Inqilab Logo

বৃহস্পতিবার ১৯ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ০৪ আশ্বিন ১৪৩১, ১৫ রবিউল আউয়াল ১৪৪৬ হিজরী

বছরে হাজার কোটি টাকার রফতানি আয়ের লক্ষ্য নিয়ে উৎপাদনে আলফা এক্সেসরিজ

‘পল্লী অঞ্চলে কর্মসংস্থান সৃষ্টিতে অবদান রাখবে’

| প্রকাশের সময় : ১৫ অক্টোবর, ২০১৭, ১২:০০ এএম

অর্থনৈতিক রিপোর্টার : বছরে এক হাজার কোটি টাকার সমমূল্যের বৈদেশিক মুদ্রা আয়ের লক্ষ্য নিয়ে উৎপাদন শুরু করেছে ‘আলফা এক্সেসরিজ অ্যান্ড এগ্রো এক্সপোর্ট লিমিটেড’। কৃষিভিত্তিক এ প্রকল্পটি বাগেরহাট জেলার ফকিরহাট উপজেলার লখপুর ইউনিয়নের কাটাখালী নামক স্থানে অবস্থিত। দেশের প্রত্যন্ত অঞ্চলে অবস্থিত এই প্রকল্পটি ঘিরে কয়েক হাজার লোকের কর্মসংস্থান সৃষ্টি হবে, যার বেশির ভাগই নারী। শতভাগ রফতানির উদ্দেশ্যে সম্প্রতি এই প্রকল্পের হিমায়িত চিংড়ি প্রক্রিয়াকরণ ও উৎপাদন কার্যক্রম শুরু হয়েছে। চিংড়ি প্রক্রিয়াকরণ ও উৎপাদন ইউনিট উদ্বোধন করেন অর্থায়নকারী ‘সাউথ বাংলা এগ্রিকালচার অ্যান্ড কমার্স (এসবিএসি) ব্যাংক লিমিটেড’ এর ব্যবস্থাপনা পরিচালক ও প্রধান নির্বাহী মো. গোলাম ফারুক। এ সময়ে অন্যান্যদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন ব্যাংকের অতিরিক্ত ব্যবস্থাপনা পরিচালক মোস্তফা জালাল উদ্দিন আহমেদ, ক্রেডিট ডিভিশনের প্রধান মামুনুর রশিদ মোল্লা, হেড অব ইন্টারন্যাশনাল ডিভিশন মো. শফিউদ্দিন, বোর্ড সেক্রেটারি মো. মোকাদ্দেস আলীসহ ব্যাংকের খুলনা জোনের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা। অনুষ্ঠানে আরো উপস্থিত ছিলেন- এই প্রকল্পের চেয়ারম্যান ও দেশের দক্ষিণাঞ্চলের চিংড়ি শিল্পখাতে প্রথম নারী উদ্যোক্তা মাহফুজা খানম রিশা এবং ব্যবস্থাপনা পরিচালক মো. আরজান আলী।
প্রকল্পের চেয়ারম্যান ও চিংড়ি শিল্পখাতের প্রথম নারী উদ্যোক্তা মাহফুজা খানম রিশা বলেন, হিমায়িত চিংড়ি প্রক্রিয়াকরণ ইউনিট তথা রেডি টু ইট (খাওয়ার উপযুক্ত) এবং রেডি টু কুক (রান্নার উপযুক্ত) হিসাবে মূল্য সংযোজিত চিংড়ি পণ্য উৎপাদন শুরু হয়েছে। ইতোমধ্যে এই পণ্য উৎপাদনের জন্য সর্বাধুনিক আই কিউ এফ যন্ত্রপাতি স্থাপন করা হয়েছে। এই প্রকল্পের উৎপাদিত হিমায়িত চিংড়ি পণ্য যুক্তরাজ্য, যুক্তরাষ্ট্র, নেদারল্যান্ডস, ফ্রান্স, বেলজিয়াম, জার্মানী, স্পেন, ইতালি, পর্তুগাল, কানাডা, রাশিয়াসহ বিশে^র বিভিন্ন দেশে রফতানি করা হবে। তিনি আরও বলেন, কম্পোজিট এই শিল্প প্রতিষ্ঠানের চারটি ইউনিটে শতভাগ বাণিজ্যিক কার্যক্রম শুরু হলে কয়েক হাজার লোকের কর্মসংস্থান হবে। আর বছরে এক হাজার কোটি টাকার সমপরিমাণ বৈদেশিক মুদ্রা আয় করা সম্ভব হবে।
