পটুয়াখালীর যুবক ক্বারী সাইয়্যেদ মুসতানজিদ বিল্লাহ রব্বানীর কোরআন তেলাওয়াতে মুগ্ধ যুক্তরাষ্ট্রবাসী
ইসলামি সভ্যতা ও সংস্কৃতি বিকাশে বাংলাদেশের অবদান অনস্বীকার্য। এদেশে ইসলামি সংস্কৃতি চর্চার ইতিহাস অনেক প্রাচীন।
‘সারাদেশে বৃষ্টি চলছে। চট্টগ্রাম থেকে ঢাকামুখী সুবর্ণ এক্সপ্রেসের ‘চ’ ও ‘ছ’ কোচের যাত্রীগণও উপভোগ করছেন মাথার উপর বৃষ্টি। সুবর্ণবিন্দু জলে স্নাত যাত্রীগণ পুণ্যলাভ করছেন। এই সুবর্ণ সুযোগ বঞ্চিত যাত্রীগণ প্রতিবাদ করবে বলে সংগঠিত হচ্ছে। টিকেটের সাথে নাস্তার মতো ছাতা ফ্রি দেবার বিষয়ে আলোচনা চলছে’। গতকাল (শনিবার) সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেইসবুকে এ মন্তব্যটি পোস্ট করেন একজন যাত্রী। তার নাম মোঃ জাফর আলম। সমগ্র দেশের মধ্যে সর্বাপেক্ষা ‘অভিজাত’ আন্তঃনগর বিরতিহীন ট্রেন হিসেবে যে ট্রেনের খ্যাতি-পরিচিতি সেই ট্রেনেরই ভুক্তভোগী যাত্রীদের বৃষ্টিতে ভিজে নাকাল হতে হয়েছে। জাফর আলমসহ ওই ট্রেনের যাত্রীরা গতকাল সকালে চট্টগ্রাম থেকে ঢাকা যাচ্ছিলেন।
ঢাকা-চট্টগ্রাম রুটে যাত্রীরা ভ্রমণের জন্য বেছে নেন সুবর্ণ এক্সপ্রেস ট্রেন। সময়ানুবর্তিতা এবং যাত্রীসেবার কারণে চালুর পর থেকে এ ট্রেনের খ্যাতি ছিল। অথচ গতকাল চট্টগ্রাম ছেড়ে যাওয়া এ ট্রেনটির বিভিন্ন বগির যাত্রীদের বৃষ্টির পানিতে ভিজে চরম অস্বস্তি আর দুর্ভোগ সঙ্গী করে কোনমতে ঢাকায় পৌঁছান। অনেকে নিজ আসনে বসতেও পারেননি। প্রথম শ্রেণির ট্রেনে এ ধরনের অব্যবস্থাপনা নিয়ে চরম ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন ভুক্তভোগী যাত্রীরা। তারা বলছেন, সংশ্লিষ্ট কর্তাব্যক্তিদের অবহেলার কারণেই জনপ্রিয় এ ট্রেনে ভ্রমণে আগের স্বাচ্ছন্দ্য ও আরাম ধীরে ধীরে লোপ পাচ্ছে।
গতকাল এ ট্রেনের যাত্রীরা জানান, ‘চ’ ও ‘ছ’ বগিসহ বিভিন্ন বগির জানালা ফাটা থাকায় ভেতরে পানি ঢুকেছে। ছাদ থেকেও পানি পড়ে। এ কারণে অনেক যাত্রী নিজ আসনে বসতে ব্যর্থ হন। মালপত্র সরিয়ে এখানে সেখানে দাঁড়িয়ে থেকে গন্তব্যে পৌঁছার জন্য অস্বস্তিকর অপেক্ষায় থাকতে হয়েছে তাদেরকে। অথচ বেশ কয়েকজন যাত্রী এ বিষয়টি ট্রেন পরিচালনার দায়িত্বে নিয়োজিত কর্মকর্তা-কর্মচারীদের কাছে বারবার জানালেও তারা ছিলেন নির্বিকার। যাত্রীরা প্রশ্ন তুলেছেন দেশের সর্বাপেক্ষা ‘অভিজাত’ ট্রেন হিসেবে পরিচিত এবং উঁচুহারে ভাড়া দিয়ে ভ্রমণের পরও যাত্রীদের এহেন দুর্ভোগ কেন পোহাতে হচ্ছে? ট্রেনের বগিগুলোর রক্ষণাবেক্ষণ বা মেরামত বাবদ মোটা অঙ্কের যে বরাদ্দ দেয়া হয়ে থাকে তা যায় কোথায়?
এ ব্যাপারে রেলওয়ে পূর্বাঞ্চলের সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তারা জানান, গতকালের আন্তঃনগর ট্রেন সুবর্ণর যাত্রীদের অভিযোগের বিষয়টি গুরুত্বের সাথে খতিয়ে দেখা হবে। যান্ত্রিক প্রকৌশল বিভাগের সংশ্লিষ্টদের সঙ্গে কথা বলে এর পেছনে কেউ কর্তব্যে অবহেলা বা দায়ী থাকলে ব্যবস্থা নেয়া হবে।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।