Inqilab Logo

শনিবার ৩০ নভেম্বর ২০২৪, ১৫ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৭ জামাদিউল সানী ১৪৪৬ হিজরি

রোহিঙ্গাদের দেখার নামে খালেদা জিয়া সড়কপথে আসা-যাওয়ার মধ্যে কিছু ষড়যন্ত্রের গন্ধ পাচ্ছি : ওবায়দুল কাদের

কোম্পানীগঞ্জ (নোয়াখালী) সাংবাদদাতা | প্রকাশের সময় : ২৭ অক্টোবর, ২০১৭, ১২:০০ এএম

আ’লীগের সাধারণ সম্পাদক সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের এমপি, বিএনপির নেত্রী বেগম খালেদা জিয়াকে উদ্দেশ্য করে বলেছেন, শুনেছি আপনি রোহিঙ্গাদেরকে দেখার জন্য সড়ক পথে কক্সবাজার যাবেন। যাই হোক বহু দিন পর হলেও আপনি রোহিঙ্গাদের দেখতে সড়ক পথে ঢাকা থেকে কক্সবাজার যাবেন আবার কক্সবাজার থেকে ঢাকায় আসবেন।
রোহিঙ্গাদের দেখার নামে খালেদা জিয়া সড়ক পথে আসা যাওয়ার মধ্যে কিছু ষড়যন্ত্রের গন্ধ পাচ্ছি। দয়া করে রাস্তা দখল করে সভা সমাবেশ করে রাজনীতির নামে কোন প্রকার ষড়যন্ত্র করবেন না। এটা আমার আদেশ নয়, নির্দেশও নয়, তবে বিএনপি নেত্রীকে আমি অনুরোধ করছি। সেদিন লন্ডন থেকে বহুদিন পর দেশে এসে ঢাকা শাহজালাল বিমান বন্দরে সংবর্ধনার নামে আপনারা যে তান্ডব চালিয়েছেন। তাতে লাখ লাখ মানুষ দুর্ভোগ ও ভোগান্তির সীমা ছিল না, সারা দিন সারা রাত মানুষ কষ্ট করেছে।
তিনি গতকাল সকাল ১১টায় নোয়াখালীর কোম্পানীগঞ্জ উপজেলা কবি জসীম উদ্দীন উচ্চ বিদ্যালয়ে শিক্ষা মন্ত্রনালয়ের অধীনে সেকেন্ডারি এ্যাডুকেশন কোয়ালিটি এ্যান্ড এক্সসেস এনহান্সমেন্ট (সেকায়েপ) প্রজেক্টের উদ্যোগে উপজেলার শ্রেষ্ঠ শিক্ষার্থী উদ্দীপনা পুরস্কার বিতরণ ও শিক্ষক-অভিভাবক সমাবেশে প্রধান অতিথির বক্তব্য এই সব কথা বলেন। এর আগে তিনি কবি জসীম উদ্দিন উচ্চ বিদ্যালয়ের ৮ কোটি টাকা ব্যয়ে নির্মিত ভবন উদ্ধোধন করেন। মন্ত্রী বলেন, আপনাদের মনে আছে বিএনপি নির্বাচন কমিশনের সাথে সংলাপ করে সারা বাংলাদেশের মানুষের কাছে হাসিমুখে আশাবাদ ব্যাক্ত করেছিলেন, তখন আমি বলেছিলাম বিএনপির এই খুশির স্রোত অচিরেই ভাটা পড়বে। ১০ দিন যেতে না যেতে কর্পুরের মত উবে গেল তাদের সেই আশা। রঙ্গীন বেলুনের মত ছুপছে গেছে, রাজনীতি তাদের সেই ভরসা। তারা এখন বলছে, নির্বাচন কমিশনের সাথে সংলাপ লোভ দেখানো। তারা কখন কি বলছে, তারাই নিজেরাই বুঝে না।
ব্যারিস্টার মওদুদ আহমদকে উদ্দেশ্যে করে মন্ত্রী বলেন, আপনি ২২ বছর ক্ষমতায় ছিলেন, রাস্তা ঘাট, বিদুৎ ও শিক্ষা প্রতিষ্ঠান কিছুই করেন নি। মানুষের কাছে কি নিয়ে আসবেন। তিনি বলেন, আমার জন্য কোন তোরণ নির্মাণ না করে, ঐ টাকা গরিব, দুস্থ, অসহায় মানুষদের মাঝে বিতরণ করলে আমি খুশি হতাম।
শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের অতিরিক্ত সচিব ও সেকায়েপের প্রকল্প পরিচালক ড.মোঃ মাহমুদ-উল-হকের সভাপতিত্বে বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন, নোয়াখালীর জেলা প্রশাসক মোঃ মাহবুব আলম তালুকদার, পুলিশ সুপার ইলিয়াছ শরীফ। এতে অন্যান্যদের মধ্যে বক্তব্য রাখেন, বসুরহাট পৌরসভার মেয়র আবদুল কাদের মির্জা, কোম্পানীগঞ্জ উপজেলা চেয়ারম্যান মিজানুর রহমান বাদল, উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা জামিরুল ইসলাম, কোম্পানীগঞ্জ শিক্ষক সমিতির সভাপতি অধ্যক্ষ সুলতান আহমেদ চৌধুরী বাবুল, জেলা আ’লীগের শিল্প ও বাণিজ্য সম্পাদক নাজমুল হক নাজিম, আ’লীগের কেন্দ্রীয় উপ-কমিটির সাধারণ সম্পাদক ইস্কান্দার মির্জা শামীম, স্বাধীনতা ব্যাংকাস পরিষদের সদস্য ফখরুল ইসলাম রাহাত, চেয়ারম্যান নুরুল হুদা, চরফকিরা ইউপি চেয়ারম্যান জামাল উদ্দিন লিটন, বাংলাদেশ ছাত্রলীগের কেন্দ্রীয় কমিটির সহ-সভাপতি নুরুল করিম জুয়েল প্রমুখ।