প্রকল্প সংশ্লিষ্টরা জানান, সরকার সবজি রফতানি আয় বাড়াতে বিশেষ পরিকল্পনা গ্রহণ করেছে। সে লক্ষ্য পূরণে আলফা এ্যাগ্রো ইউনিট কাজ করবে। ক্ষতিকারক ব্যাকটেরিয়া, রোগবালাই ও পোকামাকড় দূর করে সবজি উৎপাদন বৃদ্ধিতে পরামর্শ প্রদান করা হবে। ভেজিটেবল পণ্য প্রক্রিয়াকরণে উপযুক্ত ল্যাবে পরীক্ষা-নিরীক্ষা সম্পন্ন করা হবে। এ খাত থেকে আয় বাড়াতে পণ্যের ভ্যালু অ্যাড করে রফতানি ও বাজারজাতকরণ করা হবে। সবজি খাতে ভ্যালু অ্যাড করে রফতানি করার এই উদ্যোগ বাংলাদেশে প্রথম।
রোহিঙ্গা সম্পর্কে মিয়ানমার সেনাপ্রধানের বক্তব্য সত্যের অপলাপ -মাওলানা নেজামী
স্টাফ রিপোর্টার : ইসলামী ঐক্যজোটের চেয়ারম্যান মাওলানা আবদুল লতিফ নেজামী রোহিঙ্গা মুসলিমরা মিয়ানমারের জনগোষ্ঠী নয় বলে যুক্তরাষ্ট্রের রাষ্ট্রদূত স্কট মার্সিয়েলের সঙ্গে এক বৈঠকে প্রদত্ত মিয়ানমারের সেনাপ্রধান মিন অং হ্লাই মং-এর বক্তব্য সত্যের অপলাপ বৈ কিছু নয়। তিনি এক বিবৃতিতে বলেন, আরাকানে রাখাইনদের পরেই মুসলমানদের অবস্থান। মুসলিমরা ৪টি গ্রুপে বিভক্ত। যেমন তাম্মুকিয়াস, তুর্কি-পাঠান, কামানচিস এবং রোহিঙ্গা। তাম্বুকিয়াসরা অষ্টম শতাব্দি থেকে রাজা মাহা তায়েঙ্গ চন্দ্রের আমলে (৭৮৮-৮১০) আরাকানে বসবাস করে আসছে । তুর্কি-পাঠান জনগোষ্টিকে আরাকানের শহরতলীতে দেখতে পাওয়া যায়। আরাকানের রাজা মং-স মওন ওয়ার নরমেখলা (১৪০৩-৩৩) তাম্বুকিয়াসদের আরাকানে বসবাসের অনুমতি দেয়। কামানচিষরা (১৬৩৯-৫৯) আরাকানে বসবাস করে আসছে। রোহিঙ্গাদের পূর্ব পুরুষরা ধর্মে মুসলমান ।
তিনি বলনে, সপ্তম শতাব্দিতে রোহান অথবা রোহাঙ্গ নামক মুসলিম রাজধানী আকিয়াবসহ আরাকান প্রদেশের উত্তরাঞ্চলে বসতি স্থাপন করেন। আকিয়াবের বর্তমান নাম হচ্ছে “ছিটউই” আরাকান প্রদেশের রোহিঙ্গারা প্রাচীন কালের রোহানদের সাথে রক্তের সম্পর্ক রয়েছে। মিয়ানমারে শতাব্দির পর শতাব্দি ধরে বসবাস করে আসছে। মিয়ানমার সামরিক সরকার মুসলমানদের বিদেশী হিসেবে চিহ্নিত করে তাদেরকে সেখানে অবস্থান করতে দিতে অস্বীকার করছে । মিয়ানমারের সামরিক সরকার ও সাধারণ নাগরিকরা গড়ে সবাই মুসলমানদের “কালাহ” বা বিদেশী বলে আখ্যায়িত করে। প্রকৃতপক্ষে আরাকানী মুসলমানরা বিগত ১৪০০বছর এই অঞ্চলের সংস্কৃতির সাথে সম্পৃক্ত। রোহান বা রোহাঙ্গ নামে পৃথিবীতে অন্য কোন স্থান বা এলাকা নেই।
তিনি বলনে, ইদানিং আরাকানের মুসলমান অধিবাসীরা নিজেদের মিয়ানমারের নাগরিকত্বের স্বীকৃতি সমস্যায় ভুগছে। মিয়ানমার অধিবাসীদের নাগরিকত্ব নির্ধারণকল্পে ১৯৭৭ সনে নাগামিন সরকারী অভিযান চলাকালে মুসলিম জনতা দেশ ত্যাগের চাপের সম্মুখীন হয়।
তিনি বলনে, ৬ষ্ঠ শতাব্দি থেকে মুসলিম জনগণ মিয়ানমারের শহর-বন্দর-গ্রামে বসবাস করে আসছেন। মুসলমানসহ মিয়ানমারে ১৪০টি বিভিন্ন জনগোষ্ঠীর বসবাস। তারা সবাই একই নৃতাত্তি¡ক জনগোষ্ঠীর অন্তভ্র্ুক্ত নন। তাই নিৃতাত্তি¡কতার অজুহাতে রোহিঙ্গা হিসেবে মুসলমানদের আদমশুরারিতে তালিকাভুক্ত না করার উদ্যোগ আন্তর্জাতিক স¤প্রদায় মেনে নেবেনা।



 

দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।

আরও পড়ুন
এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ
গত​ ৭ দিনের সর্বাধিক পঠিত সংবাদ