Inqilab Logo

শনিবার ৩০ নভেম্বর ২০২৪, ১৫ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৭ জামাদিউল সানী ১৪৪৬ হিজরি

আমতলীর ৪ ইউনিয়নে ব্যাপক ভাঙন হুমকির মুখে পায়রা বেড়িবাঁধ

| প্রকাশের সময় : ১৫ অক্টোবর, ২০১৭, ১২:০০ এএম

আমতলী (বরগুনা) উপজেলা সংবাদদাতা : আমতলী উপজেলার ৪টি ইউনিয়নের বেড়িবাঁধ পায়রা (বুড়িশ্বর) নদীর অব্যাহত ভাঙনের মুখে পড়েছে। ইতিমধ্যে ওই সব বাঁধের একাধিক অংশ নদীগর্ভে বিলীন হয়ে যাওয়ায় এলাকাবাসীর আতঙ্কের মধ্যে দিন কাটাচ্ছে। যে কোন মুহূর্তে বাঁধগুলো ভেঙ্গে উপজেলার ৪টি ইউনিয়ন প্লাবিত হয়ে জনজীবন বিপর্যস্ত হতে পারে। এছাড়া আবাদি জমি বসত বাড়িসহ লক্ষাধিক মৎস্য ঘের ও হাজার হাজার পুকুরের মাছ এবং গবাদি পশু ভেসে গিয়ে ব্যাপক আর্থিক ক্ষতির আশঙ্কা রয়েছে। সরেজমিনে পরিদর্শন করে দেখা গেছে বড়বগী ইউনিয়নের ১ কিঃ মিঃ জয়ালভাঙ্গা গ্রাম থেকে তেঁতুলবাড়িয়া বাজার পর্যন্ত পাউবো বাঁধ ইতিমধ্যে পায়রা নদী গ্রাস করেছে। ওই এলাকার প্রায় ১০ হাজার পরিবার এখন ঝুঁকির মধ্যে দিন কাটাচ্ছে। এদিকে উপজেলার পচাকোড়ালিয়া ইউনিয়নের ২ কিঃ মিঃ মৌপাড়া গ্রাম ও দক্ষিণাঞ্চলের ঐতিহ্যবাহী ছোটবগী বাজার বেড়িবাঁধ পায়রা নদী গ্রাস করেছে। উপজেলার আড়পাঙ্গাশিয়া ইউনিয়নে ৩ কিঃমিঃ বালিয়াতলী গ্রাম, পশুড়বুনিয়া বাজার ও আড়পাঙ্গাশিয়া লঞ্চঘাট পর্যন্ত পায়রা নদী গ্রাস করেছে এবং চাওড়া ইউনিয়নের ২ কিঃ মিঃ গিলাতলী গ্রাম আঙ্গুলকাটা বাজার লঞ্চঘাট পর্যন্ত বেড়িবাঁধ পায়রা নদী গ্রাস করেছে। এসব এলাকার প্রায় লক্ষাধিক মানুষ এখন ঝুঁকির মধ্যে দিন কাটাচ্ছে। এইসব এলাকার জামে মসজিদ, সরকারি বিদ্যালয়, বাজার, লঞ্চঘাট এবং লাখ লাখ টাকা পাউবোর ¯øুইজ পায়রা নদী গ্রাস করেছে। ওই স্থানগুলো যে কোন মুহূর্তে সম্পূর্ণ ভেঙ্গে নদীগর্ভে বিলীন হয়ে অর্ধ লক্ষাধিক মানুষ পানিবন্দী হয়ে পড়বে বলে আশঙ্কা করা হচ্ছে। সূত্রে জানা যায়, জলোচ্ছ¡াসের হাত থেকে রেহাই পেতে পাকিস্তান সরকারের আইয়ুব খান আমলের পায়রা নদীর তীরে বঙ্গোপসাগর ঘেঁষা তালতলী থেকে পটুয়াখালী শহর পর্যন্ত বেড়িবাঁধ নির্মাণ করা হয়েছিল। গত কয়েক দিনের বষর্ণ ও পায়রা নদীর তীব্র ¯্রােতে বাঁধগুলো ব্যাপক ক্ষতি সাধন হয়েছে। অবিলম্বে এর মেরামত এবং নতুন বেড়িবাঁধের কাজ শুরু না করা হলে এলাকার প্রায় অর্ধ লক্ষাধিক মানুষের জীবনে নেমে আসবে মহাবিপর্যয়। কিছু কিছু স্থানে নি¤œমানের এবং অনেক নিচু বেড়িবাঁধ নির্মাণের পর পরই অধিকাংশ বড় বড় ফাটল ধরে। পাউবোর এস ও শাহ আলমের সাথে (০১৭১২১৪৬৭৫০) মোবাইলে বেড়িবাঁধের ব্যাপারে জানতে চাইলে তিনি বলে যে সব স্থানে ফাটল নদীগর্ভে বিলীন হচ্ছে কিন্তু এলাকাবাসীরা জমি একোয়ার করার জন্য বললে তারা জমি দিতে রাজি নন তারা নদীর পাড়দিয়ে বেড়িবাঁধ করতে বললে এসও সাহেব বলেন, কোটি কোটি টাকার কাজ ১/২ মাসের মধ্যে আবার নদীগর্ভে বিলীন হয়ে যাবে আমি সরকারের এত টাকা নষ্ট করে দিতে পারি না।



 

দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।

আরও পড়ুন
এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ
গত​ ৭ দিনের সর্বাধিক পঠিত সংবাদ