মাত্র ৪৮ ঘণ্টায় দেউলিয়া হলো যুক্তরাষ্ট্রের ২য় বৃহত্তম ব্যাংক
চলতি সপ্তাহের বুধবারও আর দশটি সাধারণ ব্যাংকের মতো বাণিজ্যিক ও আর্থিক লেনদেন সম্পন্ন করেছে যুক্তরাষ্ট্রের সিলিকন ভ্যালি ব্যাংক (এসভিপি), যা দেশটির দ্বিতীয় বৃহত্তম বাণিজ্যিক ব্যাংক
অস্ট্রেলিয়ার সবচেয়ে দুর্গম অঞ্চলের প্রায় ৫০০ কিলোমিটার গহীন মরুভূমিতে বেশ কয়েক বছর আগে হঠাৎ খুঁজে পাওয়া গিয়েছিল একটি প্রাচীন গ্রন্থ। পবিত্র কোরআন শরিফ মনে করে গ্রন্থটি সংরক্ষণ করা হচ্ছিল। কিন্তু একজন অস্ট্রেলিয়ান গবেষক সেখানে গিয়ে দেখতে পান এটি আসলে বাংলা ভাষায় লেখা শত বছরেরও আগের একটি পুঁথি। অস্ট্রেলিয়ার সবচেয়ে দুর্গম অঞ্চলের প্রায় ৫০০ কিলোমিটার গহীন মরুভূমিতে এখনও টিকে আছে প্রাচীন কিছু মসজিদ। গবেষক ড. সামিয়া খাতুন এই গবেষণার সূত্র ধরে বিশ শতকের শুরুতে অস্ট্রেলিয়ায় তৎকালীন বাংলা এবং ভারতবর্ষ থেকে মানুষের অভিবাসনের চমকপ্রদ এক ইতিহাসের সন্ধান পেয়েছেন। এ নিয়ে তার একটি বই শিগগিরই প্রকাশিত হতে যাচ্ছে লন্ডন থেকে। ড. সামিয়া খাতুন বলেন, ইতিহাসের বইতে যখন তিনি পবিত্র কোরআনের ওই কপিটির কথা পড়েন তখন তিনি তা দেখতে পাড়ি জমান অস্ট্রেলিয়ায়। তার ভাষায়, পাঁচশ কিলোমিটার পথ অতিক্রম করে বইটি খুঁজে বের করার পর খুলে দেখি সেটি কোরআন নয়, বাংলা কবিতা। ড. খাতুন তার গবেষণায় দেখেছেন, বহু জাহাজি সে সময় ওই এলাকায় গিয়েছিলেন। উটের ব্যবসার সঙ্গেও জড়িত ছিল বহু বাঙালি। অনেক বাঙালি সে সময় আয়ার কাজ করতে সেখানে গিয়েছিলেন বলেও উঠে এসেছে তার গবেষণায়। তিনি বলছেন, এরা সে সময় অস্ট্রেলিয়ার গহীন দুর্গম মরু অঞ্চলে কাজ করতে গিয়েছিলেন। প্রথমে লেখাটি ছাপা হয়েছিল ১৮৬১ সালে। পরে এটি এতটাই জনপ্রিয় হয়েছিল যে কয়েক বার পুনর্মুদ্রিত হয়ে যে কপিটি আমার হাতে আসে সেটি ১৮৯৫ সালে ছাপা। ড. খাতুন এসব মানুষের কাজ ও বসতির সূত্র ধরে অস্ট্রেলিয়ার ব্রোকেনহিল শহরে তাদের প্রথম অভিবাসী হয়ে আসার আগ্রহব্যঞ্জক তথ্য পেয়েছেন। তিনি বলেন, ‘এদের অনেকে উট নিয়ে কাজ করতে করতে সেখানে চলে গিয়েছিলেন। তবে সবচেয়ে বেশি লোক জাহাজে কাজ নিয়ে অস্ট্রেলিয়ায় পৌঁছেছিলেন। এরপর যে কোনও একটা কাজ জুটিয়ে নিয়ে মরুভূমি এলাকায় বা অস্ট্রেলিয়ার গহীন অঞ্চলে পৌঁছে যান।’ ড. খাতুন বলছেন, সেখানে যে মসজিদগুলো ছিল এই লোকেরা সেই মসজিদগুলোতে ঈদের সময় সমবেত হতেন। এভাবেই ব্র্রোকেনহিলসহ আশপাশের দুর্গম এলাকাগুলোয় তখন বাঙালিদের একটা বসতি গড়ে উঠে। আঠারো এবং উনিশ শতকে বিশ্বব্যাপী একটা ব্যাপক অভিবাসনের ইতিহাস রয়েছে। দুনিয়ার নানা প্রান্তের মানুষ সে সময় নানা জায়গায় গিয়ে বসতি গড়ে তুলেছেন। ওই সময়ে অস্ট্রেলিয়াতেও একই ঘটনা ঘটেছিল। তিনি বলছেন, এই বাঙালি অভিবাসীরা তখন অস্ট্রেলিয়ার গহীন এলাকায় পুঁথিপাঠ করতেন। এই বইয়ে যে বাংলা কবিতাগুলো রয়েছে; সেগুলো গান করে অন্যদের পড়ে শোনানো হতো। যেমনটা প্রাচীনকালে পুঁথিপাঠের ধারা ছিল। এ থেকে বোঝা যায়, ওই সময়ে অস্ট্রেলিয়ার মরুভূমিতে বাঙালিদের মধ্যে পুঁথি পাঠের সংস্কৃতি চালু ছিল। বিবিসি বাংলা।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।