বিএনপির মানববন্ধন আজ, পাল্টা কর্মসূচি আওয়ামী লীগ
সারা দেশের মহানগর ও জেলা পর্যায়ে আজ মানববন্ধন করবে বিএনপি ও তার মিত্ররা। আর এ
রাজধানী উন্নয়ন কর্তৃপক্ষের (রাজউক) প্রতি আস্থা না থাকার কথা জানিয়ে পুরান ঢাকার বংশালকে কেন্দ্র করে হাতে নেওয়া আধুনিক ঢাকা গড়ার একটি প্রকল্প স্থগিত করা হয়েছে। গতকাল শনিবার নগর ভবনের সভাকক্ষে ওই প্রকল্প নিয়ে আয়োজিত এক মতবিনিময় সভায় এ সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়। প্রকল্পটি সম্পর্কে রাজউক স্থানীয় বাসিন্দাদের বিভিন্ন জিজ্ঞাসার উত্তর না দিতে পারায় মেয়র সাঈদ খোকন এটি স্থগিত ঘোষণা করেন।
এসময় ঢাকা দক্ষিণ সিটি কর্পোরেশনের মেয়র সাঈদ খোকন বলেছেন, পুরান ঢাকার অবস্থা গ্রামের থেকেও খারাপ এবং শোচনীয়। বসবাসের পরিবেশ নেই। দিনদিন অবস্থার আরো অবনতি হচ্ছে। পুরান ঢাকার উন্নয়নে রাজধানী উন্নয়ন কর্তৃপক্ষ’র (রাজউক) একটি প্রকল্প এগিয়ে নিতে স্থানীয়দের নিয়ে আয়োজিত বৈঠকে মেয়র এ কথা বলেন।
বিভিন্ন দাতা সংস্থার সহায়তায় ‘আরবান ডেভেলপমেন্ট প্রজেক্ট ওল্ড ঢাকা’ শিরোনামে ওই প্রকল্প বাস্তবায়নের উদ্যোগ নেয় রাজউক। এতে বাবুবাজার থেকে বংশাল পর্যন্ত ১০ দশমিক ২৭ একর জমির ওপর থেকে স্থাপনা ভেঙ্গে নতুন করে আধুনিক বাণিজ্যিক ও আবাসিক ভবনসহ অন্য নাগরিক সুবিধা সৃষ্টির পরিকল্পনা রয়েছে। এক্ষেত্রে সবার বাড়ি, ব্যবসা প্রতিষ্ঠান ভেঙ্গে যার যার সম্পত্তির মূল্য নির্ধারণ করে প্রাপ্য বুঝে দেওয়া হবে।
মেয়র বলেন, এক সময় জাপানের টোকিও এবং সিঙ্গাপুরও পুরান ঢাকার মতো ছিল। কিন্তু এ ধরনের প্রকল্প নিয়ে তারা নগরকে বসবাসযোগ্য করে তুলেছে। ঐক্যবদ্ধভাবে চেষ্টা করলে আমারও টোকিও, সিঙ্গাপুরের মতো পুরান ঢাকাকে উন্নত শহরে পরিণত করতে পারব।
বৈঠকে প্রজেক্ট উপস্থাপন করেন রাজউকের ডেপুটি টাউন প্্য্যানার অ্যান্ড প্রজেক্ট ডিরেক্টর মোহাম্মদ আশরাফুল ইসলাম। তিনি বলেন, প্রকল্পটি বাস্তবায়নের জন্য প্রথমে বংশাল এলাকাকে বেছে নেওয়া হচ্ছে। এটি বাস্তবায়িত হলে ৮টি ২৪তলা ভবন এবং ৬টি কমার্শিয়াল ভবন হবে। এক্ষেত্রে একেকজন ৩টি করে বাণিজ্যিক স্পেস এবং ৩টি করে ফ্ল্যাট পাবেন। এছাড়া স্কুল, খেলার মাঠ, মসজিদ, হেলথ ক্লাব ইত্যাদি থাকবে। এ সময় রাজউকের চেয়ারম্যান আব্দুর রহমানও উপস্থিত ছিলেন।
উন্মুক্ত আলোচনায় অংশ নেন পুরান ঢাকার পঞ্চায়েত সদস্য, ব্যবসায়ীসহ স্থানীয়রা। তারা রাজউক চেয়ারম্যানের কাছে বিভিন্ন প্রশ্ন করেন। কিন্তু উত্তর না পাওয়ায় ক্ষোভ প্রকাশ করেন।
বংশাল পঞ্চায়েত সদস্য আব্দুল হাই বলেন, আমাদের ভবনে দোকান আছে। ভাড়া পাই। আবার আমাদের ওয়ারিশও আছে। আর এই প্রজেক্ট বাস্তবায়নে বলা হচ্ছে, ৩ বছরের মতো সময় লাগবে। এসময় আমরা কোথায় থাকবো। যে ভাড়াপাই, সে টাকা কে দেবে। আবার ওয়ারিশরাও কিভাবে তাদের প্রাপ্য পাবেন, এসব নিশ্চিত করতে হবে। তাই এই প্রকল্পটি অন্য জায়গায় বাস্তবায়ন করে আগে আস্থা অর্জন করুন।
ব্যবসায়ী এনায়েতুল্লাহ বলেন, বংশালে আমাদের কোনো সমস্যা নেই। তাই অন্য জায়গায় করে আগে আস্থা অর্জন করুন।
সাঈদ খোকন বলেন, রাজউকের প্রতি আস্থা না থাকায় কেউ এই প্রকল্প বংশালে চান না। তাই এটি স্থগিত করা হলো। তবে আমরা এ প্রকল্পটি করতে চাই। ইংলিশ রোড, বাবু বাজারের দিকে ৭ একর জমি দখলে আছে। আপনারা দখলদার উচ্ছেদে সহায়তা করুন। সেখানেই পাইলট প্রকল্প বাস্তবায়ন করবো।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।