Inqilab Logo

শনিবার, ২৯ জুন ২০২৪, ১৫ আষাঢ় ১৪৩১, ২২ যিলহজ ১৪৪৫ হিজরী

মির্জাপুরে মা সিএনজি ফিলিং স্টেশনে রাতের আঁধারে অবৈধভাবে গ্যাস বিক্রি

| প্রকাশের সময় : ১৫ অক্টোবর, ২০১৭, ১২:০০ এএম

মির্জাপুর (টাঙ্গাইল) উপজেলা সংবাদদাতা : টাঙ্গাইলের মির্জাপুর বাইপাসে অবস্থিত মা সিএনজি ফিলিং স্টেশনে রাতের আধারে অবৈধভাবে গ্যাস বিক্রির মহোৎসব চলছে বলে জানা গেছে। আইনের তোয়াক্কা না করে মাসের পর মাস ধরে ঝুঁকিপূর্ণ সিলিন্ডারের মাধ্যমে গ্যাস বিক্রি ও সরবরাহ করছে পাম্প কর্তৃপক্ষ। ইতিপূর্বে উল্লেখিত অভিযোগ পাম্প মালিককে কাছ থেকে কয়েক দফা জরিমানা আদায় করলেও অবৈধ গ্যাস বিক্রি ও সরবরাহ চালু অব্যহত রয়েছে বলে খোঁজ নিয়ে জানা গেছে। জানা গেছে, ঢাকা-টাঙ্গাইল মহাসড়কের মির্জাপুর বাইপাসের বাওয়ার কুমারজানী এলাকায় অবস্থিত মা সিএনজি ফিলিং স্টেশনের বিরুদ্ধে শুরু থেকেই মিটার কারসাজির মাধ্যমে গ্যাস চুরি, অনিয়মিত বিল পরিশোধসহ নানা অনিয়মের অভিযোগ রয়েছে। ইতিপূর্বে মিটার কারসাজি (টেম্পারিং) মাধ্যমে গ্যাস চুরির বিষয়টি ধরা পড়লে কয়েক দফায় জরিমানা দেয় পাম্প কর্তৃপক্ষ। এছাড়া একই অপরাধ বার বার করায় অস্থায়ী সময়ের জন্য পাম্পটিতে গ্যাস সরবরাহ বন্ধ রাখে তিতাস গ্যাস কর্তৃপক্ষ। গত এক বছরেরও কম সময় আগে ঝুঁকিপূর্ণভাবে সিলিন্ডারের মাধ্যমে গ্যাস বিক্রি ও সরবরাহের সময় হাতেনাতে ধরে ফেলেন তৎসময়ের মির্জাপুর উপজেলা নির্বাহী অফিসার মাসুম আহমেদ।পরে উচ্চ মহল থেকে একাধিক তদবির করে মাত্র পঞ্চাশ হাজার টাকা জরিমানা দিয়ে সেযাত্রা পার পায় পাম্পের মালিক ইব্রাহিম মিয়া। 

গত এক সপ্তাহের বেশী সময় ধরে রাতে মা সিএনজি ফিলিং স্টেশন এলাকায় সরেজমিনে অবস্থান করে দেখা গেছে, খুলনা অক্সসিজেন লিমিডেট লেখা নামে ঢাকা (মেট্রো ট-১৫-১৪৮৭) একটি বিশাল আকৃতির কাভার্ড ভ্যান রাত দশটার পর ওই পাম্পে এসে অবস্থান নেয়। কাভার্ড ভ্যানের ভেতরে মাল বহনের স্থানে সারি সারি শতশত ঝুঁকিপূর্ণ গ্যাস সিলিন্ডার রয়েছে দেখা গেছে। রাত এগারোটার পর থেকে এই কাভার্ড ভ্যানে গ্যাস সরবরাহ শুরু হয়ে ভোররাত অবধি তা চলতে থাকে। নাম প্রকাশ না করার শর্তে সিএনজি পাম্পের এককর্মী জানায়, কাভার্ড ভ্যানে গ্যাস নিতে ৫-৬ ঘন্টা সময় লাগে। ওই কাভার্ড ভ্যানে এক সাথে এক লাখ টাকার ওপরে গ্যাস সরবরাহ করা করা হয়। খোঁজ নিয়ে আরও জানা গেছে, ব্যস্ততম মহাসড়কে অবস্থিত এই পাম্পে প্রতি মাসে ৯০ লাখ থেকে এক কোটি টাকার গ্যাস বিক্রি হয়ে থাকে। এভাবে মাসের প্রায় ৩৫ থেকে ৪০ লাখ টাকা মূল্যের গ্যাস এভাবেই বিক্রি করা হয়। এ ব্যাপারে মা সিএনজি ফিলিং স্টেশনের মালিক ইব্রাহিম মিয়ার সঙ্গে যোগাযোগ করা হলে কাভার্ড ভ্যানে ঝুঁকিপূর্ণ সিলিন্ডার গ্যাস বিক্রির কথা স্বীকার করে বলেন যে কাভার্ড ভ্যানে গ্যাস বিক্রি করা হয় সেটা বৈধ। খুলনা অক্সিজেন লিমিডেট লেখা কাভার্ড ভ্যানে ভর্তি শতশত সিলিন্ডারে সিএনজি গ্যাস সরবরাহের বিষয়ে তিনি বলেন খুলনা অক্সিজেন একটি গ্রুপ কোম্পানীর। এই কাভার্ড ভ্যানের মাধ্যমে তাদের অন্য প্রতিষ্ঠানে গ্যাস সরবরাহ হয়ে থাকে। তবে একই অপরাধে ইতিপূর্বে জরিমানা দেয়ার কথা জানতে চাইলে তিনি বলেন এসব ঘটনা আমার স্মরণে নেই। এ ব্যাপারে টাঙ্গাইল তিতাস গ্যাস ট্রান্সমিশন এন্ড ডিস্ট্রিবিউশন কোম্পানীর ব্যবস্থাপক মামুনুর রহমানের সঙ্গে যোগাযোগ করা হলে তিনি বলেন এভাবে গ্যাস সরবরাহ করা বৈধ না। যেহেতু গভীর রাতে এই গ্যাস সরবরাহ করা হয়ে থাকে খোঁজ নিয়ে পাম্পের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা নেয়া হবে বলে তিনি উল্লেখ করেন।



 

দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।

আরও পড়ুন
এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ
গত​ ৭ দিনের সর্বাধিক পঠিত সংবাদ