Inqilab Logo

সোমবার ২৫ নভেম্বর ২০২৪, ১০ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২২ জামাদিউল সানী ১৪৪৬ হিজরি

মজুরি না পেয়ে ৩ শতাধিক শ্রমিকের মানবেতর জীবন

সুন্দরগঞ্জে ইজিপিপি প্রকল্প

প্রকাশের সময় : ২৩ জানুয়ারি, ২০১৬, ১২:০০ এএম

সুন্দরগঞ্জ (গাইবান্ধা) উপজেলা সংবাদদাতা : সুন্দরগঞ্জ উপজেলার ধোপাডাঙ্গা ইউনিয়নের অতিদরিদ্রদের জন্য কর্মসংস্থান কর্মসূচি (ইজিপিপি) প্রকল্পের ৪০ দিনের কাজ শেষ করেও ৩৩০ জন শ্রমিক মজুরি না পেয়ে মানবেতর জীবনযাপন করছেন। জানা গেছে, ২০১৫-১৬ অর্থ বছরের প্রথম দফায় কর্মসংস্থান কর্মসূচির শ্রমিক লটারির মাধ্যমে নিয়োগ করা হয়। এরপর ইউপি চেয়ারম্যান কর্তৃক দাখিলকৃত শ্রমিক তালিকা ও প্রকল্পের তালিকা গত ১৯ নভেম্বর/১৫ উপজেলা প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্তার অনুমোদনের পর ২৩ নভেম্বর সকল ওয়ার্ডে একযোগে কাজ আরম্ভ করা হয়। নিয়ম অনুযায়ী শ্রমিকরা স্ব-স্ব ব্যাংক একাউন্ট থেকে দৈনিক ২০০ টাকা হারে সাপ্তাহিক মজুরি পাওয়ার কথা। এ কর্মসূচিতে প্রকল্প চেয়ারম্যান, ট্যাগ অফিসার ও প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্তা শ্রমিকদের মজুরি প্রদানে যাবতীয় কার্যাদি সম্পন্ন করার কথা। সেখানে সপ্তাহে ৫ দিন কাজ করায় গত ১৪ জানুয়ারি/১৬ শ্রমিকদের ৪০ দিনের কাজ শেষ হলেও একটি টাকাও তারা পায়নি। ফলে অন্য কোন আয়মূলক কাজ করতে না পেরে শ্রমিকরা মানবেতর জীবনযাপন করছেন। ধোপাডাঙ্গা ইউনিয়নের ১নং ওয়ার্ডের শ্রমিক রাঙ্গা মিয়া, ৩নং ওয়ার্ডের আব্দুস সাত্তার, ৪নং ওয়ার্ডের জাহাঙ্গীর মিয়া, ৫নং ওয়ার্ডের মোনারুল, ভোলা মিয়া ও রাবেয়া বেগম জানান, মজুরি না পেয়ে অতি কষ্টে দিনাতিপাত করছি। এ ব্যাপারে ইউপি চেয়ারম্যান ইঞ্জিনিয়ার এটিএম মাহবুব আলম শাহীন জানান, আমার পক্ষ থেকে যা-যা করণীয় তা সঠিক সময়ে করেছি। তিনি আরো জানান, উপজেলা পরিষদের সিদ্ধান্ত মোতাবেক  আমার ইউনিয়নে ৩২০ জন শ্রমিক লটারির মাধ্যমে নিয়োগ দেয়া হয়। বাকি ১০ জন শ্রমিক সর্দার আলোচনার ভিত্তিতে নিয়োগ দেয়া হয়। প্রকল্প চেয়ারম্যানের গাফিলতির কারণে ৩৩০ জন শ্রমিক এখনো মজুরি পায়নি। এছাড়া উপজেলা প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্তা এক মাস করার পর  ১৮ জন  শ্রমিকের কাজ স্থাগিত করেন যা বিধি বহির্ভূত। তবে এ ব্যাপারে উপজেলা প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্তা নুরুন্নবী সরকার জানান, লটারিতে স্বামী-স্ত্রী উভয়, বয়স্কভাতা ভোগী বা অন্যান্য সুবিধা ভোগীসহ লটারিছাড়া ১০ জনসহ ১৮ জনকে বাতিল করা হয়েছে। এ ব্যাপারে উপজেলা নির্বাহী অফিসার মুহাঃ আবদুল হাই মিলটন জানান, ধোপাডাঙ্গা ইউপি চেয়ারম্যানের সাথে সদস্যদের বিরোধ চলে আসছে। যার কারণে চেয়ারম্যান তার পরিষদের রেজুলেশন দিতে পারে নাই। আইন অনুযায়ী প্যানেল চেয়ারম্যান তলবী সভা করে রেজুলেশন জমা দিয়েছেন।  রেজুলেশনে পরিষদের ১১ সদস্যের স্বাক্ষর রয়েছে। এ কারণেই শ্রমিকদের মজুরি দিতে বিলম্ব হলেও প্রক্রিয়া  মোতাবেক সকল কাজ সম্পন্ন করে আগামী ২/১ দিনের মধ্যে মজুরি দেয়া হবে।



 

দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।

ঘটনাপ্রবাহ: মজুরি না পেয়ে ৩ শতাধিক শ্রমিকের মানবেতর জীবন
আরও পড়ুন
গত​ ৭ দিনের সর্বাধিক পঠিত সংবাদ