পটুয়াখালীর যুবক ক্বারী সাইয়্যেদ মুসতানজিদ বিল্লাহ রব্বানীর কোরআন তেলাওয়াতে মুগ্ধ যুক্তরাষ্ট্রবাসী
ইসলামি সভ্যতা ও সংস্কৃতি বিকাশে বাংলাদেশের অবদান অনস্বীকার্য। এদেশে ইসলামি সংস্কৃতি চর্চার ইতিহাস অনেক প্রাচীন।
অর্থনৈতিক রিপোর্টার : বেসরকারি আইসিবি ইসলামী ব্যাংকের (সাবেক দি ওরিয়েন্টাল ব্যাংক লিমিটেড পুনর্গঠন স্কিম ২০০৭) স্কিমের মেয়াদ আবারো বাড়ানো হয়েছে। নির্ধারিত সময় শেষ হওয়ার প্রায় দেড় বছর আগেই এই স্কিমের মেয়াদ ২০২১ সালের ৪ এপ্রিল পর্যন্ত বৃদ্ধি করেছে বাংলাদেশ ব্যাংক। ব্যাংক কোম্পানি আইন ১৯৯১ (১৯৯১ এর ১৪ নং আইন) -এর ৭৭ ধারার ৪ উপধারায় প্রদত্ত ক্ষমতাবলে প্রণীত দি ওরিয়েন্টাল ব্যাংক (পুনর্গঠন) স্কিম-২০০৭ অনুযায়ী এ আদেশ জারি করেছে বাংলাদেশ ব্যাংক।
গতকাল বৃহস্পতিবার বাংলাদেশ ব্যাংকের ব্যাংকিং প্রবিধি ও নীতি বিভাগ থেকে এ বিষয়ে সার্কুলার জারি করা হয়েছে, যা দেশের সব তফসিলি ব্যাংকের প্রধান নির্বাহীদের কাছে পাঠানো হয়েছে। ফলে ব্যাংকটি গ্রাহকের আমানত ফেরত দিতে অতিরিক্ত আরো তিন বছর সময় পেল। এর আগে কয়েক দফা সময় বৃদ্ধির পর এই স্কিমের ২০১৮ সালের ৪ এপ্রিল পর্যন্ত বৃদ্ধি করেছিল বাংলাদেশ ব্যাংক। ২০১৪ সালের ৩ এপ্রিল ওই সার্কুলার জারি করেছিল বাংলাদেশ ব্যাংক। এ বিষয়ে বাংলাদেশ ব্যাংকের দায়িত্বশীল এক কর্মকর্তা বলেন, ব্যাংকটির পাওনা পরিশোধ সহজ করতেই এ সময় বাড়ানোর সিদ্ধান্ত হয়েছে। ফলে তারা এখন বেশি কিস্তিতে পাওনা পরিশোধ করতে পারবে।
জানা গেছে, স্কিম চালুর শুরুতে ব্যাংকটির পাওনা পরিশোধে কিস্তির সর্বনি¤œ সীমা ছিল ৫০ হাজার টাকা। পর্যায়ক্রমে তা এক লাখ, পাঁচ লাখ, ১০ লাখ, ২০ লাখ, ৫০ লাখ ও এক কোটি টাকা পর্যন্ত নির্ধারণ করা হয়। বর্তমানে যে কিস্তিগুলো বাকি রয়েছে, তার সবকয়টির সীমাই এক কোটি টাকার ওপরে রয়েছে। যেগুলো পরিশোধ করা কঠিন হওয়ায় স্কিমের মেয়াদ বাড়িয়ে কিস্তিগুলো সমন্বয় করার আবেদন জানানো হয় ব্যাংকটির পক্ষ থেকে।
