Inqilab Logo

শনিবার ৩০ নভেম্বর ২০২৪, ১৫ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৭ জামাদিউল সানী ১৪৪৬ হিজরি

রোহিঙ্গাদের জন্য ৩ হাজার একর ভূমি বরাদ্দ

উখিয়া (কক্সবাজার) উপজেলা সংবাদদাতা : | প্রকাশের সময় : ১৭ অক্টোবর, ২০১৭, ১২:০০ এএম

রোহিঙ্গাদের নিয়ে নিরাপত্তা ঝুঁকি এড়াতে অক্টোবর মাসের মধ্যে তাদের উখিয়ার কুতুপালং শরণার্থী শিবিরে নেয়ার পাশাপাশি নতুন করে বসতি স্থাপনের জন্য আরো দু’হাজার একর জায়গা বরাদ্দ দিয়েছে সরকার। এর মধ্যে উখিয়ার কুতুপালং এবং বালুখালী এলাকায় এক হাজার একর জায়গার ওপর বসতি এবং বাকি জায়গায় রোহিঙ্গাদের জন্য স্বাস্থ্য সেবার ব্যবস্থা করা হবে। সরকারি কর্মকর্তারা জানিয়েছেন, এ পর্যন্ত ছয় লাখের বেশি রোহিঙ্গা অনুপ্রবেশ করেছে।
মিয়ানমার সেনাবাহিনীর নির্যাতনের মুখে বাংলাদেশে রোহিঙ্গা অনুপ্রবেশ কোনোভাবেই বন্ধ হচ্ছেনা। উখিয়া ও টেকনাফের বিভিন্ন সীমান্ত এলাকা দিয়ে প্রতিদিন হাজার হাজার রোহিঙ্গা অনুপ্রবেশ অব্যাহত রেখেছে। কিছু রোহিঙ্গা উখিয়ার আশ্রয় শিবিরে চলে গেলেও বাকিরা ছড়িয়ে ছিটিয়ে যাচ্ছে বিভিন্ন স্থানে। এর ফলে দেখা দিয়েছে নিরাপত্তা ঝুঁকি।
কক্সবাজারের পুলিশ ড.একে এম ইকবাল হোসেন বলেন, তারা বিভিন্ন এলাকায় ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকে তাহলে বিভিন্ন ধরনের অপরাধে জড়িয়ে যাওয়ার সম্ভাবনা থাকে। এজন্যে তারা একটা এলাকায় যেনো থাকতে পারে সে জন্যে আমরা কাজ করে যাচ্ছি।
নিরাপত্তা ঝুঁকি এড়াতে বিভিন্ন পাহাড় এবং রাস্তার পাশে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা এক লাখের বেশি রোহিঙ্গাকে চলতি মাসেই নির্ধারিত স্থানে সরিয়ে নিতে চায় উপজেলা প্রশাসন। এরই অংশ হিসেবে রাস্তার পাশে ও অনির্ধারিত পাহাড়ে অবস্থানরত রোহিঙ্গাদের সরিয়ে নিচ্ছে সেনাবাহিনী।
উখিয়া উপজেলার নবাগত নির্বাহী কর্মকর্তা নিকারুজ্জামান বলেন, তাদেরকে আমাদের প্রস্তাবিত জায়গায় আনলে তাদের মানবিক চাহিদার বিষয়গুলো পূরণ করা সম্ভব হবে। আইন শৃঙ্খলা রক্ষা করা আমাদের পক্ষে সহজ হবে।
বন বিভাগের সর্বশেষ তথ্য অনুযায়ী, এখন পর্যন্ত কক্সবাজার জেলার টেকনাফ ও উখিয়ার অন্তত আড়াই হাজার একর বনভূমি রোহিঙ্গাদের দখলে চলে গেছে। যেখানে পাহাড় কেটে বসতি নির্মাণ করেছে ৫ লাখের বেশি রোহিঙ্গা।



 

দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।

ঘটনাপ্রবাহ: রোহিঙ্গা


আরও
আরও পড়ুন
এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ
গত​ ৭ দিনের সর্বাধিক পঠিত সংবাদ