পটুয়াখালীর যুবক ক্বারী সাইয়্যেদ মুসতানজিদ বিল্লাহ রব্বানীর কোরআন তেলাওয়াতে মুগ্ধ যুক্তরাষ্ট্রবাসী
ইসলামি সভ্যতা ও সংস্কৃতি বিকাশে বাংলাদেশের অবদান অনস্বীকার্য। এদেশে ইসলামি সংস্কৃতি চর্চার ইতিহাস অনেক প্রাচীন।
পালিয়ে আসছে হাজার হাজার রোহিঙ্গা
মিয়ানমারের আরাকান (রাখাইন) রাজ্য থেকে আবারো পালিয়ে আসছে হাজার হাজার রোহিঙ্গা। গত কয়েকদিনে অর্ধলক্ষাধিক রোহিঙ্গা সীমান্তের বিভিন্ন পয়েন্ট দিয়ে বাংলাদেশে পালিয়ে আসছে বলে নিশ্চিত হওয়া গেছে। গত সোমবার ও গতকাল মঙ্গলবার ভোররাত থেকে উখিয়ার সীমান্তের আনজুমানপাড়া দিয়ে নাফ নদী পেরিয়ে এসব রোহিঙ্গারা আশ্রয় নিচ্ছে বিভিন্ন শিবিরে। এছাড়াও টেকনাফের শাহ পরীর দ্বীপ দিয়ে সাগর পাড়ি দিয়ে প্রতিদিন রোহিঙ্গা আসার স্রোত বন্ধ হচ্ছে না।
আরাকানের বুছিদং এলাকার রোহিঙ্গা মুসলমানদেরকে জোর করে বাঙালী বলে কার্ড নিতে বাধ্য করা এবং তাদের খাবার সংকটের কারণে এতদিন ধরে ওখানে খেয়ে না খেয়ে অবস্থান করা রোহিঙ্গারা এখন পালিয়ে আসতে বাধ্য হচ্ছে বলে জানান এই পারে আশ্রয় নেয়া রোহিঙ্গারা।
পালিয়ে আসা রোহিঙ্গা নাগরিক বুঝিদং নয়ংশপাড়া গ্রামের মাদরাসা শিক্ষক হাফেজ ফয়েজ উল্লাহ (৪৮) জানান, তিনি নয়াপাড়া হাফেজিয়া মাদরাসার শিক্ষকতা করতেন। কয়েকদিন থেকে মিয়ানমারের সেনা ও রাখাইন সন্ত্রাসী যুবকেরা মাদরাসাটি দখল করে সেখানে ক্যাম্প করেছে।
হাফেজ ফয়েজ জানান, ওই ক্যাম্পে রোহিঙ্গা লোকজনদের ডেকে এনে বর্মী ভাষায় বাঙালী লেখা কার্ড নেয়ার জন্য জোর জবরদস্তি করছে। সেনাবাহিনীর নয়া কৌশল অনুমান করতে পেরে শিক্ষিত রোহিঙ্গারা এসব কার্ড গ্রহণ করছেনা। এতে ক্ষিপ্ত হয়ে বর্মী সেনারা গ্রামে গ্রামে গিয়ে গরু, ছাগল, হাস, মুরগি, ধান, চাল লুট করে নিয়ে যাচ্ছে। ঘরবাড়ী আগুন দিয়ে জ্বালিয়ে দিচ্ছে এবং মেরে ফেলার হুমকি প্রদর্শনের মত হিংসাত্মক আচরণে বুচদিং এর ১৪টি গ্রামে আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়েছে। যে কারণে রোহিঙ্গারা দলে দলে এপারে চলে আসতে বাধ্য হচ্ছে।
বুচিদং মুরাপাড়া গ্রাম থেকে পালিয়ে এসে আনজুমানপাড়া বেড়িবাঁধে নয় সদস্যের পরিবার নিয়ে বসে আছেন মো. মিয়া (৫৮)। তিনি জানান, মিয়ানমার সেনারা এবার শারীরিকভাবে নির্যাতন করছে না। তবে বাড়িঘরের মালামাল লুটপাট করছে। বিতরণ করছে বাঙালী লেখা সাদা কার্ড। কার্ড নিতে অপারগতা প্রকাশ করলে তাদের হাতে থাকা বন্দুক তাক করে রাতারাতি দেশত্যাগ করার নির্দেশ দিচ্ছে।
রোহিঙ্গা নাগরিক চান্দেরবিল আবদুল আমিন (৩৫) জানান, তারা সকলেই মিয়ানমারের ফাতিয়ারপাড়া ঢালা নামক স্থানে জড়ো হন বুধবারে। সেখানে বৃহস্পতিবার ও শুক্রবার পর্যন্ত তারা অবস্থান নেয় পথিমধ্যে ফেলে আসা স্বজনদের জন্য।
তিনি জানান, গত শনিবার ভোররাতে মিয়ানমার সেনা ও স্বশস্ত্র রাখাইন যুবকেরা তাদের অবস্থান লক্ষ্য করে গুলি বর্ষণ করে। এ সময় ছুটাছুটি করে পালাতে গিয়ে ৫০ জনের মত বয়োবৃদ্ধ নারী-পুরুষ গুরুতর আহত হয়েছে। তারা বেঁচে আছে কিনা জানা নেই। শতাধিক শিশু ও গর্ভবতী মহিলা নিখোঁজ রয়েছে। এভাবে আরো হাজার হাজার রোহিঙ্গা পালিয়ে আসছে। তারা এখনো পথে রয়েছে।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।