নারী দিবস ম্যারাথনে পাপিয়া চ্যাম্পিয়ন
‘নিরাপদ সমাজ, নিরাপদ নারী’-স্লোগানে অনুষ্ঠিত নারী দিবস রেগুলার ম্যারাথনে রেগুলার বাংলাদেশের পাপিয়া খাতুন চ্যাম্পিয়ন, হামিদা
বাবর-শাদাবে ২-০ পাকিস্তান
বাবর আজমের টানা দ্বিতীয় সেঞ্চুরি ও শাদাব খানের অল-রাউন্ড নৈপুণ্যে ঢাকা পড়ে গেল ওয়ানডে ক্রিকেটে শ্রীলঙ্কার হয়ে প্রথমবারের মত উপুল থারাঙ্গার ব্যাট ক্যারি করার রেকর্ড। লঙ্কান অধিনায়ক ওপেনে নেমে শেষ পর্যন্ত অপরাজিত থাকেন ১১২ রানে। তার পরও যোগ্য সঙ্গের অভাবে পাকিস্তানের দেওয়া ২২০ রানের ছোট লক্ষ্যেও হারতে হয়েছে ৩২ রানে। টেস্টে হোয়াইট ওয়াশ হওয়া পাকিস্তানের সামনে এখন সিরিজ জয়ের হাতছানি। আবু ধাবির একই মাঠে আজ সিরিজের তৃতীয় ওয়ানডে জিতলেই সেই লক্ষ্য পূরণ হবে পাকদের। ২০ ও ২৩ অক্টোবর শারজাহতে অনুষ্ঠিত হবে শেষ দুই ওয়ানডে। এরপর দুই দল আবু ধাবিতে ২৬ ও ২৭ অক্টোবর খেলবে প্রথম দুটি টি-২০ ম্যাচ। সিরিজের শেষ টি-২০ ম্যাচটি অনুষ্ঠিত হবে পাকিস্তানের লাহোরে।
আবু ধাবির শেখ জায়েদ স্টেডিয়ামে পরশু রাতে থারাঙ্গার আগে বোলারদের বিপক্ষে লড়তে দেখা যায় বাবরকে। এসময় তাকে যোগ্য সঙ্গ দেন শাদাব। দুজনে মিলে সপ্তম উইকেটে গড়েন ১০৯ রানের জুটি। ১০১ রানে ৬ উইকেট হারানো পাকিস্তানও পেয়ে যায় ২১৯ রানের লড়াকু সংগ্রহ। আরব আমিরাতে টানা পঞ্চম সেঞ্চুরির রেকর্ড গড়েন বাবর। এর আগে নির্দিষ্ট কোন দেশে টানা সেঞ্চুরির রেকর্ড ছিল এবি ডি ভিলিয়ার্সের, ভারতে। ১৩৩ বলে ৬ চারে এদিন ১০১ রান করেন বাবর। সব মিলে ৩৩ ইনিংসের ক্যারিয়ারে এটি তার সপ্তম শতক। এটিও কম ইনিংস খেলে ৭ সেঞ্চুরির রেকর্ড। এর আগে ৭ সেঞ্চুরি করতে সবচেয় কম সময় নিয়েছিলেন হাশিম আমলা, ৪১ ইনিংস।
বাবরের পর অপরাজিত ৫২ রানের মহামূল্যবান ইনিংস আসে শাদাবের ব্যাট থেকে। পরে ঘূুর্ণ বলে ৪৭ রানে ৩ উইকেট তুলে নিয়ে শ্রীলঙ্কাকে ৪৮ ওভারে ১৮৭ রানে গুটিয়ে দেন ১৯ বছর বয়সী শাদাব। ম্যাচসেরাও হন তিনি। ৯৩ রানে ৭ উইকেট হারানোর পর অষ্টম উইকেটে জেফরি ভান্ডারসেকে নিয়ে সর্বোচ্চ ৭৬ রানের জুটি গড়েন থারাঙ্গা। দ্বিতীয় সর্বোচ্চ ২২ রান আসে জেফরির ব্যাট থেকে। প্রথম শ্রীলঙ্কান ও বিশ্বের ১১তম ব্যাটসম্যান হিসেবে ওয়ানডে ইতিহাসে ইনিংস ওপেন করতে নেমে অপরাজিত ছিলেন থারাঙ্গা। ক্যারিয়ারের ১৫তম ওয়ানডে সেঞ্চুরির দিনে ১৪৪ বলে ১৪টি বাউন্ডারিতে ১১২ রান করেন তিনি।
এমন স্বল্প পুজি নিয়েও ম্যাচ জেতায় বোলারদের প্রশংসা করেছেন পাক অধিনায়ক সরফরাজ আহমেদ, ‘মাত্র ২১৯ রানেও রক্ষা, এজন্য বোলারদের প্রশংসা করে শেষ করা যাবে না। বাবর ও শাদাব দুজনেই বয়সে তরুণ, কিন্তু আজ তারাই দলকে জয়ের আনন্দ দিয়েছে।’ অন্যদিকে ব্যর্থতার দ্বায় ব্যাটসম্যানদের উপর চাপাচ্ছেন লঙ্কান দলপতি থারাঙ্গা, ‘এই ধরনের পরাজয় অত্যন্ত হতাশার। ৭ উইকেটে আমাদের রান যখন মাত্র ৯০ ছিল তখনই মূলত কাজটা কঠিন হয়ে যায়। এই ফলাফলে আমি সত্যিই হতাশ।’
ক’দিন আগে আনুষ্ঠানিকভাবে বোর্ডের কাছে পাকিস্তান সফরের ব্যাপারে লিখিতভাবে অনিচ্ছার কথা জানায় লঙ্কান খেলোয়াড়রা। তবে শ্রীলঙ্কা ক্রিকেট বোর্ড সফরের ব্যাপারে ইতিবাচক অবস্থানেই ছিল। গতকাল লঙ্কান বোর্ডের পক্ষ থেকে এ ব্যাপারে পরিষ্কারভাবে জানানো হয়- শ্রীলঙ্কা ক্রিকেট দল পাকিস্তান সফর করবে।
পাকিস্তান : ৫০ ওভারে ২১৯/৯ (বাবর ১০১, শাদাব ৫২*; গামাগে ৪/৫৭, পেরেরা ২/৩৪)। শ্রীলঙ্কা : ৪৮ ওভারে ১৮৭ (থারাঙ্গা ১১২; শাদাব ৩-৪৭)। ফল : পাকিস্তান ৩২ রানে জয়ী। ম্যান অব দ্য ম্যাচ : শাদাব খান (পাকিস্তান)। সিরিজ : ৫ ম্যাচে ২-০ তে এগিয়ে পাকিস্তান।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।