Inqilab Logo

বৃহস্পতিবার ০৭ নভেম্বর ২০২৪, ২২ কার্তিক ১৪৩১, ০৪ জামাদিউল সানী ১৪৪৬ হিজরি

২ লাখ রোহিঙ্গার জন্য খাদ্য, আশ্রয়কেন্দ্র, লেট্রিন টিউবওয়েলের আশ্বাস

ত্রাণ মন্ত্রীর সাথে তুরস্কের রাষ্ট্রদুতের সাক্ষাৎ

স্টাফ রিপোর্টার | প্রকাশের সময় : ২৩ অক্টোবর, ২০১৭, ১২:০০ এএম

তুরস্ক সরকার বাংলাদেশে আশ্রিত ২ লাখ রোহিঙ্গা নাগরিকের জন্য খাদ্য, আশ্রয়কেন্দ্র, স্বাস্থ্যসেবা, লেট্রিন ও টিউবওয়েলসহ সার্বিক সহযোগিতা করবে বলে আশ্বাস দিয়েছে। এছাড়াও এদের খাদ্য রান্নাবান্নার জন্য প্রয়োজনীয় জ্বালানীর ব্যবস্থা করবে তারা।
গতকাল রোববার সচিবালয়ের কার্যালয়ে দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা ও ত্রাণ মন্ত্রী মোফাজ্জল হোসেন চৌধুরী মায়ার সাথে সাক্ষাৎ করে বাংলাদেশে তুরস্কের রাষ্ট্রদুত ডেবরিম ওজতুর্ক এ তথ্য জানান। দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা ও ত্রাণ সচিব মোঃ শাহ কামাল ও মন্ত্রণালয়ের যুগ্ম সচিব (রোহিঙ্গা সেল) হাবিবুল কবির এ সময় উপস্থিত ছিলেন।
তারা এ সময় রোহিঙ্গা ক্যাম্পের সার্বিক পরিস্থিতি নিয়ে আলোচনা করেন। আলাপকালে মন্ত্রী রোহিঙ্গা ক্যাম্পের বর্তমান পরিস্থিতি ও করণীয় বিষয়ে তুরস্ক সরকারের দৃষ্টি আকর্ষন করেন। মতবিনিময়কালে মন্ত্রী জানান রোহিঙ্গা ক্যাম্পে স্বাস্থ্য, সেনিটেশন ও সুপেয় পানি ব্যবস্থাপনা সবচেয়ে বড় চ্যালেঞ্জ। এর লক্ষ্যে সরকার দেশী বিদেশী সংস্থার সমন্বয়ে কাজ করে যাচ্ছে। তিনি বলেন রোহিঙ্গা ক্যাম্পে ৫০ হাজার টিউবওয়েল ও লেট্রিন প্রয়োজন। সরকার ইতোমধ্যে ৭ হাজারের অধিক লেট্রিন নির্মাণ করেছে। ইউনিসেফ ১০ হাজার লেট্রিন নির্মাণ করবে বলে জানিয়েছে। এ অবস্থায় মন্ত্রী তুরস্কের কাছে ২০ হাজার টিউবওয়েল ও ২০ হাজার লেট্রিন নির্মাণ করে দেয়ার প্রস্তাব করলে তারা এতে রাজী হন। এ সময় রাষ্ট্রদুত মন্ত্রীকে অবহিত করেন যে তুরস্ক ক্যাম্প এলাকায় শীঘ্রই ২টি বড় ধরনের চিকিৎসাকেন্দ্র ও ১০টি প্রাথমিক চিকিৎসাকেন্দ্র স্থাপন করবে। ইতোমধ্যে তুরস্ক ২০ হাজার শেড নির্মাণের প্রতিশ্রুতি দিয়েছিল। মন্ত্রীর চাহিদার প্রেক্ষিতে ৫০ হাজার শেড নির্মাণের প্রতিশ্রুতি দিয়েছেন রাষ্ট্রদুত।
রোহিঙ্গা জনগণ স্থানীয় জনগণের জীবন জীবিকার উপর ব্যাপক নেতিবাচক প্রভাব ফেলছে। বিশেষত তাদের কর্মসংস্থানে মারাত্মক নেতিবাচক প্রভাব পড়েছে। স্থানীয় জনগণের জন্য খাদ্য, লেট্রিন ও বিশুদ্ধ পানি সরবরাহে সহায়তার প্রস্তাব করলে বিষয়টি গুরুত্ব সহকারে বিবেচনার আশ্বাস দেন রাষ্ট্রদুত। মন্ত্রী বলেন রোহিঙ্গা জনগণ জোয়ারের মত আসতে থাকলে তাদের প্রাথমিকভাবে অস্থায়ী ভিত্তিতে শেড নির্মাণ করে দেয়া হয়েছিল। তাদের জন্য বর্তমানে টেকসই শেড নির্মাণ করা প্রয়োজন বলে মন্ত্রী রাষ্ট্রদুতকে অবহিত করেন। সহমত পোষণ করে তুরস্কে শরনার্থীদের যে ধরনের শেড করা হয়েছে একই ধরনের শেড বাংলাদেশেও করে দেয়ার আশ্বাস দেন রাষ্ট্রদুত। তুরস্কের শরণার্থীদের ক্যাম্প পরিদর্শনের জন্য রাষ্ট্রদুত মন্ত্রীকে নিমন্ত্রণ জানালে নভেম্বরের প্রথম সপ্তাহে এ ধরনের সফর হতে পারে বলে মন্ত্রী রাষ্ট্রদুতকে অবহিত করেন।



