Inqilab Logo

শুক্রবার ০৮ নভেম্বর ২০২৪, ২৩ কার্তিক ১৪৩১, ০৫ জামাদিউল সানী ১৪৪৬ হিজরি

চারদিনের টেস্টে স্মিথ-ওয়ার্নারদের অনিহা

| প্রকাশের সময় : ২৬ অক্টোবর, ২০১৭, ১২:০০ এএম

স্পোর্টস ডেস্ক : টোয়েন্টি-২০ ক্রিকেটের আকর্ষণে পাঁচদিনের টেস্ট অনেকটাই মর্যাদা হারাতে বসেছে। ওয়ানডে-টি-২০তে যেখানে গ্যালারিভর্তি দর্শকে মাঠ থাকে সরগম সেখানে টেস্টে ক্রিকেট ভক্তদের ডেকেও মাঠে আনা যায় না। এই পরিস্থিতি থেকে উত্তরণের জন্য শীর্ষ নয়টি দেশের মধ্যে টেস্ট চ্যাম্পিয়নশীপ প্রবর্তনের পরিকল্পনা অনেক আগেই গ্রহণ করেছিল আন্তর্জাতিক ক্রিকেট কাউন্সিল (আইসিসি)।
চলতি মাসে অকল্যান্ডে অনুষ্ঠিত বোর্ড সভায় বহুল প্রতিক্ষিত সেই পরিকল্পনা বাস্তবায়নের রুপরেখা প্রকাশ করা হয়। একইসাথে টেস্ট ফরম্যাটকে আরো আকর্ষণীয় করার লক্ষ্যে পরীক্ষামূলক ভাবে পাঁচদিনের পরিবর্তে চারদিনের প্রতিযোগিতা আয়োজনেরও সিদ্ধান্ত নেয় ক্রিকেট নিয়ন্ত্রক সংস্থাটি। ইতোমধ্যে পরীক্ষামূলকভাবে চারদিনের টেস্ট খেলতে রাজিও হয়েছে দক্ষিণ আফ্রিকা ও জিম্বাবুয়ে। আগামী ডিসেম্বরে অনুষ্ঠিত হবে ম্যাচটি।
তবে এ নিয়ে সমালোচনাও কম হচ্ছে না। সর্বশেষ এই তালিকায় নাম লিখিয়েছেন অস্ট্রেলিয়ান অধিনায়ক স্টিভ স্মিথ ও তার দলের অন্যতম প্রধান তারকা ডেভিড ওয়ার্নার। চারদিনের টেস্ট খেলার ব্যপারে নিজেদের অনাগ্রহের কথা জানিছেন তারা। এই ধরনের ফরম্যাটের বিরোধীতা করে তারা বলেন, এর ফলে ঐতিহ্যবাহী পাঁচদিনের ক্রিকেটের মর্যাদাহানী হবে।
এক সাক্ষাতকারে স্মিথ বলেন, ‘ব্যক্তিগতভাবে আমি পাঁচদিনের টেস্ট খেলতে স্বাচ্ছন্দ্যবোধ করি। সে কারণেই আমি চাই এটা পাঁচদিনেই সীমাবদ্ধ থাকুক। ঠিক যেভাবে দীর্ঘদিন ধরে হয়ে আসছে। এই ধরনের টেস্ট ম্যাচের একটি আলাদা ঐতিহ্য আছে। আমি মনে করি টেস্ট যখন পঞ্চমদিনে গড়ায় তখন তার ভিন্ন একটি আমেজ তৈরী হয়। এটাই টেস্ট ম্যাচের বৈশিষ্ট্য।’
একই সুরে কথা বলেন ওপেনার ওয়ার্নারও, ‘চারদিনের টেস্টের প্রতি আমার কোন আগ্রহ নেই। টেস্ট ম্যাচে অনেক ধরনের বৈচিত্র আছে। কোন কোন ম্যাচ মাত্র তিনদিনেই শেষ হয়ে যায়। আবহাওয়াও এখানে একটি প্রভাব বিস্তার করে। দীর্ঘ সময়ে ম্যাচকে ধরে রাখার মধ্যে অনেক কিছুই জড়িত থাকে। কার্যত যে দল বেশী ফিট তারাই টেস্ট ম্যাচে টিকে থাকে, এর মধ্যে সত্যিকার অর্থেই আলাদা একটি আমেজ আছে।’
ক্রিকেট অস্ট্রেলিয়ার প্রধান জেমস সাদারল্যান্ড ট্রায়াল ভিত্তিতে চারদিনের টেস্ট আয়োজনের পক্ষে মত দিলেও খুব দ্রæত অস্ট্রেলিয়া এই ধরনের ক্রিকেটে অংশ নেবে না বলেও জানান তিনি। বিশেষ করে আগামী দুই বছরে ইংল্যান্ড, দক্ষিণ আফ্রিকা, পাকিস্তান, ভারত ও শ্রীলঙ্কার মত দলের বিপক্ষে টেস্ট সিরিজে ব্যস্ত সময় কাটাতে হবে অস্ট্রেলিয়াকে। সে কারণে এখনই চারদিনের টেস্টের জন্য খেলোয়াড়দের ওপর কোন ধরনের চাপ সৃষ্টি করতে চাইছেন না সাদারল্যান্ড।

 



 

দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।

আরও পড়ুন
গত​ ৭ দিনের সর্বাধিক পঠিত সংবাদ