পটুয়াখালীর যুবক ক্বারী সাইয়্যেদ মুসতানজিদ বিল্লাহ রব্বানীর কোরআন তেলাওয়াতে মুগ্ধ যুক্তরাষ্ট্রবাসী
ইসলামি সভ্যতা ও সংস্কৃতি বিকাশে বাংলাদেশের অবদান অনস্বীকার্য। এদেশে ইসলামি সংস্কৃতি চর্চার ইতিহাস অনেক প্রাচীন।
প্রতিবছর ১৮ ডিসেম্বর বাংলাদেশ সুপ্রিম কোর্ট দিবস পালনের সিদ্ধান্ত নিয়েছে সুপ্রিম কোর্ট প্রশাসন। গতকাল বুধবার সুপ্রিম কোর্টের জাজেস লাউঞ্জে অনুষ্ঠিত সকল বিচারপতিদের নিয়ে ফুলকোর্ট সভায় করে এ সিদ্ধান্ত নেয়া হয়। স্বাধীন বাংলাদেশের প্রথম ১৯৭২ সালের ১৮ ডিসেম্বর সুপ্রিম কোর্ট বসায় ঐতিহাসিক এ দিনটিকে স্বরণীয় করে রাখতেই এ সিদ্ধান্ত হয়েছে। তবে এবছর ১৮ ডিসেম্বর ছুটি থাকায় আগামী বছর ২ জানুয়ারি প্রথমবারের মতো সুপ্রিম কোর্ট দিবস পালন করা হবে। এদিকে এ দিবসটি জাকজমকপূর্ণভাবে পালনের জন্য আপিল বিভাগের একজন বিচারপতির নেতৃত্বে ৫ সদস্যের কমিটি গঠিত হয়েছে।
সূত্রে জানা যায়, দায়িত্বপ্রাপ্ত প্রধান বিচারপতির মো. আবদুল ওয়াহ্হাব মিঞার সভাপতিত্বে এ ফুলকোট সভা অনুষ্ঠিত হয়। এতে সুপ্রিম কোর্ট (আপিল ও হাইকোর্ট) উভয় বিভাগের বিচারপতিরা অংশ নেন। বিকাল ৪টার দিকে শুরু হয়ে প্রায় ৫টা পর্যন্ত বিচারপতিদের এ সভা চলে। সভায় সকলের সর্বসম্মতিতে প্রতি বছর ১৮ ডিসেম্বর সুপ্রিম কোর্ট দিবস পালনের সিদ্ধান্ত হয়। স্বাধীন বাংলাদেশের সংবিধান অনুযায়ী প্রথম ১৮ ডিসেম্বর উচ্চ আদালতের কার্যক্রম শুরু হয়েছিল বলে এ সিদ্ধান্ত নেয়া হয়। দিবসটি পালনে পাচঁ সদস্য বিশিষ্ট একটি কমিটিও গঠন করা হয়। আপিল বিভাগের একজন সিনিয়র বিচারপতির নেতৃত্বে ৫ সদস্যর কমিটি করা হয় বলেও সভা সূত্রে জানা যায়।
পরে এ সভার সিদ্ধান্ত সাংবাদিকদের জানান সুপ্রিম কোর্টের বিশেষ কর্মকর্তা ব্যারিষ্টার মো. সাইফুর রহমান উপস্থিত সাংবাদিকদের বলেন, স্বাধীন বাংলাদেশের সংবিধান অনুযায়ী প্রথম যেদিন উচ্চ আদালতের কার্যক্রম শুরু হয়েছে সেই দিন অর্থাৎ প্রতিবছর ১৮ ডিসেম্বর বাংলাদেশ সুপ্রিম কোর্ট দিবস পালন করা হবে। তবে এরইমধ্যে এবছর ১৮ ডিসেম্বর ছুটি ঘোষিত হয়েছে। তাই আগামীবছর ২ জানুয়ারি প্রথম সুপ্রিম কোর্ট দিবস পালন করা হবে।
সুপ্রিম কোর্টের ফুলকোর্ট সভায় প্রত্যেক বর্ষপুঞ্জি নির্ধারণ করা হয়ে থাকে। এতে কোন কোন তারিখে সুপ্রিম কোর্ট বন্ধ থাকবে তার তালিকা প্রকাশ করা হয়। সরকার ঘোষিত সরকারি ছুটির সঙ্গে মিলিয়ে এটা করা হয়। সে অনুযায়ী সুপ্রিম কোর্টে বিচার কাজ পরিচালিত হয়। একারণে ২০১৭ সালের ছুটির তালিকা গতবছরই নির্ধারণ করা হয়েছে। সেই তালিকা অনুযায়ী এবছরের তালিকা অনুযায়ী আগামী ১৫ ডিসেম্বর থেকে সুপ্রিম কোর্টের অবকাশকালীন ছুটি শুরু হবে। ২০১৮ সালের পহেলা জানুয়ারি পর্যন্ত এ ছুিটি থাকবে। ২ জানুয়ারি আদালত খুলবে। একারণে আদালত খোলার দিনই অর্থাৎ ২ জানুয়ারি দিবসটি পালনের সিদ্ধান্ত হয়েছে।
এছাড়া সুপ্রিম কোর্টের অবকাশকালীন ছুটির মধ্যে আইনজীবীদের উপস্থিতি থাকবে না বললেই চলে। ফলে ছুটির মধ্যে দিবসটি পালন করা হলে উপস্থিতির হার কম হবে। এবিষয়টি চিন্তা করে ২ জানুয়ারি দিবসিট পালন করার সিদ্ধান্ত নেয়া হয়। এরপর থেকে যাতে ১৮ ডিসেম্বর ছুটি না থাকে সেটা মাথায় রেখে সুপ্রিম কোর্টের বর্ষপূঞ্জি ঠিক করা হবে বলে জানা গেছে।
গত মঙ্গলবার সুপ্রিম কোর্টের ওয়েবসাইটে এক বিজ্ঞপ্তিতে দিয়ে ফুলকোর্ট সভার বিষয়টি জানানো হয়। আপিল বিভাগের সিনিয়র বিচারপতি মো. আবদুল ওয়াহ্হাব মিঞার প্রধান বিচারপতির কার্যভার পালনে দায়িত্বপ্রাপ্ত হওয়ার পর এটি তার তৃতীয় ফুলকোর্ট সভা। এর আগে গত ৩ ও ১৬ অক্টোবর ফুলকোর্ট সভা অনুষ্ঠিত হয়।
প্রসঙ্গত, ১৯৭২ সালের ১৮ ডিসেম্বর স্বাধীন বাংলাদেশের হাইকোর্ট বিভাগের যাত্রা শুরু হয়। পুরাতন হাইকোর্ট ভবনে বিচার কাজ পরিচালিত হত। বর্তমানে যেখানে মানবতা বিরোধী অপরাধের বিচার কার্যক্রম চলছে।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।