পটুয়াখালীর যুবক ক্বারী সাইয়্যেদ মুসতানজিদ বিল্লাহ রব্বানীর কোরআন তেলাওয়াতে মুগ্ধ যুক্তরাষ্ট্রবাসী
ইসলামি সভ্যতা ও সংস্কৃতি বিকাশে বাংলাদেশের অবদান অনস্বীকার্য। এদেশে ইসলামি সংস্কৃতি চর্চার ইতিহাস অনেক প্রাচীন।
পরীক্ষা ছাড়াই রাষ্ট্রায়ত্ব আর্থিক প্রতিষ্ঠান ইনভেস্টমেন্ট করপোরেশন অব বাংলাদেশের (আইসিবি) কোম্পানি আইসিবি অ্যাসেট ম্যানেজমেন্টের ৮ কর্মকর্তাকে নিয়োগ দেয়া হয়েছে। অফিসার ও অ্যাসিস্ট্যান্ট অফিসার পদের এই নিয়োগে অনিয়মের মাধ্যমে পছন্দের লোককে নিয়োগ দেয়ার প্রমাণ পাওয়া গেছে। সম্প্রতি এসব কর্মকর্তাকে নিয়োগ দেয় প্রতিষ্ঠানটি। এদিকে কর্মকর্তা নিয়োগে ব্যাপক অনিয়ম করলেও আইসিবি অ্যাসেট ম্যানেজমেন্ট কোম্পানির সিইও মো. গোলাম রাব্বানি ইনকিলাবকে বলেন, নিয়োগে কোন অনিয়ম হয়নি। বোর্ডের সিদ্ধান্ত অনুযায়ী সব নিয়ম মেনেই নিয়োগ দেয়া হয়েছে। তবে আইসিবি অ্যাসেটের সিইও ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের এমআইএস বিভাগের মাধ্যমে নিয়োগ পরীক্ষা নেওয়ার দাবি করলেও ওই বিভাগের প্রধান জানিয়েছেন, তারা কোনও পরীক্ষা নেননি। এ বিষয়ে গোলাম রাব্বানি বলেন, তাহলে কিছু বলার নেই।
অনুসন্ধানে জানা যায়, নিয়োগ বিজ্ঞপ্তিতে এমন শর্ত জুড়ে দেওয়া হয়েছে যাতে শুধু নিজেদের পছন্দের লোকই চাকরি পায়। আইসিবি অ্যাসেট ম্যানেজমেন্ট কোম্পানি লিমিটেড গত ২৩ জুলাই নিয়োগ বিজ্ঞপ্তি দেয় অফিসার ও অ্যাসিস্ট্যান্ট অফিসার গ্রেড-২ পদে নিয়োগের জন্য। নিয়োগ বিজ্ঞপ্তিতে পদের সংখ্যা উল্লেখ করা হয় নি। আবেদনের সময় দেওয়া হয় মাত্র ১০ দিন। ৩ আগস্টের মধ্যে আবেদন জমা দিতে বলা হয়। নিয়োগ বিজ্ঞপ্তিতে শর্ত উল্লেখ করা হয়, রাষ্ট্র মালিকানাধীন কোন অ্যাসেট ম্যানেজমেন্ট কোম্পানিতে ন্যূনতম ৬ মাস অথবা কোন অ্যাসেট ম্যানেজমেন্ট কোম্পানিতে ন্যূনতম ১ বছর চাকুরির অভিজ্ঞতা অবশ্যই থাকতে হবে (সমপর্যায়ের পদে চাকুরিরত প্রার্থীদের অগ্রাধিকার দেয়া হবে)।
এসব শর্ত নিয়ে প্রশ্ন উঠেছে খোদ আইসিবিতেই। প্রতিষ্ঠানটির একাধিক কর্মকর্তা বলেছেন, মূলত আগে থেকে পেরোল ভিত্তিতে কোম্পানিটিতে নিয়োগ দেওয়া কর্মকর্তাদের নিয়মিত করে নিতেই এই নিয়োগ বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করা হয়। এমন শর্ত জুড়ে দেওয়া হয় যাতে অন্য কেউ আবেদন করতে না পারে। দেশে রাষ্ট্রায়ত্ব অ্যাসেট ম্যানেজমেন্ট কোম্পানি একটিইÑ আইসিবি অ্যাসেট ম্যানেজমেন্ট কোম্পানি। সমপর্যায়ের পদে কর্মরতদের অগ্রাধিকারের বিষয়টি রাখা হয়েছে, যাতে আইসিবিতে আগে থেকেই পেরোলে থাকা কর্মকর্তাদের নিয়োগ দেওয়া যায়।