 

Show all comments
  • Mohammed Shah Alam Khan ২৩ অক্টোবর, ২০১৭, ১১:৪৩ এএম says : 0
    তুরষ্ক সারা বিশ্বে রোহিঙ্গা সমস্যা সমাধানের জন্য তাদের কূটনৈতিকদের দিয়ে জোড়াল ভাবে কাজ করে যাচ্ছে। যেখানে বাংলাদেশের কূটনীতিবিদরা পিছিয়ে সেখানে তুরস্ক এগিয়ে । আমি জানি কানাডার রাজধানী অটোয়াতে গত মাসে রোহিঙ্গাদেরকে সাহায্য করার জন্য কানাডার একটি এন জি ও ফান্ডরেইজিং অনুষ্ঠানের আয়োজন করেছিল। সেখানে তুষ্কের হাইকমিশনার প্রধান অতিথী হিসাবে যোগ দিয়েছিলেন। এর বাইরে আরো তিনটি মুসলিম দেশের হাইকমিশনার বিশেষ অতিথী হিসাবে এসেছিলেন। এই অনুষ্ঠানে বাংলাদেশ হাইকমিশনারকেও বিশেষ অতিথি হিসাবে যোগদেয়ার জন্য অনুরোধ করা হয়েছি। কিন্তু তারা সংগঠনের কর্মকর্তাকে সড়াসড়ি যোগ দিতে পারবেন না জানান এবং নাম ধরে বলেন শেখ হাসিনার অনুমতি ছাড়া তারা যোগদিতে পারেন না এটাই নিয়ম। আমি কথাটা শুনে হতভম্ব হয়ে যাই। যাইহোক অনুষ্ঠানে বাংলাদেশ সহ বিভিন্ন দেশের নাগরিক যোগ দেয় এবং সেখানে আমি জেনেছি ৫০ হাজার কানাডিয়ান ডলার অনুদান পাওয়া যায়। এই টাকা দিয়ে ওরা রোহিঙ্গা শ্রনার্থীদের জন্য থাকার ঘর, বিশুদ্ধ পানির জন্য টিউবওয়েল ও লেট্রিন নির্মান করে দিবে সিদ্ধান্ত নেয়া হয়। এই সংস্থা ইতিপূর্বে গত মে মাশে ৫০ হাজার কানাডিয়ান ডলার পাঠিয়েছিল প্রাথমিক ভাবে খাবার ও নিত্য প্রয়োজনীয় স্রঞ্জামাদি এবং ঔষধ বিতরণের জন্য। আমি এটাও জেনেছি জেলা প্রশাসকের মাধ্যমে রোহিঙ্গাদের জন্য এসব সামগ্রী সরবরাহ করা হয়েছে। কানাডা থেকে আগামী মাসে ঐ সংগঠন সহ আরো সংগঠনের কর্মকর্তা বাংলাদেশে আসছেন সরজমিনে দেখার জন্য এবং সেই মোতাবেক ব্যাবস্থা নেয়ার উদ্দেশ্যে। এই সংবাদটা আমি মন্তব্যের মতকরে লিখে দৈনিক ইনকিলাব পত্রিকায় পাঠালাম কারন এটা যদি প্রকাশিত হয় তাহলে এই সংবাদটা আমি ঐ সংগঠনকে পাঠিয়ে দিব যাতে ওরা উৎসাহিত হয়। আল্লাহ্‌ এই অসহায় রোহিঙ্গাদেরকে সাহায্য করার মনবৃতি যেন কানাডা বাসীদের দেন সেটাই আমার প্রার্থনা। আমীন
    Total Reply(0) Reply

দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।

ঘটনাপ্রবাহ: রোহিঙ্গা

১৮ ফেব্রুয়ারি, ২০২৩

আরও
আরও পড়ুন
এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ
গত​ ৭ দিনের সর্বাধিক পঠিত সংবাদ