নতুন প্রজ্ঞাপনে বলা হয়, এই মেয়াদ বৃদ্ধির ফলে দি ওরিয়েন্টাল ব্যাংক লিমিটেড (পুনর্গঠন) স্কিম-২০০৭ -এর অনুচ্ছেদ ১০ -এর শর্তাংশে উল্লিখিত ‘এই স্কিম কার্যকর হওয়ার ‘১০ বছর পর’ এর পরিবর্তে এখন এই স্কিম কার্যকর হওয়ার ১৩ বছর পর প্রতিস্থাপিত হবে। এতে পাওনা পরিশোধে কিস্তির পরিমাণ ও মেয়াদও ঠিক করে দেয়া হয়েছে। বলা হয়েছে, প্রথম কিস্তির ২০ লাখ টাকা নির্ধারিত দিনের ১০২ মাস পর থেকে ১০৮ মাসের মধ্যে (৮ বছর থেকে ৬ মাস থেকে ৯ বছর), দ্বিতীয় কিস্তির ২০ লাখ টাকা ১০৮ মাস পর থেকে ১১৪ মাসের মধ্যে, তৃতীয় কিস্তির ২০ লাখ টাকা ১১৮ মাস পর থেকে ১২০ মাসের মধ্যে, চতুর্থ কিস্তির ২০ লাখ টাকা ১২০ মাস পর থেকে ১২৬ মাসের মধ্যে, পঞ্চম কিস্তির ২০ লাখ টাকা ১২৬ মাস পর থেকে ১৩২ মাসের মধ্যে, ষষ্ঠ কিস্তির ২০ লাখ টাকা ১৩২ মাস পর থেকে ১৩৮ মাসের মধ্যে, সপ্তম কিস্তির ৫০ লাখ টাকা ১৩৮ মাস পর থেকে ১৪৪ মাসের মধ্যে, অষ্টম স্কিস্তির ৫০ লাখ টাকা ১৪৪ মাস পর থেকে ১৫০ মাসের মধ্যে ও নবম কিস্তির ৫০ লাখ টাকা ১৫০ মাস পর থেকে ১৫৬ মাসের মধ্যে পরিশোধ করতে হবে। এ ছাড়া অবশিষ্ট স্থিতি পরিশোধ করতে হবে নির্ধারিত দিনের ১৫৬ মাস পর (১৩ বছর)।
জানা যায়, জালিয়াতি ও অর্থ আত্মসাতের পরিপ্রেক্ষিতে বেসরকারি ওরিয়েন্টাল ব্যাংকে ২০০৬ সালে বড় ধরনের সঙ্কট সৃষ্টি হয়। পরে ওই বছরের ১৯ জুন বাংলাদেশ ব্যাংক ওরিয়েন্টাল ব্যাংকের পরিচালনা পরিষদ বিলুপ্ত ও ব্যবস্থাপনা পরিচালককে অপসারণ করে ব্যাংকটিতে প্রশাসক নিয়োগ করে। পরে ব্যাপক তদন্ত করে ব্যাংকটি পুনর্গঠন করার উদ্যোগ নেয় কেন্দ্রীয় ব্যাংক। এরই ধারাবাহিকতায় বাংলাদেশ ব্যাংক ‘দি ওরিয়েন্টাল ব্যাংক লিমিটেড (পুনর্গঠন) স্কিম, ২০০৭ জারি করে, যা ২০০৮ সালের ৫ মে থেকে কার্যকর হয়। এই স্কিমের আওতায় আমানত ও অন্যান্য দায় পরিশোধে এবং মূলধন বৃদ্ধিসহ বহুবিধ পদক্ষেপ নেয়া হয়। স্কিমের আওতায় ব্যাংকটির মূলধন বৃদ্ধি করে খোলা দরপত্রের মাধ্যমে মালিকানা বিক্রি করা হয়। মালয়েশিয়ার একটি প্রতিষ্ঠান এই ব্যাংকের মালিকানা কিনে নেয়। পরে এর নাম পরিবর্তন করে নতুন নামকরণ করা হয় আইসিবি ইসলামী ব্যাংক।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।