এ বিষয়গুলো নিয়ে আইসিবি অ্যাসেট ম্যানেজমেন্ট কোম্পানির সিইও মো. গোলাম রাব্বানি বলেন, ‘এই শর্ত দেওয়া হয়েছে, কারণ যারা আগে থেকেই পেরোলে কর্মরত আছেন তাদের কোম্পানির প্রতি অগ্রাধিকার বেশি। প্রতিষ্ঠানেরও তাদের প্রতি দায়বদ্ধতা তৈরি হয়েছে। তাই তাদেরকে সুযোগ দেওয়া হয়েছে।’
‘তবে আমরা নিয়ম-নীতি মেনেই পরীক্ষার আয়োজন করে তাদের নিয়োগ দিয়েছি। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের এমআইএস বিভাগ লিখিত পরীক্ষা নিয়েছে। তারপর আইসিবি অ্যাসেট ম্যানেজমেন্ট বোর্ড ভাইভার মাধ্যমে উত্তীর্ণদের নিয়োগ দিয়েছে।”
কতজন আবেদন করেছে, কতজনকে নিয়োগ দেওয়া হয়েছে, এর মধ্যে আইসিবিতে কর্মরত কতজনÑ জানতে চাইলে সিইও বলেন, ‘মোট ২শ জন আবেদন করেছিল। বাইরের লোকজনও পরীক্ষা দিয়েছে। এদের মধ্যে ৮জনকে নিয়েছি। ৭ জন আইসিবিতে পেরোলে কর্মরত ছিল। আর একজনকে আমরা বাহির থেকে নিয়েছি।’
লিখিত পরীক্ষার বিষয়টি নিশ্চিত হওয়ার জন্য ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের এমআইএস বিভাগের চেয়ারম্যান প্রফেসর হেলাল উদ্দিনকে ফোন দিলে তিনি বলেন, আমরা আইসিবি’র কোনও পারীক্ষা নেইনি। পরীক্ষার বিষয়ে আমার কিছু জানা নেই। পরীক্ষা নেওয়া হলে বিভাগের চেয়ারম্যান হিসেবে আমার জানার কথা, কারণ এটা একটা বড় আয়োজন। আমি জানি না এ বিষয়ে।
এমআইএস বিভাগের চেয়ারম্যানের বক্তব্য গোলাম রাব্বানির সামনে তুলে ধরলে তিনি বলেন, “এমআইএস বলেছে পরীক্ষা নেয়নি? এমআইএস বলেছে পরীক্ষা হয়নি? তাহলে কিছু বলার নেই।
আইসিবি চেয়ারম্যান প্রফেসর ড. মজিব উদ্দিন আহমেদ, যিনি আইসিবি অ্যাসেট ম্যানেজমেন্টরও চেয়ারম্যানÑ নিয়োগ অনিয়মের বিষয়ে জানতে চাইলে বলেন, ‘এ বিষয়ে আমি কিছু বলতে পারবো না। যথাযথ প্রক্রিয়া অনুসরণ করেই নিয়োগ দেওয়া হয়েছে। যা বলার এমডি’র সঙ্গে বলেন।’ আইসিবি ব্যবস্থাপনা পরিচালক (এমডি) সানাউল হকের মোবাইল ফোনে বার বার ফোন দিলেও ফোন রিসিভ করেন নি। এমনকি মোবাইলে ক্ষুদে বার্তা দিলেও তিনি সারা দেননি।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।