পটুয়াখালীর যুবক ক্বারী সাইয়্যেদ মুসতানজিদ বিল্লাহ রব্বানীর কোরআন তেলাওয়াতে মুগ্ধ যুক্তরাষ্ট্রবাসী
ইসলামি সভ্যতা ও সংস্কৃতি বিকাশে বাংলাদেশের অবদান অনস্বীকার্য। এদেশে ইসলামি সংস্কৃতি চর্চার ইতিহাস অনেক প্রাচীন।
ঢাকা দক্ষিণ সিটি কর্পোরেশনের (ডিএসসিসি) মেয়র সাঈদ খোকন বলেছেন, মেয়র হিসেবে দায়িত্বভার গ্রহণ করার পর থেকে একটা একটা করে সমস্যার সমাধান করে যাচ্ছি। পরান ঢাকা বদলাচ্ছে, বদলে যাবে। মেয়র জানান, তিনি যখন ডিএসসিসির দায়িত্ব গ্রহণ করেন, তখন পুরান ঢাকার ৮৫ শতাংশ রাস্তাই ছিল ভাঙ্গাচোরা। দুই বছরে ৩০০টি রাস্তা সংস্কার করেছেন। পুরান ঢাকায় ৩৭ হাজার ২০০টি ল্যাম্পপোস্ট ছিল। কিন্তু সেগুলোর বেশিরভাগ বাতিই জ্বলত না। এখন পুরান ঢাকা এলইডি বাতির আলোয় আলোকিত। গতকাল রোববার দুপুরে রাজধানীর পুরান ঢাকার মালিটোলা মাঠে ডিএসসিসির ৩৫ নং ওয়ার্ডের উদ্যোগে আয়োজিত ‘জনতার মুখোমুখি জনপ্রতিনিধি’ শীর্ষক অনুষ্ঠানে মেয়র এ কথা বলেন।
ডিএসসিসি’র ৩৫ নং ওয়ার্ড কাউন্সিলর আবু সাঈদের সভাপতিত্ব অনুষ্ঠিত সভায় বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন ডিএসসিসি’র প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা খান মোহাম্মদ বিলাল, প্রধান সম্পত্তি কর্মকর্তা কামরুল ইসলাম চৌধুরীসহ ওয়াসা, ডেসকো, তিতাস গ্যাস ও ট্রাফিক বিভাগের প্রতিনিধিরা।
এসময় সাঈদ খোকন বলেন, মেয়র হিসেবে নয়, পুরান ঢাকার সন্তান হিসেবে আমি জানি কোথায় কী সমস্যা। সেই সমস্যার সমাধানও আমি করছি, করে যাচ্ছি। গত দুই বছরে পুরান ঢাকার অধিকাংশ রাস্তা সংস্কার করেছি। এবার আগাম বৃষ্টিতে রাস্তার ব্যাপক ক্ষতি হয়েছে জানিয়ে মেয়র বলেন, বৃষ্টির কারণে রাস্তা সংস্কারের কাজও পিছিয়ে গেছে। তবে বৃষ্টি শেষ হওয়ার পর সব ভাঙ্গাচোরা রাস্তা সংস্কার করে দেওয়া হবে।
সাঈদ খোকন বলেন, নগরবাসীর কথা চিন্তা করে আমরা মেগা প্রকল্পের আওতায় ১২টি খেলার মাঠ, ১৯টি পার্ক উন্নয়নের কাজ হাতে নিয়েছি। আন্তর্জাতিকভাবে স্বীকৃত আর্কিটেক্টদের দিয়ে নকশা করিয়ে এসব মাঠ ও পার্ক বিশ্বমানের করে গড়ে তোলা হবে। এসব কাজ শেষ হলে অনেকেই এই পুরান ঢাকায় দেখার জন্য আসবে। পুরান ঢাকা বদলে যাচ্ছে, বদলে যাবে।
অনুষ্ঠানে স্থানীয়দের কাছ থেকে বিভিন্ন অভিযোগ শুনে তাৎক্ষণিক কিছু সমস্যার সমাধান করেন মেয়র। কিছু কাজ পরবর্তীতে করে দেবেন বলে প্রতিশ্রুতি দেন।
এরমধ্যে ৩৫ নং ওয়ার্ডের মাইনুদ্দিন রোডের স্যুয়ারেজ লাইন আর পানির লাইনের সমস্যা (আজকের) সোমবারের মধ্যে ঠিক করে দেওয়া হবে বলে ওয়াসার প্রতিনিধিরাও কথা দেন। এছাড়া, মালিটোলায় একটি প্রাথমিক বিদ্যালয়কে উচ্চ মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের রূপান্তরে সংশিষ্ট মহলের সঙ্গে কথা বলে ফলাফল নিয়ে আশার আশ্বাস দেন মেয়র।
অনুষ্ঠানের পর ওয়ার্ডের সিরাজ-উদ-দৌলা পার্কের উন্নয়ন কাজের উদ্বোধন করেন মেয়রসহ অতিথিরা। প্রায় ৩ কোটি টাকা ব্যয়ে সাড়ে ৩২ হাজার বর্গফুটের এই পার্ককে অত্যাধুনিক রূপ দেওয়া হবে জানিয়ে মেয়র সেখানে বলেন, বিনোদনের পাশাপাশি নিরাপদে হাঁটার জন্য পার্কটি দর্শনীয় স্থানে পরিণত হবে।
সংশিষ্টরা জানান, প্রকল্প অনুযায়ী পার্কটির ভেতর থাকবে ফাউনটেইন ফোয়ারা, পাবলিক টয়লেট, কফিশপ, ওয়াকওয়ে, পাবলিক প্লাজা, ওয়াটার ট্যাপ, লাইটিং, কিডস জোন, নারীদের জন্য পৃথক জোনসহ সর্বাধুনিক সব সুযোগ-সুবিধা।
এছাড়া, মালিটোলা লেনে আরও একটি পার্কের উন্নয়ন কাজেরও উদ্বোধন করা হয়। ১৭ হাজার ৪২৪ বর্গফুটের এই পার্ক উন্নয়নে ব্যয় ধরা হয়েছে সাড়ে ৪ কোটি টাকা। এই পার্কেও আধুনিক সব সুযোগ-সুবিধা থাকবে বলে জানান প্রকল্প সংশিষ্টরা।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।