিন খেলেছেন ঠিক সেভাবেই। হেনড্রিকসের বলে পিক আপ শটে ছক্কা, দারুণ ড্রাইভ ও পুল, স্পিনে বেরিয়ে এসে ছক্কা। কিন্তু ফিফটি করতে পারলেন না। ৩১ বলে ৪৭ করে ফিরলেন সৌম্য। আগে একবার আউট হয়েছিলেন ৪৮ রানে। টি-টোয়েন্টি অর্ধশতক অধরাই থাকল তার।
সৌম্যর বিদায়ের ধাক্কা সামাল না দিতেই আউট মুশফিক। বাংলাদেশের সম্ভাবনা আরেকটু ফিকে। জেপি দুমিনিকে প্রিয় ¯øগ সুইপে ছক্কা মেরেছিলেন মুশফিক। কিন্তু অ্যারন ফাঙ্গিসোর বাঁহাতি স্পিনে একই চেষ্টায় হলেন আউট। মিড উইকেট সীমানায় ক্যাচ নিলেন ডি ভিলিয়ার্স। ৮ বলে ১৩ রানে আউট হলেন মুশফিক। বাংলাদেশ ম্যাচ থেকে টিকে যায় তখনই।
বাকিদের আসা যাওয়ার মিছিলে শেষ দিকে সাইফ উদ্দিনের সৌজন্যে শুধুই কমেছে ব্যবধান। তৃতীয় টি-টোয়েন্টি খেলতে নামা এই অলরাউন্ডার অপরাজিত থাকেন ২৭ বলে ৩৯ রান করে। তবে ম্যাচ শেষ কার্যত শেষের বেশ আগেই। সৗম্য যতক্ষণ ছিলেন, ছিল বাংলাদেশের আশা। সৌম্যর বিদায়ের পর সকিব, মুশফিক ও মাহমুদউল্লাহর বিদায়ে আশার সমাপ্তি।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।