Inqilab Logo

সোমবার ১৮ নভেম্বর ২০২৪, ০৩ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ১৫ জামাদিউল সানী ১৪৪৬ হিজরি

পতেঙ্গা সৈকতে পরিচ্ছন্নতা উৎসব

চট্টগ্রাম ব্যুরো | প্রকাশের সময় : ১৫ অক্টোবর, ২০১৭, ১২:০০ এএম

সামুদ্রিক পরিবেশ রক্ষায় জনসচেতনতা তৈরীর লক্ষ্যে গতকাল (শনিবার) বঙ্গোপসাগর উপকূলে চট্টগ্রামের পতেঙ্গা সমুদ্র সৈকতে উদযাপিত হয়েছে ‘আন্তর্জাতিক ক্লিন আপ বীচ কার্নিভাল-১৭’। এর প্রতিপাদ্য ছিল- সুস্থ সমুদ্র মানেই সুস্থ পৃথিবী। নগরীর শত যান্ত্রিক ব্যস্ততার ক্লান্তি দূর করতে, একটু বিনোদন ও স্বস্তির জন্য মানুষ ছুটে যায় সমুদ্রে। নয়নাভিরাম সূর্যোদয় ও সূর্যাস্তের দৃশ্যে সবাই পুলকিত হয়। কিন্তু এ সমুদ্র সৈকত-বেলাভূমি প্লাস্টিক, পলিথিন ও আবর্জনায় ভরে গেছে। অব্যাহত এ দূষণ থেকে সৈকত রক্ষায় দরকার জনসচেতনতা ও সরকারি নিবিড় তদারকি। উক্ত কার্নিভালের উদ্দেশ্য, বিশ্বব্যাপী সামুদ্রিক সম্পদ ও শক্তির যথাযথ আহরণ ও টেকসই ব্যবহারের মাধ্যমে সামুদ্রিক অর্থনীতি নির্ভর ও পরিবেশবান্ধব উন্নয়ন। ন্যাশনাল মিউজিয়াম অব মেরিন সায়েন্স আন্ড টেকনোলজি তাইওয়ান এবং এশিয়া মেরিন এডুকেটরস এ্যাসোসিয়েশনের উদ্যোগে এশিয়ার ৬ দেশের ১৩টি সংগঠনের উদ্যোগে গতকাল একযোগে উক্ত কার্নিভাল সম্পন্ন হয়। এর স্থানীয় আয়োজক বøু গ্রিন ফাউন্ডেশন বাংলাদেশ এবং বাংলাদেশ মেরিন একাডেমী যৌথভাবে প্রায় ১৫০ জন সমুদ্রপ্রেমী স্বেচ্ছাসেবক নিয়ে চট্টগ্রামের পতেঙ্গা সমুদ্র সৈকত পরিষ্কার পরিচ্ছন্নতা কার্যক্রম পরিচালনা করে। সকল আয়োজক দেশ বাংলাদেশ সময় সকাল সাড়ে ১১টায় ভিডিওর মাধ্যমে সংযুক্ত থেকে একযোগে উদ্বোধন করে। এছাড়া টুরিস্ট পুলিশের অতিরিক্ত ডিআইজির নেতৃত্বে ৩০ জন ট্যুরিস্ট পুলিশ সদস্য সমুদ্র সৈকত পরিষ্কার পরিচ্ছন্নতায় অংশ নেন। এতে উপস্থিত ছিলেন বাংলাদেশ মেরিন একাডেমীর কমান্ড্যান্ট ড. সাজিদ হোসেন ও ডেপুটি কমান্ড্যান্ট ক্যাপ্টেন কাজী এবিএম শামীম, বøু গ্রিন ফাউন্ডেশন বাংলাদেশের প্রতিষ্ঠাতা সভাপতি ড. মোহাম্মদ মোসলেম উদ্দীন মুন্না, স্পারসোর সাবেক প্রধান বৈজ্ঞানিক কর্মকর্তা ওবাইদুল কাদের, পরিবেশ অধিদপ্তর চট্টগ্রাম অঞ্চলের পরিচালক মোঃ মকবুল ইসলাম, ট্যুরিস্ট পুলিশ চট্টগ্রামের অতিরিক্ত ডিআইজি মোহাম্মদ মুসলিম, পতেঙ্গা সৈকত দোকান মালিক সমিতির সভাপতি ওয়াহিদুল আলম প্রমুখ।
আয়োজকরা জানান, সমুদ্র দূষণ রোধ, পরিবেশ সংরক্ষণ এবং পরিবেশবান্ধব পর্যটনে মানুষের মধ্যে সচেতনতা তৈরিই এ কার্যক্রমের উদ্দেশ্য। সমুদ্র সৈকত পরিষ্কার-পরিচ্ছন্ন থাকলে পর্যটকদের আগ্রহ বাড়বে। প্রাণ-প্রতিবেশ রক্ষা এবং পরিবেশের ভারসাম্য বজায় রাখার জন্য সমুদ্র এবং সমুদ্র সৈকত পরিচ্ছন্ন রাখা জরুরি।
ড. মোসলেম উদ্দীন পতেঙ্গা সৈকতের ব্যবসায়ী ও আগত পর্যটকদের উদ্দেশে বলেন, পরিবেশ বান্ধব ব্যবসা পরিচালনা এবং সমুদ্র সৈকত পরিচ্ছন্ন রাখা সম্ভব হলে দেশের সৈকতভিত্তিক অর্থনীতির বিকাশ ঘটবে। বঙ্গবন্ধু যেমন স্বাধীন বাংলাদেশ উপহার দিয়েছেন, বঙ্গবন্ধু কন্যা আমাদেরকে একটা স্বাধীন সমুদ্র উপহার দিয়েছেন। এর যথাযথ সংরক্ষণ ও রক্ষণাবেক্ষণ আমাদের কর্তব্য। তিনি স্কুলভিত্তিক সমুদ্র শিক্ষার প্রসারের ওপর গুরুত্বারোপ করেন।



 

দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।

আরও পড়ুন
এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ
গত​ ৭ দিনের সর্বাধিক পঠিত সংবাদ