পটুয়াখালীর যুবক ক্বারী সাইয়্যেদ মুসতানজিদ বিল্লাহ রব্বানীর কোরআন তেলাওয়াতে মুগ্ধ যুক্তরাষ্ট্রবাসী
ইসলামি সভ্যতা ও সংস্কৃতি বিকাশে বাংলাদেশের অবদান অনস্বীকার্য। এদেশে ইসলামি সংস্কৃতি চর্চার ইতিহাস অনেক প্রাচীন।
ভারতের পররাষ্ট্রসচিব এস জয়শংকর বলেছেন, বাংলাদেশ ও ভারতে বসবাসরত রোহিঙ্গাদের তাদের নিজ দেশ মিয়ানমারের রাখাইনে ফিরে যেতে হবে। এ সমস্যার সমাধানে গঠনমূলক পদক্ষেপ নেওয়া প্রয়োজন। গতকাল বৃহস্পতিবার বঙ্গোপসাগর ও এশিয়া প্রশান্ত মহাসাগর অঞ্চলে ভারত-জাপান সহযোগিতা বিষয়ক এক অনুষ্ঠানে দেওয়া ভাষণে তিনি এসব কথা বলেন।
এস জয়শংকর বলেন, দক্ষিণ এশিয়া এবং বঙ্গোপসাগর অঞ্চলে ভারতের আচরণ দিল্লিকে এ অঞ্চলের প্রধান শক্তি হিসেবে তুলে ধরে না। বরং এতে দিল্লিকে উচ্চাভিলাষী নেতৃস্থানীয় শক্তি হিসেবে প্রতীয়মান হয়; যার কাঁধে আঞ্চলিক দায়িত্ব রয়েছে।
তিনি বলেন, রাখাইন থেকে বিপুল সংখ্যক মানুষের বাংলাদেশমুখী স্রোত স্পষ্টতই উদ্বেগজনক। আমাদের উদ্দেশ্য হচ্ছে, কীভাবে এই মানুষগুলো তাদের নিজ জন্মস্থানে ফিরতে পারেন সেই বিষয়টি দেখা। তবে এটা খুব সহজ কাজ নয়। বিষয়টি নিয়ে আমরা বাংলাদেশ ও মিয়ানমারের সঙ্গে আলাদাভাবে কথা বলছি।
ভারতের পররাষ্ট্রসচিব বলেন, আমরা মনে করি বাস্তবসম্মত পদক্ষেপ গ্রহণ এবং গঠনমূলক আলোচনার মাধ্যমে পরিস্থিতির অপেক্ষাকৃত উন্নতি হতে পারে। খুব জোরালো ভাষায় নিন্দা করে অন্য ইস্যুতে যাওয়ার চেয়ে এটি অধিক মাত্রায় কার্যকর। তবে পালিয়ে আসা বিপুল সংখ্যক শরণার্থীর জন্য এখন শান্ত, সংযত ও সংবেদনশীল পদক্ষেপ প্রয়োজন। যোগাযোগ, আঞ্চলিক সহযোগিতা এবং মানবিক প্রতিক্রিয়াগুলোর মধ্যে সম্পর্ক গড়ে তুলতে হবে। আঞ্চলিক সংস্থা বে অব বেঙ্গল ইনিশিয়েটিভ ফর মাল্টি সেক্টরাল টেকনিক্যাল অ্যান্ড ইকোনমিক কোঅপারেশন (বিমসটেক) নিয়েও কথা বলেন ভারতের পররাষ্ট্রসচিব। তিনি বলেন, বিমসটেকে একটি এজেন্ডা হচ্ছে মানবিক সাহায্য ও দুর্যোগজনিত ত্রাণ সরবরাহে সমন্বয় ও সহযোগিতা। আমরা চাই এ সংস্থার সদস্য দেশগুলোকে এ দুর্যোগময় পরিস্থিতিতে মানবিক সাহায্যের ব্যাপারে একযোগে কাজ করবে। গত তিন বছরে মালদ্বীপের পানি সমস্যা, ইয়েমেনের গৃহযুদ্ধে ভারতের অবস্থান এবং নেপালের ভূমিকম্পে ত্রাণ সরবরাহ ও প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ নেওয়া হয়েছে। অপারেশন ইনসানিয়াতের মাধ্যমে বাংলাদেশে আশ্রয় নেওয়া রোহিঙ্গা শরণার্থীদের জন্য ভারতের পক্ষ থেকে ত্রাণসামগ্রী পাঠানো হয়েছে। এগুলো পরাশক্তিসুলভ আচরণ নয়; বরং এতে দিল্লির নেতৃত্বের উচ্চাভিলাষের বিষয়টি উঠে এসেছে। সূত্র : দি হিন্দু।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।