 

Show all comments
  • Abdul Kadir ২৭ অক্টোবর, ২০১৭, ৪:১০ এএম says : 2
    এতো ভয় কেন খালেদা জিয়া কে নিয়ে ?
    Total Reply(0) Reply
  • Nur- Muhammad ২৭ অক্টোবর, ২০১৭, ৯:৪৪ এএম says : 1
    মাননীয় মন্রী, দেশ নেত্রী বেগম খালেদা জিয়, যত দিন বেঁচে থাকবে, তিনি রাস্তায় নামার সাথে সাথে লাক্ষ্য জনতার সমাবেশ ঘটবে। এটাই সত্য। এটাই গণতন্র। আর এখন আপনারা বন্দুকের জোড়ে এই গণতন্রকে চাপরাইতেছেন। উল্টো খালেদা জিয়ার আগমনকে ষড়যন্র বলে অনৈতিক বাকচারিতার পরিচয় দিচ্ছেন। আমাদের সিইসি জিয়াকে বহু দলীয় গণতন্রের প্রবক্তা বললো। সত্য প্রকাশ করলো। এই দিগে বঙ্গবীর কাদের সিদ্দিকী, সিইসি র সংলাপে গেল, কথা বললো, সংলাপের সব সুযোগ নিল। কিন্তু বাহিরে এসে বললো, আমি সংলাপ বর্জন করছি। জনগন মনে করে, কাদের সিদ্দিকী শেখ হাসিনাকে খুসি করার জন্য অপ বাকচারিতার পরিচয় দিল। সিদ্দিকী সাহেব মনে করছে, নেত্রী খুসি হলে হয়ত আবার আঃ লীগে ঢুকা যাবে, মন্রী বা বড় পদ বাগানো সুবিধা হবে। সত্যকে মিথ্যা দিয়ে প্রলেপ দেওয়ার প্রচেষ্টা ই হলো বাকচারিতা। দেশ নেত্রীর গণতান্রীক কার্যকলাপকে আপনি কি দিয়ে প্রলেপ দিচ্ছন, জনগন সব ই দিবালোকের মত দেখছে। আর বলছে, দুই কাদের সাহেব শেখ হাসিনাকে খুসি করার জন্য এক ই ডং এ কথা বলছে। এই বাকচারিতা কেবল ভোটারবিহীন ক্ষমতাধররা ই পারে। ভোটের প্রতিনিধিরা বাকচারিতা করে না। তাই '১৪ এর কলন্কময় নির্বাচন এখন ই বাতিল করুন। বঙ্গকণ্যার কপাল থেকে কলন্কের তিলক মুছন করুন। জনাব কাদের, মওদুদ সাহেব নির্বাচিত সরকারের মন্রী ছিলেন। জনগণের কাছে তার জবাবদিহতা ছিল। ভোটের চিন্তা ছিল। প্রতিটি কদম তাকে হিসাব করে দিতে হতো। আপনি '১৪ এর ---সরকারের মন্রী। ক্ষমতা বেশী। আপনাকে হয়ত, জনগনের কাছে যেতে হবে না। তাই এত সব কাজ আর কাজ। আপনি যোগ্যতা ছাড়া দলীয় ক্যাডারদের চাকরী দিতে পরেন। মওদুদ সাহেব এটা পারে না। অনুরোধ করছি, জনগনের ভোট দিন, বঙ্গবন্ধুর আদর্শকে বুকে ঠাই দিন। আসুন আর ছলছাতুরি নয়, জনগনের গণতন্র ফিরে দেওয়ার অঙ্গীকার করি। ধন্যবাদ। আপনাকে অশেষ ধন্যবাদ।
    Total Reply(0) Reply

দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।

ঘটনাপ্রবাহ: ওবায়দুল কাদের


আরও
আরও পড়ুন
এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ
গত​ ৭ দিনের সর্বাধিক পঠিত সংবাদ