পটুয়াখালীর যুবক ক্বারী সাইয়্যেদ মুসতানজিদ বিল্লাহ রব্বানীর কোরআন তেলাওয়াতে মুগ্ধ যুক্তরাষ্ট্রবাসী
ইসলামি সভ্যতা ও সংস্কৃতি বিকাশে বাংলাদেশের অবদান অনস্বীকার্য। এদেশে ইসলামি সংস্কৃতি চর্চার ইতিহাস অনেক প্রাচীন।
স্টাফ রিপোর্টার : আদালতের প্রতি বিএনপির শ্রদ্ধা নেই বলে মন্তব্য করে আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের বলেছেন, আদালত প্রাঙ্গণে বিএনপিপন্থী আইনজীবীদের হাতাহাতির মাধ্যমে প্রমানিত হয় আইনের প্রতি তাদের শ্রদ্ধা নেই। গত বৃহস্পতিবার দুপুর সোয়া ১টার দিকে পুরান ঢাকার বকশিবাজারে স্থাপিত বিশেষ জজ আদালতের অস্থায়ী এজলাস প্রাঙ্গণে বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়ার মামলার বিষয়ে বক্তব্য দেয়া নিয়ে ধাক্কাধাক্কি ও হাতাহাতি করেন বিএনপিপন্থী আইনজীবীরা।
গতকাল শুক্রবার সকালে রাজধানীর গুলশানের ইউথক্লাবে মাঠে ঢাকা মহানগর উত্তর আওয়ামী লীগের সদস্য সংগ্রহ ও নবায়ন অনুষ্ঠানে এ বিষয়ে দেয়া প্রতিক্রিয়ায় আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক এসব কথা বলেন। অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন ঢাকা মহানগর আওয়ামী লীগ উত্তরের সভাপতি একেএম রহমত উল্লাহ।
বিএনপি নেত্রী খালেদা জিয়া বারবার আদালতের কাছ থেকে সময় নিয়ে আদালতকে হেনস্তা করছেন বলেও মন্তব্য করেন কাদের। তিনি বলেন, বারে বারে আদালতে অনুপস্থিত থেকে, বারে বারে আদালতের কাছ থেকে সময় নিয়ে তিনি (খালোদা জিয়া) বিচার কাজকে বিলম্বিত করছেন, তিনি আদালতকে হেনস্তা করছেন। আমি বলবো, তিনি বার বার সময় নিচ্ছেন, আদালতকে হেনস্তা করছেন।
ওবায়দুল কাদের বলেন, আদালত প্রাঙ্গণে বিএনপিপন্থী আইনজীবীদের হাতাহাতি বিচারকাজ ব্যাহত করার পায়তারা। এটা কোনোভাবেই গ্রহণযোগ্য নয়। খালেদা জিয়াই আদালতকে হেনস্তা করছেন। তিনি আদালতে হাজিরা না দিয়ে একের পর এক তারিখ পিছিয়েছেন।
কাদের বলেন, গতকাল ওনার দলের আইনজীবীদের হাতাহাতি প্রমাণ করে তাদের আইনের প্রতি শ্রদ্ধা নেই। তারা ক্ষমতায় গেলে কি অবস্থা হবে সেটা আপনারা বুঝতে পারছেন।
দলের সদস্য সংগ্রহ অভিযানের ওই অনুষ্ঠানে আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক অভিযোগ করেন, দেশের অনেক সংবাদ মাধ্যম আওয়ামী লীগের প্রতি সুবিচার করছে না। তিনি বলেন, আমাদের নেত্রী দেশরতœ শেখ হাসিনাকে আপনারা সংবর্ধনা জানিয়েছেন, সংবর্ধনায় আমাদের কোন নেতাকর্মী কি রাস্তায় এসেছে? কেউ রাস্তায় এসেছে? তাদের (বিএনপির) যা উপস্থিতি এর চেয়ে বেশি ছিল আমাদের মহিলা উপস্থিতি। তারপরও রাস্তা অবরোধ করে শ্লোগান তুলে আমাদের নির্দেশ কেউ অমান্য করেনি।
