পটুয়াখালীর যুবক ক্বারী সাইয়্যেদ মুসতানজিদ বিল্লাহ রব্বানীর কোরআন তেলাওয়াতে মুগ্ধ যুক্তরাষ্ট্রবাসী
ইসলামি সভ্যতা ও সংস্কৃতি বিকাশে বাংলাদেশের অবদান অনস্বীকার্য। এদেশে ইসলামি সংস্কৃতি চর্চার ইতিহাস অনেক প্রাচীন।
তুরস্ক সরকার বাংলাদেশে আশ্রিত ২ লাখ রোহিঙ্গা নাগরিকের জন্য খাদ্য, আশ্রয়কেন্দ্র, স্বাস্থ্যসেবা, লেট্রিন ও টিউবওয়েলসহ সার্বিক সহযোগিতা করবে বলে আশ্বাস দিয়েছে। এছাড়াও এদের খাদ্য রান্নাবান্নার জন্য প্রয়োজনীয় জ্বালানীর ব্যবস্থা করবে তারা।
গতকাল রোববার সচিবালয়ের কার্যালয়ে দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা ও ত্রাণ মন্ত্রী মোফাজ্জল হোসেন চৌধুরী মায়ার সাথে সাক্ষাৎ করে বাংলাদেশে তুরস্কের রাষ্ট্রদুত ডেবরিম ওজতুর্ক এ তথ্য জানান। দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা ও ত্রাণ সচিব মোঃ শাহ কামাল ও মন্ত্রণালয়ের যুগ্ম সচিব (রোহিঙ্গা সেল) হাবিবুল কবির এ সময় উপস্থিত ছিলেন।
তারা এ সময় রোহিঙ্গা ক্যাম্পের সার্বিক পরিস্থিতি নিয়ে আলোচনা করেন। আলাপকালে মন্ত্রী রোহিঙ্গা ক্যাম্পের বর্তমান পরিস্থিতি ও করণীয় বিষয়ে তুরস্ক সরকারের দৃষ্টি আকর্ষন করেন। মতবিনিময়কালে মন্ত্রী জানান রোহিঙ্গা ক্যাম্পে স্বাস্থ্য, সেনিটেশন ও সুপেয় পানি ব্যবস্থাপনা সবচেয়ে বড় চ্যালেঞ্জ। এর লক্ষ্যে সরকার দেশী বিদেশী সংস্থার সমন্বয়ে কাজ করে যাচ্ছে। তিনি বলেন রোহিঙ্গা ক্যাম্পে ৫০ হাজার টিউবওয়েল ও লেট্রিন প্রয়োজন। সরকার ইতোমধ্যে ৭ হাজারের অধিক লেট্রিন নির্মাণ করেছে। ইউনিসেফ ১০ হাজার লেট্রিন নির্মাণ করবে বলে জানিয়েছে। এ অবস্থায় মন্ত্রী তুরস্কের কাছে ২০ হাজার টিউবওয়েল ও ২০ হাজার লেট্রিন নির্মাণ করে দেয়ার প্রস্তাব করলে তারা এতে রাজী হন। এ সময় রাষ্ট্রদুত মন্ত্রীকে অবহিত করেন যে তুরস্ক ক্যাম্প এলাকায় শীঘ্রই ২টি বড় ধরনের চিকিৎসাকেন্দ্র ও ১০টি প্রাথমিক চিকিৎসাকেন্দ্র স্থাপন করবে। ইতোমধ্যে তুরস্ক ২০ হাজার শেড নির্মাণের প্রতিশ্রুতি দিয়েছিল। মন্ত্রীর চাহিদার প্রেক্ষিতে ৫০ হাজার শেড নির্মাণের প্রতিশ্রুতি দিয়েছেন রাষ্ট্রদুত।
রোহিঙ্গা জনগণ স্থানীয় জনগণের জীবন জীবিকার উপর ব্যাপক নেতিবাচক প্রভাব ফেলছে। বিশেষত তাদের কর্মসংস্থানে মারাত্মক নেতিবাচক প্রভাব পড়েছে। স্থানীয় জনগণের জন্য খাদ্য, লেট্রিন ও বিশুদ্ধ পানি সরবরাহে সহায়তার প্রস্তাব করলে বিষয়টি গুরুত্ব সহকারে বিবেচনার আশ্বাস দেন রাষ্ট্রদুত। মন্ত্রী বলেন রোহিঙ্গা জনগণ জোয়ারের মত আসতে থাকলে তাদের প্রাথমিকভাবে অস্থায়ী ভিত্তিতে শেড নির্মাণ করে দেয়া হয়েছিল। তাদের জন্য বর্তমানে টেকসই শেড নির্মাণ করা প্রয়োজন বলে মন্ত্রী রাষ্ট্রদুতকে অবহিত করেন। সহমত পোষণ করে তুরস্কে শরনার্থীদের যে ধরনের শেড করা হয়েছে একই ধরনের শেড বাংলাদেশেও করে দেয়ার আশ্বাস দেন রাষ্ট্রদুত। তুরস্কের শরণার্থীদের ক্যাম্প পরিদর্শনের জন্য রাষ্ট্রদুত মন্ত্রীকে নিমন্ত্রণ জানালে নভেম্বরের প্রথম সপ্তাহে এ ধরনের সফর হতে পারে বলে মন্ত্রী রাষ্ট্রদুতকে অবহিত করেন।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।