Inqilab Logo

শুক্রবার, ০৫ জুলাই ২০২৪, ২১ আষাঢ় ১৪৩১, ২৮ যিলহজ ১৪৪৫ হিজরী

রোহিঙ্গা দমনকে জাতিগত নিধন ঘোষণার কথা বিবেচনা করছে যুক্তরাষ্ট্র

রয়টার্স | প্রকাশের সময় : ২৬ অক্টোবর, ২০১৭, ১২:০০ এএম

যুক্তরাষ্ট্র মিয়ানমারের রোহিঙ্গা মুসলিম দমনকে আনুষ্ঠানিক ভাবে জাতিগত নিধন হিসেবে ঘোষণা করার কথা বিবেচনা করছে। মার্কিন আইন প্রণেতারা মিয়ানমারের বিরুদ্ধে অবরোধ আরোপের আহবান জানানোর পাশাপাশি যুক্তরাষ্ট্র সরকার এ বিষয়টি বিবেচনা করছে বলে মার্কিন কর্মকর্তারা জানান।
আগামী মাসে প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের প্রথম এশিয়া সফরের আগে রোহিঙ্গা সংকট বিষয়ে কঠোর মার্কিন জবাবের জন্য চাপ বৃদ্ধি পেয়েছে। মার্কিন সরকারী সূত্রে বলা হয়, মার্কিন কর্মকর্তারা পররাষ্ট্রমন্ত্রী রেক্স টিলারসনের জন্য একটি সুপারিশ প্রণয়ন করছেন যা রোহিঙ্গাদের বিরুদ্ধে সামরিক বাহিনীর নেতৃত্বাধীন দমনকে জাতিগত নিধন হিসেবে চিহ্নিত করবে। এর ফলে মিয়ানমারের বিরুদ্ধে নতুন করে অবরোধ আরোপিত হতে পারে।
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক মার্কিন কর্মকর্তারা বলেন, মিয়ানমার নীতির সার্বিক মূল্যায়নের অংশ হিসেবে প্রস্তাবটি এ সপ্তাহেই টিলারসনের কাছে পাঠানো হতে পারে। তারপর প্রস্তাবটি গ্রহণের ব্যাপারে তিনি সিদ্ধান্ত নেবেন।
উল্লেখ্য গত ২৫ আগস্ট রাখাইনে রোহিঙ্গাদের বিরুদ্ধে দমন ও জাতিগত নিধন শুরু হওয়ার পর থেকে এ পর্যন্ত ৬ লাখেরও বেশি রোহিঙ্গা বাংলাদেশে আশ্রয় নিয়েছে। জাতিসংঘ ইতোমধ্যেই একে জাতিগত নিধনের ক্ল্যাসিক উদাহরণ আখ্যায়িত করে তীব্র নিন্দা করেছে।
৩ জন মার্কিন কর্মকর্তা মঙ্গলবার এক সিনেট শুনানিতে সাক্ষ্যদানকালে রোহিঙ্গাদের সাথে মিয়ানমার কর্তৃপক্ষের আচরণকে জাতিগত নিধন বলতে অস্বীকার করেন। তবে তারা অবরোধ আরোপসহ নতুন পদক্ষেপ গ্রহণের তালিকার কথা উল্লেখ করেন যা ওয়াশিংটন বিবেচনা করবে।
এ সব পদক্ষেপ ওয়াশিংটনের সবচেয়ে কঠোর ব্যবস্থা ব্যাপক অর্থনৈতিক অবরোধের চেয়ে কম।
মিয়ানমারের পরিস্থিতিকে আপনি জাতিগত নিধন হিসেবে দেখেন কিনা প্রশ্ন করা হলে উপ সহকারী পররাষ্ট্রমন্ত্রী মার্ক স্টোরেলা বলেন, আমি আজ বিষয়টিকে সে ভাবে আখ্যায়িত করার অবস্থায় নেই। তবে আমার কাছে একে আমার দীর্ঘ পেশাগত জীবনে দেখা কিছু খারাপ নিষ্ঠুরতার সমতুল্য বলে মনে হয়েছে।
মার্কিন সিনেটের পররাষ্ট্র বিষয়ক কমিটির ডেমোক্র্যাট সদস্য নিনেটের বেন কার্ডিন বলেন, রোহিঙ্গাদের সাথে মিয়ানমার কর্তৃপক্ষের আচরণকে তিনি গণহত্যা বলে বিবেচনা করেন।
একজন মার্কিন কর্মকর্তা বলেন, টিলারসনের কাছে প্রেরিতব্য সুপারিশে মানবতার বিরুদ্ধে অপরাধ সংঘটিত হয়েছে কিনা সে ব্যাপারে কোনো সিদ্ধান্ত থাকছে না, কারণ তা আরো আইনগত আলোচনার দাবি রাখে।
মার্কিন পররাষ্ট্র বিভাগ এ ব্যাপারে তাৎক্ষণিক কোনো মন্তব্য করেনি।



 

দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।

ঘটনাপ্রবাহ: রোহিঙ্গা


আরও
আরও পড়ুন
এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ
গত​ ৭ দিনের সর্বাধিক পঠিত সংবাদ