পটুয়াখালীর যুবক ক্বারী সাইয়্যেদ মুসতানজিদ বিল্লাহ রব্বানীর কোরআন তেলাওয়াতে মুগ্ধ যুক্তরাষ্ট্রবাসী
ইসলামি সভ্যতা ও সংস্কৃতি বিকাশে বাংলাদেশের অবদান অনস্বীকার্য। এদেশে ইসলামি সংস্কৃতি চর্চার ইতিহাস অনেক প্রাচীন।
প্রতিবাদে ১ ঘন্টা ঢাকা-মাওয়া-খুলনা মহাসড়ক অবরোধ
লৌহজংয়ে শিক্ষার্থীর হামলায় গুরুতর আহত অবস্থায় ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে উপজেলার মেদিনী মন্ডল আনোয়ার চৌধুরী উচ্চ বিদ্যালয়ের খন্ডকালীন ইংরেজির শিক্ষক মো. রবিউল ইসলাম রুবেল। হামলা কারীরা লাঠি দিয়ে আঘাত করে তার তিনটি দাঁত ফেলে দিয়েছেন এবং বাম হাতটি ভেঙ্গে গুড়িয়ে দিয়েছেন। গত রোববার রাতে উপজেলার মাওয়া বাজার সংলগ্ন মসজিদের পাশে রাস্তায় এ ঘটনা ঘটে বলে প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান। শিক্ষকের উপর হামলার প্রতিবাদে এবং হামলাকারীদের দ্রুত গ্রেফতারের দাবিতে সোমবার সকাল ৯টায় বিদ্যালয়ের কয়েক’শ শিক্ষার্থী ঢাকা-মাওয়া-খুলনা মহাসড়ক ১ ঘন্টা অবরোধ করে রাখেন।
বিদ্যালয়টির পরিচালনা পরিষদের দাতা সদস্য মোশারফ হোসেন নসু জানান, বিদ্যালয়ের ইংরেজি শিক্ষক মো. রবিউল ইসলাম (রুবেল) রোববার রাতে প্রাইভেট পড়িয়ে সাইকেল যোগে বাড়ি ফিরছিলেন। এক পর্যায়ে তিনি মাওয়া বাজারের মসজিদের সন্নিকটে আসা মাত্রই গতবার এসএসসি পাশ করা প্রাক্তন ছাত্র সজিব সিকদার ও তার সহযোগি বর্তমান এসএসসি পরীক্ষার্থী জিদান এবং পারভেজসহ কিছু উচ্ছৃঙ্খল সঙ্গিরা শিক্ষকের উপর লাঠি দিয়ে হামলা চালায়। লাঠির আঘাতে শিক্ষক রবিউল ইসলাম রুবেল হোসেনের তিনটি দাঁত পড়ে যায়, বাম হাতটি ভেঙ্গে গুড়িয়ে দেয়া হয়। এছাড়াও শরীরের বিভিন্ন অংশে রক্তাক্ত জখম করা হয়। তবে হামলার কারণ সম্পর্কে ওই বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক নারায়ণ চন্দ্র মন্ডল জানান, সজিব স্কুলের একটি মেয়েকে ইভটিজিং করায় তার প্রতিবাদ করেছিল এবং চলতি এসএসসি পরীক্ষায় অপর শিক্ষার্থী জিদানকে নকল করতে না দেয়া ছিলো শিক্ষক রুবেলের অপরাধ। আহত শিক্ষককে গুরুতর অবস্থায় ঢাকা মেডিকেল কলেজে হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।
এদিকে হামলার প্রতিবাদে এবং হামলাকারীদের দ্রুত গ্রেফতারের দাবিতে বিক্ষুব্ধ হয়ে উঠেছে ওই স্কুলের ছাত্র-ছাত্রী, শিক্ষক, অভিভাবক ও এলাকাবাসী। বিক্ষুব্ধরা বখাটে ছাত্র সজিব ও তার সহযোগী জিদান ও পারভেজকে দ্রুত গ্রেফতার করে দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবিতে গতকাল সোমবার সকাল ৯ টা থেকে ১০ টা পর্যন্ত এক ঘন্টা ব্যাপী ঢাকা-মাওয়া মহাসড়ক অবরোধ করে রাখে। এ সময় তারা এ মহাসড়কের সকল প্রকার যানবাহন চলাচল বন্ধ করে দেয় এবং দোষীদের গ্রেফতারের দাবীতে বিভিন্ন শ্লোগান দেয়। এ সময় বিদ্যালয়ের ১০ম শ্রেণির ছাত্র মো. মোসাদ্দেক হোসেন বলেন, শিক্ষকরা জাতির মেরুদন্ড। আর এই শিক্ষকের উপর হাত তোলা কিছুতেই আমরা মেনে নিতে পারিনা। এর বিচার অবশ্যই করতে হবে। এ সময় অন্যান্যদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন বিদ্যালয়টির ম্যানেজিং কমিটির সদস্য মো. মোশারফ হোসেন নসু , ভজন লাল দাস, মিজানুর রহমান খান ইরান, জিল্লু তালুকদার, মহাদেব রায়, প্রধান শিক্ষক নারায়ণ চন্দ্র মন্ডল, সহ:প্রধান শিক্ষক ইসমাইল হোসেন সরকার, শিক্ষক স্বপন কুমার চৌধুরী, নিরঞ্জন মন্ডল, মো.আব্দুল হালিম, আবু নাসের খান লিমন ও লতিফা ইয়াসমিনসহ এলাকাবাসী ও অভিভাবকরা। পরে লৌহজং থানার ওসি আনিচুর রহমান এসে বিক্ষুব্ধ ছাত্র-ছাত্রীদের আশ্বস্ত করে বলেন, খুব দ্রুত বখাটে সজিব ও তার সহযোগিদের গ্রেফতার করে আইনের আওতায় আনা হবে। আর এ আশ্বাসের প্রেক্ষিতে বিক্ষুব্ধ ছাত্র-ছাত্রীরা তাদের অবোরোধ তুলে নিলে শুরু হয় ঢাকা-মাওয়া- খুলনা মহাসড়কের যান চলাচল ।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।