পটুয়াখালীর যুবক ক্বারী সাইয়্যেদ মুসতানজিদ বিল্লাহ রব্বানীর কোরআন তেলাওয়াতে মুগ্ধ যুক্তরাষ্ট্রবাসী
ইসলামি সভ্যতা ও সংস্কৃতি বিকাশে বাংলাদেশের অবদান অনস্বীকার্য। এদেশে ইসলামি সংস্কৃতি চর্চার ইতিহাস অনেক প্রাচীন।
জাতিগত নিধনের শিকার হয়ে রাখাইন থেকে পালিয়ে আসা লাখ লাখ রোহিঙ্গার পাশে দাঁড়িয়েছে বাংলাদেশের মানুষ। ফরাসি বার্তা সংস্থা এএফপির এক প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, গ্রাম থেকে শহরে কিংবা মসজিদ থেকে বিদ্যালয়ে; কক্সবাজারের শরণার্থী শিবিরে থাকা বিপন্ন রোহিঙ্গাদের জন্য মানবিক সহায়তার উদ্যোগ নিয়েছে দেশের সর্বস্তরের মানুষ। আন্তর্জাতিক অভিবাসন সংস্থা (আইওএম) বলছে, রাখাইন থেকে পালিয়ে আসা প্রায় ১০ লাখ রেহিঙ্গার মধ্যে সাড়ে সাত লাখ মানুষ মানবিক সহায়তার ওপর নির্ভর করছে। নতুন রোহিঙ্গা ঢলে বাংলাদেশের কক্সবাজারের শরণার্থী শিবিরে স্বাস্থ্যঝুঁকি বেড়ে গেছে বলেও জানিয়েছে সংস্থাটি।
অক্টোবরের ২৫ তারিখে রাখাইনের সেনা অভিযান জোরদারের পর থেকে এ পর্যন্ত ৫ লাখ ৩৬ হাজার রোহিঙ্গা বাংলাদেশে এসেছে, জানিয়েছে আইওএম। শরণার্থী প্রবেশ অব্যাহত থাকায় তাদের জন্য আরও মানবিক সহায়তার তাগিদ দিয়েছে সংস্থাটি। বিবৃতিতে তারা বলছে, কক্সবাজারে রোহিঙ্গা শরণার্থীদের আসা অব্যাহত থাকায় সেখানে জরুরি মানবিক সহায়তার চাহিদাও বৃদ্ধি পাচ্ছে। বিশুদ্ধ পানি আর স্যানিটেশনের অভাবে শরণার্থী শিবিরগুলোতে সংক্রামক রোগ ছড়িয়ে পড়ার আশঙ্কা বেড়েছে। এদিকে নতুন রোহিঙ্গা ঢলে আসাদের মধ্যে গর্ভবতী নারী ও শিশুর সংখ্যা বেশি হওয়ায় মাতৃত্ব, নবজাতক ও শিশু স্বাস্থ্যে ঝুঁকির আভাস দিয়েছে আইওএম।
আইওএমর সিনিয়র আঞ্চলিক স্বাস্থ্য কর্মকর্তা প্যাট্রিক ডিগান হুঁশিয়ারি উচ্চারণ করে বলেন, স্বল্প স্থানে অতিরিক্ত লোক গাদাগাদি করে বসবাস করায় এবং বিশুদ্ধ খাবার পানি ও স্যানিটেশনের অভাবে মারাত্মক রোগ ছড়িয়ে পড়ার ঝুঁকি রয়েছে। নতুন করে আসা শরণার্থীদের মধ্যে গর্ভবতী মহিলা ও শিশুর সংখ্যা অধিক। তাদের জন্য প্রয়োজনীয় স্বাস্থ্য সুবিধার অভাব রয়েছে। ফলে মাতৃত্ব, নবজাতক ও শিশু স্বাস্থ্যে ঝুঁকি রয়েছে।
ওই বিবৃতিতে জানানো হয়েছে, প্রায় ১০ লাখ শরণার্থীর মধ্যে প্রায় সাড়ে সাত লাখ রোহিঙ্গা শরণার্থী আশ্রয়, খাদ্য, পানি, স্যানিটেশন এবং অন্যান্য জীবনরক্ষাকারী সামগ্রীর জন্য মানবিক সহায়তার ওপর নির্ভর করছে। এই প্রেক্ষাপটে আন্তর্জাতিক স¤প্রদায় এবং ত্রাণ সংস্থাগুলো রোহিঙ্গাদের মানবিক সহায়তা নিশ্চিতে কাজ করে যাচ্ছে। তবে বসে নেই বাংলাদেশের মানুষও। তারাও বিপন্ন মানবতার প্রতি সহায়তার হাত বাড়িয়েছে।
এএফপির এক প্রতিবেদনে বিপুল সংখ্যক শরণার্থীর দায়ভার সারাজীবন বাংলাদেশের পক্ষে বহন করা সম্ভব কিনা, তা নিয়ে শঙ্কা জানানো হয়েছে। বাংলাদেশের মানুষও যে রোহিঙ্গাদের কর্মসংস্থান আর ভবিষ্যত নিয়ে চিন্তিত, সে কথাও উঠে এসেছে সেই প্রতিবেদনে। তবে সেই প্রতিবেদনে জোর দিয়ে রোহিঙ্গাদের সহায়তায় বাংলাদেশের সাধারণ মানুষের মানবিক প্রচেষ্টার কথা তুলে ধরা হয়েছে।
এএফপির ওই প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, গ্রাম থেকে মসজিদ কিংবা স্কুল... বাংলাদেশের মানুষ ভবিষ্যতের অনিশ্চয়তা সত্তে¡ও সাধ্যের সবটুকু দিয়ে বিপন্ন রোহিঙ্গাদের সহায়তা করে যাচ্ছে। রোহিঙ্গাদের জন্য নগদ টাকা থেকে খাবার- মোমবাতি-পোশাক সবই সংগ্রহ করছে বাংলাদেশের সাধারণ মানুষ। যার যা সামর্থ্য তাই দিয়ে পৃথিবীর সবথেকে নিপীড়িত জনগোষ্ঠীর মানুষকে সহায়তার চেষ্টা করছে তারা। রোহিঙ্গাদের সহায়তা করতে পেরে খুবই খুশি তৃতীয় শ্রেণি পড়ুয়া এক শিশু। শিক্ষক রোহিঙ্গাদের বিপন্নতার ব্যাপারটা বুঝিয়ে বলার পর মেয়েটি তাদের মানবিক সহায়তা করতে পেরে খুবই খুশি। সে বলেছে, আমার মতো বহু শিশু সেখানে দুর্ভোগের শিকার হচ্ছে। আমাদের অবশ্যই তাদের সহায়তা দেওয়া উচিত।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।