ওবায়দুল কাদের বলেন, অথচ ঐদিন বিএনপির নেতাকর্মীরা এমন এক অরাজকতা, রাস্তা দখল করে মিছিল করেছে, বিশৃঙ্খলা করেছে, এরা ক্ষমতা পেলে কি করবে? এটা দেশের জনগণ গতকাল হারে হারে উপলব্ধি করেছে।
তিনি বলেন, আমি সাংবাদিক বন্ধুদের কাছে একটা অনুরোধ করবো, আমাদের কিছু কিছু বিষয়, আজকে যদি এটা আওয়ামী লীগের হতো তাহলে বলতো রাস্তায় সীমাহীন জনদুর্ভোগ আওয়ামী লীগের বেলায় বড় বড় এ ধরণের রিপোর্ট করে, আর গতকাল দেখলাম সেটা তারা ভুলে গেছে।
কাদের বলেন, কারও কারও বেলায় জনদুর্ভোগকেও তারা গ্রাহ্য করেন না। আওয়ামী লীগ হলে বলে আওয়ামী লীগ দুর্ভোগ সৃষ্টি করেছে। আওয়ামী লীগের বেলায় পান থেকে চুন খসলে বিশাল নিউজ আওয়ামী লীগের বিরুদ্ধে। আমি সংবাদিকতা করেছি, আমি কখনও মিডিয়াকে আক্রমন করে কথা বলি না। শুধু বলবো সুবিচার করবেন। আমাদের প্রশংসা লিখবেন, সমালোচনা করবেন, গঠনমূলক সমালোচনা শুদ্ধ করে। পক্ষপাতিত্ব করা এটা বোধহয় সঠিক নয়।
তিনি বলেন, আমরা অনুরোধ করবো যা সত্য তা বলুন, আমাদের বিরুদ্ধের বিষয় বলুন, আমরা স্বাগত জানাই। কিন্তু জনদুর্ভোগ আমরা করিনি, সে কথার কেউ প্রশংসা করেনি। জনদূর্ভোগ শেখ হাসিনার জনসভায় হয়নি। কিন্তু পরশুদিন যে জনদুর্ভোগ হলেও সেটাকে অনেকেই চেপে গেছেন। এটাতো সুবিচার নয়, এটাতো বস্তুনিষ্ট সাংবাদিকতা নয়, এটাতে আমার একটু কষ্ট লাগলো সেজন্য বলছি।
নির্বাচন কমিশনের কাছে দেয়া আওয়ামী লীগের প্রস্তাবে সেনাবাহিনী মোতায়নের বিরোধীতা আওয়ামী লীগের ছিলনা বলেও দাবি করেন কাদের। তিনি বলেন, আমরা কখনও বলিনি, আমরা সেনাবাহিনী মোতায়নের বিরুদ্ধে। আমরা বলেছি অ্যাক্ট অনুযায়ী নির্বাচন কমিশন, প্রধান নির্বাচন কমিশনার যদি মনে করে, তাহলে আইন অনুযায়ী সেনাবাহিনী মোতায়ন করবে। আমরা কখনও বলিনি যে নির্বাচনে সেনাবাহিনী মোতায়েন করা যাবে না।
সকল ভেদাভেদ ভুলে দলীয় নেতাকর্মীদের ঐক্যবদ্ধ হবার আহŸান জানিয়ে ওবায়দুল কাদের বলেন, দলকে ঐক্যবদ্ধ রাখুন। আগামী নির্বাচনে বিজয়ী হতে হবে। বিএনপিকে নিয়ে চিন্তা করার কোনো কারণ নেই। বিএনপি এখন এলোমেলো পার্টি। নির্বাচনের মাঠে তারা আওয়ামী লীগ থেকে অনেক পিছিয়ে।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।