নারী দিবস ম্যারাথনে পাপিয়া চ্যাম্পিয়ন
‘নিরাপদ সমাজ, নিরাপদ নারী’-স্লোগানে অনুষ্ঠিত নারী দিবস রেগুলার ম্যারাথনে রেগুলার বাংলাদেশের পাপিয়া খাতুন চ্যাম্পিয়ন, হামিদা
মাঠের ক্রিকেটে একের পর এক বিব্রতকর হার। মাঠের বাইরে নানা বিতর্ক। দক্ষিণ আফ্রিকা সফর এখনও পর্যন্ত বাংলাদেশ দলের জন্য হয়ে আছে দুঃস্বপ্ন। তবে এই বিভীষিকার সফরকে ভুলে যেতে চান না তামিম ইকবাল। বরং এবারের ভুলগুলি শুধরে নিয়ে এগিয়ে যেতে চান আগামীর পথে। দক্ষিণ আফ্রিকায় টেস্ট ও ওয়ানডে সিরিজ বাজেভাবে হেরেছে বাংলাদেশ। তার চেয়েও বড় কথা, সামান্যতম প্রতিদ্ব›িদ্বতা গড়তে পারেনি একটি ম্যাচেও। দলের বাজে পারফরম্যান্সের একটা বড় কারণ তামিমকে না পাওয়াও। চোটের কারণে ¯্রফে একট টেস্ট ও একটি ওয়ানডে খেলেই শেষ হয়ে গেছে তামিমের সফর। দেশ ফিরে এখন তিনি পুনর্বাসন শুরুর অপেক্ষায়। বাঁহাতি ওপেনার গতকাল এসেছিলেন বিসিবির চিকিৎসক দেবাশিস চৌধুরীর কাছে। সেখানেই উত্তর মিললো অনেক প্রশ্নেরও।
দক্ষিণ আফ্রিকায় ব্যর্থতার চক্রে আটকে আছে বাংলাদেশ। টেস্ট-ওয়ানডে দুই সংস্করণের প্রতিটি ম্যাচেই প্রোটিয়াদের কাছে বড় ব্যবধানে হেরেছে বাংলাদেশ। কন্ডিশন কঠিন হলেই যদি পরাজয়ের বৃত্তে আটকা পড়ে, তবে ইংল্যান্ডে অনুষ্ঠেয় ২০১৯ বিশ্বকাপে কী করবে বাংলাদেশ- প্রশ্নটা চলে আসছে এখনই। বিষয়টি ভাবাচ্ছে তামিমকেও। শুরুতেই বললেন চোট নিয়ে, ‘দুই সপ্তাহ পুনর্বাসনে থাকতে হবে। এরপর আবার দেখা হবে। বিপিএলে অন্তত দুটি ম্যাচ খেলতে পারব না।’
দক্ষিণ আফ্রিকায় হতাশার একটা সফরই গেল তামিমের। ব্যাটিংয়ে ভালো করতে পারেননি। আবার চোটে পড়ে সফর অসমাপ্ত রেখেই চলে আসতে হয়েছে দেশে। পুরো সফরে শুধু পরাজয় আর পরাজয়! এ ব্যর্থতা থেকে শিক্ষা নিতে চাইছেন তামিম। তাঁকে এখনই ভাবাচ্ছে ২০১৯ বিশ্বকাপ, ‘যদি বাজে সফর হিসেবে চিন্তা করে সব ভুলে যাই, তাহলে আমরা উন্নতি করতে পারব না। এখানে কী ঘাটতি ছিল, সেগুলো বের করতে হবে। সে অনুযায়ী পরিকল্পনা করে এগোতে হবে। আমরা জানি, ২০১৯ বিশ্বকাপ হবে ইংল্যান্ডে। সেখানে খেলাও কঠিন আমাদের জন্য। এসব মাথায় রেখে এগোতে হবে। দক্ষিণ আফ্রিকায় যে সমস্যায় পড়েছি, সেটা থেকে উন্নতি করা দরকার। যদি না করি, তাহলে এগোব না।’
এমনিতে দক্ষিণ আফ্রিকায় গিয়ে ধুঁকতে হয় উপমহাদেশের সব দলকেই। এমনকি অস্ট্রেলিয়াও এবছর ওয়ানডে সিরিজ হেরে ফিরেছে ৫-০ ব্যবধানে। তবে কন্ডিশনকে অজুহাত হিসেবে দাঁড় করাতে চান না তামিম, ‘কন্ডিশন কঠিন, এটা আমরা সবাই জানতাম। কিন্ত কন্ডিশনকে দোষ দিয়ে বা আমরা ওখানে অনেক দিন যাইনি, এটা অজুহাত হিসেবে দেখাতে চাই না। আমার কাছে মনে হয় ব্যক্তিগতভাবে ও দল হিসেবে আমরা যতটা সক্ষম, ততটা খেলেতে পারিনি। কন্ডিশন একটু ভিন্ন, একটু চ্যালেঞ্জিং ছিল অবশ্যই। কিন্ত আমরা এর চেয়ে ভাল পারফর্ম করতে পারতাম।’
বিপিএল গুরুত্বপূর্ণ টুর্নামেন্ট হলেও আর সব খেলোয়াড়ের মতো তামিমের অগ্রাধিকারে জাতীয় দল। পুরোপুরি ফিট না হওয়া পর্যন্ত মাঠে ফিরছেন না বলেও জানালেন বাংলাদেশ দলের এই ওপেনার, ‘আমার অগ্রাধিকার জাতীয় দল। পুরো সুস্থ না হওয়া পর্যন্ত কোনো ধরনের ক্রিকেট খেলব না। খেলা উচিতও হবে না। বিপিএল আমাদের সবার জন্য গুরুত্বপূর্ণ। তবে জাতীয় দল সবার আগে। সামনে শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে গুরুত্বপূর্ণ সিরিজ আছে (ডিসেম্বরের শেষ দিকে)। অত দিন সময় লাগবে না যদিও; তবে পুরোপুরি সুস্থ হতে যত দিন লাগবে, তত দিন সময় নেব।’
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।