Inqilab Logo

শনিবার ৩০ নভেম্বর ২০২৪, ১৫ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৭ জামাদিউল সানী ১৪৪৬ হিজরি

তীরন্দাজদের পাশে তীর

স্পোর্টস রিপোর্টার | প্রকাশের সময় : ২৪ অক্টোবর, ২০১৭, ১২:০০ এএম

এবার দেশের তীরন্দাজদের পাশে এসে দাঁড়ালো জনপ্রিয় ব্র্যান্ড ‘তীর’। ২০২০ টোকিও অলিম্পিক গেমসে পদজের জন্য লড়াই করা এবং ২০২২ সালের এশিয়ান গেমসে স্বর্ণপদক জেতার আশা নিয়েই কর্পোরেট প্রতিষ্ঠান সিটি গ্রæপের সঙ্গে নতুন পথ চলা শুরু হলো বাংলাদেশ আরচ্যারি ফেডারেশনের। দেশকে পদক এনে দেয়ার লক্ষ্যে ‘গো ফর গোল্ড’- ¯েøাগানে আরচ্যারির পাশে এসে দাঁড়িয়েছে কর্পোরেট এই প্রতিষ্ঠানটি। আরচ্যারি ফেডারেশনকে বছরে এক কোটি ৮০ লাখ টাকার পৃষ্ঠপোষকতা দিবে সিটি গ্রæপ। পরিকল্পনা বাস্তবায়নের জন্য ইতোমধ্যে তারা ফেডারেশনের সঙ্গে একটি চুক্তি স্বাক্ষর করে। গতকাল বাংলাদেশ অলিম্পিক অ্যাসোসিয়েশনের (বিওএ) ডাচ বাংলা ব্যাংক অডিটরিয়ামে আরচ্যারি ফেডারেশনের পক্ষে সাধারণ সম্পাদক কাজী রাজীবউদ্দিন আহমেদ চপল ও সিটি গ্রæপের হয়ে এই চুক্তিতে স্বাক্ষর করেন বিক্রয় ও বিপণন বিভাগের নির্বাহী পরিচালক শোয়েব মোহাম্মদ আসাদুজ্জামান। এ সময় ফেডারেশনের সভাপতি লেফটেন্যান্ট জেনারেল মোহাম্মদ মাইনুল ইসলাম (অব.) সহ-সভাপতি আনিসুর রহমান দিপু সহ অন্যরা উপস্থিত ছিলেন।
অনুষ্ঠানে কাজী রাজীবউদ্দিন আহমেদ চপল বলেন, ‘২০০৩ সালে এশিয়ান আরচ্যারি চ্যাম্পিয়নশিপের মাধ্যমে আন্তর্জাতিক অঙ্গণে আমাদের পথচলা শুরু। আর ২০০৬ থেকে ’১৭ পর্যন্ত বিভিন্ন আন্তর্জাতিক আসরে ১২টি স্বর্ণপদক জিতেছি আমরা। এবার আমাদের লক্ষ্য টোকিও অলিম্পিকে পদক জেতা। সে লক্ষ্যপূরণ করতেই নতুন করে স্বপ্ন দেখছি। আমাদের স্বপ্নকে বাস্তবে রুপ দিতে এগিয়ে এসেছে দেশের শীর্ষ কর্পোরেট প্রতিষ্ঠান সিটি গ্রæপ। আমি আশাবাদি তাদের সহযোগিতা পেয়ে আমরা লক্ষ্যে পৌঁছাতে পারবো।’ শোয়েব মো. আসাদুজ্জামান বলেন, ‘২০১৬ রিও অলিম্পিকের মার্চপাস্টে ঘোষক বলছিলেন, এখন আসছে পৃথিবীর অন্যতম একটি জনবহুল দেশ যারা এখন পর্যন্ত অলিম্পিকে কোন পদক জেতেনি। এমন ঘোষণা শোনার পরই আমার মাথায় এলো, কিভাবে অলিম্পিকে পদক জেতা যায়। শুটিং এবং আরচ্যারির মধ্যে আমরা তীর ধনুকের খেলাকেই বেছে নিলাম। যা আমাদের ‘তীর’ ব্র্যান্ডের সঙ্গে মেলে।’ তিনি আরও বলেন, ‘আপাতত এক বছরের জন্য আমরা আরচ্যারির বিভিন্ন কর্মকান্ড চালাতে ফেডারেশনকে এক কোটি ৮০ লাখ টাকা দিচ্ছি। পরবর্তীতে আরচ্যারদের সামনে দেয়া স্কোরের লক্ষ্যমাত্রা অর্জিত হলে প্রতিবছরই অর্থের পরিমান বাড়বে।’ ফেডারেশন সভাপতি লে. জেনারেল মাইনুল ইসলামের (অব.) কথা, ‘আরচ্যারিতে এশিয়ার হাব তৈরী করতে হবে বাংলাদেশকে। সে লক্ষ্যেই আমরা এগুবো। আমি আশাকরি অলিম্পিক গেমসের মতো বিশ্বসেরা আসর থেকে দেশের জন্য পদক ছিনিয়ে আনবে আমাদের তীরন্দাজরা।’ এই চুক্তির আওতায় সিটি গ্রæপের কাছ থেকে এক বছরে গ্রোয়িং ও ডেভেলপমেন্টের জন্য এক কোটি চার লাখ টাকা ও স্পন্সরশীপ ক্যালেন্ডারের জন্য ৭৬ লাখ টাকা পাবে আরচ্যারি ফেডারেশন।

 



 

দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।

আরও পড়ুন
গত​ ৭ দিনের সর্বাধিক পঠিত সংবাদ