পটুয়াখালীর যুবক ক্বারী সাইয়্যেদ মুসতানজিদ বিল্লাহ রব্বানীর কোরআন তেলাওয়াতে মুগ্ধ যুক্তরাষ্ট্রবাসী
ইসলামি সভ্যতা ও সংস্কৃতি বিকাশে বাংলাদেশের অবদান অনস্বীকার্য। এদেশে ইসলামি সংস্কৃতি চর্চার ইতিহাস অনেক প্রাচীন।
জর্ডানের রানি রানিয়া আল আবদুল্লাহ বলেছেন, মুসলিম রোহিঙ্গা জাতিকে নিধনের জন্য পরিকল্পিতভাবে এই নির্যাতন, হত্যা ও অত্যাচার চালানো হয়েছে। তাদের জন্মভূমি ও দেশ ছেড়ে পালাতে বাধ্য করেছে। বিশ্বের ইতিহাসে ওই জাতি নিধন বর্বরতম। গতকাল সোমবার দুপুরে কক্সবাজারে উখিয়ার কুতুপালং রোহিঙ্গা শিবির পরিদর্শন শেষে এক সংবাদ সম্মেলনে জর্ডানের রানি রানিয়া আল আবদুল্লাহ এসব কথা বলেন। এ সময় তিনি বিশ্ববাসীকে রোহিঙ্গাদের ন্যায়বিচারের পক্ষে থাকার আহ্বান জানান।
জর্ডানের রানি বলেন, ‘বিশ্বব্যাপী জাস্টিস অব ল’ প্রতিষ্ঠা হলেও মিয়ানমার কোনো কিছুতেই তা মানছে না। মিয়ানমারের ওপর চাপ প্রয়োগ করে রোহিঙ্গাদের নির্যাতন বন্ধ ও তাদের মিয়ানমারে ফেরত পাঠাতে বাধ্য করতে এখনই ব্যবস্থা নিতে বিশ্ব নেতাদের প্রতি তিনি আহ্বান জানিয়েছেন। রোহিঙ্গাদের আশ্রয় দেওয়ার জন্য বাংলাদেশের প্রশংসা করে রানি রানিয়া বলেন, বাংলাদেশ সরকার ও এ দেশের জনগণ রোহিঙ্গাদের প্রতি যে মানবিকতা দেখিয়েছে তা বিশ্বের ইতিহাসে উদাহরণ হয়ে থাকবে।
ইন্টারন্যাশনাল রেসকিউ কমিটির (আইসিআর) পর্ষদ সদস্য ও জাতিসংঘের শরণার্থী বিষয়ক সংস্থাগুলোর একজন দূত হিসেবে রোহিঙ্গাদের দেখতে গতকাল বেলা ১১টার দিকে কক্সবাজারে যান জর্ডানের রানি রানিয়া আল আবদুল্লাহ। এর আগে বিশেষ বিমানে তিনি ঢাকা থেকে সরাসরি কক্সবাজারে পৌঁছান। সেখান থেকে গাড়িবহরে করে কক্সবাজারের উখিয়ায় কুতুপালং রোহিঙ্গা শিবির পরিদর্শনে যান। এ সময় থেকে মিয়ানমার থেকে পালিয়ে আসা রোহিঙ্গাদের সঙ্গে কথা বলেন রানি। রাহিঙ্গারা জর্ডানের রানিকে তাদের ওপর চালানো মিয়ানমারের নির্মম অত্যাচারের বিবরণ দেন। তিনি তার অভিজ্ঞতার কথা বিশ্ববাসীর কাছে তুলে ধরবেন যাতে দুর্দশায় থাকা রোহিঙ্গাদের জন্য জরুরি সহায়তার পরিমাণ দ্রæত বাড়ানো সম্ভব হয়।
গত অগাস্টের শেষ দিকে মিয়ানমারে নতুন করে সেনা অভিযান শুরুর পর পৌনে ছয় লাখ রোহিঙ্গা পালিয়ে বাংলাদেশে আশ্রয় নিয়েছে।
রানি বলেন, “এখানে ৯৫ শতাংশ রোহিঙ্গা মৌলিক চাহিদার সংকটে রয়েছে। মিয়ানমারে যে পরিকল্পিত হত্যাকান্ড চলছে তা বিশ্বে নজিরবিহীন।” জেনেভায় সোমবার অনুষ্ঠেয় বৈঠকে রোহিঙ্গাদের জন্য পর্যাপ্ত মানবিক সহায়তা পাওয়া যাবে বলে তিনি আশা প্রকাশ করেন।
কুতুপালংয়ে রোহিঙ্গা শিবির পরিদর্শন শেষে জাতিসংঘের যেসব সংস্থা রোহিঙ্গাদের সাহায্যে কাজ করছে তাদের কয়েকটি হাসপাতাল ও স্কুল পরিদর্শন করেন জর্ডানের রানি রানিয়া আল আবদুল্লাহ। দুপুর ১২টায় পরিদর্শন শেষে ক্যাম্পে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে কথা বলেন তিনি। এ সময় তাঁর সঙ্গে ছিলেন পররাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী শাহরিয়ার আলম, মহিলা ও শিশুবিষয়ক মন্ত্রণালয়ের প্রতিমন্ত্রী মেহের আফরোজ চুমকি, কক্সবাজার-৩ আসনের সরকার দলীয় সংসদ সদস্য সাইমুম সরওয়ার কমল, কক্সবাজার-২ (মহেশখালী-কুতুবদিয়া) আসনের সংসদ সদস্য আশেক উল্লাহ রফিক, জর্ডানের রাষ্ট্রদূতসহ বিভিন্ন দাতা সংস্থার কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।
উল্লেখ্য, বাংলাদেশে রোহিঙ্গা অনুপ্রবেশের ঘটনার পর কক্সবাজারে এটি কোনো দেশের ফার্স্ট লেডির দ্বিতীয় সফর। এ আগে গত ৭ সেপ্টেম্বর রোহিঙ্গা শিবির পরিদর্শন করেন তুরস্কের ফার্স্ট লেডি এমিল এরদোয়ান।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।