নারী দিবস ম্যারাথনে পাপিয়া চ্যাম্পিয়ন
‘নিরাপদ সমাজ, নিরাপদ নারী’-স্লোগানে অনুষ্ঠিত নারী দিবস রেগুলার ম্যারাথনে রেগুলার বাংলাদেশের পাপিয়া খাতুন চ্যাম্পিয়ন, হামিদা
স্পোর্টস রিপোর্টার : টেস্টে হোয়াইটওয়াশ হওয়ার পর তিন ম্যাচ সিরিজের ওয়ানডেও হাতছাড়া হলো বাংলাদেশের। প্রথম ম্যাচের পর দ্বিতীয় ম্যাচে বাংলাদেশেকে ১০৪ রানে হেরে এরই মধ্যে সিরিজ খুইয়ে ফেলেছে মাশরাফি বিন মর্তুজার দল। দুটি হারই বড় ব্যবধানে। জয় তো দূরের কথা, বাংলাদেশ লড়াইটাই জমিয়ে তুলতে পারছে না। কেন পারছে না, মাশরাফির কাছে উত্তরটা অজানা নয়। জানালেন, আসলে দল হিসেবেই ভালো খেলতে পারছে না বাংলাদেশ।
সিরিজের প্রথম ওয়ানডেতে বড় ব্যবধানে হারলেও বাংলাদেশের প্রাপ্তি ছিল মুশফিকের সেঞ্চুরি। দ্বিতীয় ম্যাচেও প্রাপ্তি বলতে মুশফিক-ইমরুলের ফিফটি আর রুবেল-সাকিবের বোলিং। কিন্তু দু-একজনের ব্যক্তিগত পারফরম্যান্স নয়, মাশরাফি চাইছেন দল হিসেবে ভালো খেলতে। ম্যাচ শেষে বাংলাদেশ অধিনায়ক তাই বললেন, ‘আমাদের মূল সমস্যা হচ্ছে ব্যক্তিগত নৈপুণ্য দেখা যাচ্ছে কিন্তু দল হিসেবে ভালো খেলতে পারছি না।’
পার্লে বাংলাদেশ অবশ্য হেরে গেছে কিন্তু প্রতিপক্ষ দলের একজনের বিধ্বংসী ব্যাটিংয়ের কাছে। প্রথম ২০ ওভারে দক্ষিণ আফ্রিকা যেখানে ওভারপ্রতি ৬-এর নিচে রান তুলেছে, তারাই শেষ পর্যন্ত গড়েছে ৩৫৩ রানের পাহাড়। আর সেটি সম্ভব হয়েছে এবি ডি ভিলিয়ার্সের বিস্ফোরক ব্যাটিংয়ের সৌজন্যে। মাশরাফি হাসিমুখেই স্বীকার করলেন, ডি ভিলিয়ার্সের কাছে হেরেছে বাংলাদেশ, ‘এবি এসেছে আর আমাদের কাছ থেকে ম্যাচের নিয়ন্ত্রণ নিয়ে নিয়েছে। সবাই জানি, এবি একজন বিস্ফোরক ব্যাটসম্যান। এদিন সে তার অন্যতম সেরা ইনিংস খেলেছে। সে যখন এমন ছন্দে থাকে, আপনাকে তখন শতভাগ সেরাটা দিতে হবে। না হলে সে আপনাকে ভোগাবে। সেটাই হয়েছে। তবে আমাদের স্কোরটা ৩১০-৩২০ হতে পারত। ভালো শুরু করেছিলাম। তাহিরের উইকেটগুলো আমাদের অনেক চাপে ফেলেছে।’
তবে এর কারণটা যেমন জানা, তেননি টোটকাটাও দিয়ে দিলেন মাশরাফি। সিরিজের মাঝখানে একজন বোলার যতই অনুশীলন করুক খুব একটা উন্নতির সুযোগ দেখেন না ওয়ানডে অধিনায়ক। ভিন্ন কন্ডিশনের জন্য প্রস্তুত হতে সতীর্থদের সিরিজের বিরতির সময় কাজে লাগানোর তাগিদ দিয়েছেন। বাংলাদেশের বাইরের কন্ডিশনে গেলেই ভুগতে হচ্ছে বোলারদের। ভারত, শ্রীলঙ্কা, ইংল্যান্ড আর নিউ জিল্যান্ডে সেই অভিজ্ঞতা হয়েছে তাদের। তবে সব ছাড়িয়ে গেছে দক্ষিণ আফ্রিকায়। একদমই সুবিধা করতে পারছেন না বোলাররা। ভালো না করার একটা কারণ হতে পারে অনুশীলনের অভাব। কিন্তু সিরিজের মাঝখানে অনেক অনুশীলন করলেও খুব একটা উপকার দেখেন না মাশরাফি। তিনি অফ সিজনকে কাজে লাগাতে বললেন, ‘অবশ্যই অনুশীলন দরকার আছে। অনুশীলনের বিকল্প কিছু নাই। এই ধরনের কন্ডিশনে ভালো করার জন্য প্রচুর অনুশীলন করতে হবে। আমার মনে হয় না, সিরিজের মধ্যে এটা সম্ভব। যখন অফ সিজন থাকে বা বিরতি থাকে তখন সুনির্দি’ ব্যাপারগুলো নিয়ে কাজ না করলে এই ধরনের কন্ডিশনে এসে এমন সংগ্রাম করতে হবে।’
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।