পটুয়াখালীর যুবক ক্বারী সাইয়্যেদ মুসতানজিদ বিল্লাহ রব্বানীর কোরআন তেলাওয়াতে মুগ্ধ যুক্তরাষ্ট্রবাসী
ইসলামি সভ্যতা ও সংস্কৃতি বিকাশে বাংলাদেশের অবদান অনস্বীকার্য। এদেশে ইসলামি সংস্কৃতি চর্চার ইতিহাস অনেক প্রাচীন।
ইনকিলাব ডেস্ক : এক মাসের ছুটিতে থাকা প্রধান বিচারপতি সুরেন্দ্র কুমার (এসকে) সিনহা বলেছেন, অস্ট্রেলিয়া যাচ্ছি এটা ঠিক। তবে কেন যাচ্ছি, কবে ফিরছি তা বলবো না। আমি দুঃখিত। আমি কোনও উত্তর দেবো না। কোনও প্রেসকে সাক্ষাতকার দেবো না। প্লিজ সরি...।
ভারতীয় গণমাধ্যম ‘ওয়ার্ল্ড ইজ ওয়ান নিউজ’কে তিনি এ কথা বলেছেন। এ গণমাধ্যমটি ভারতের উত্তর প্রদেশের ‘জি মিডিয়া গ্রæপ’-এর একটি প্রতিষ্ঠান। ওয়ার্ল্ড ইজ ওয়ান নিউজ’কে প্রধান বিচারপতি বলেন, ‘আমি দুঃখিত। আমি কোনও উত্তর দেবো না। কোনও প্রেসকে সাক্ষাতকার দেবো না। প্লিজ সরি। এটা আমার দেশের....। কারণ আমি প্রধান বিচারপতি। আমি সবার আগে বিচার বিভাগের স্বাধীনতা চাই। আমাদের বিচার বিভাগ অত্যন্ত শক্তিশালী। আমি আস্থাশীল। আমি নিশ্চিত যে, আমাদের দেশে কিছুই ঘটবে না। আমাদের সরকার গণতন্ত্র ও আইনের শাসনে সংকল্পবদ্ধ। আমি আইনের শাসনে বিশ্বাসী।
এসকে সিনহা বলেন, সরকারের কাছ থেকে অর্থাৎ প্রেসিডেন্টের কাছ থেকে যদি অনুমতি পাই তাহলে আমি অস্ট্রেলিয়া যাব। আইনমন্ত্রী আনিসুল হকও প্রধান বিচারপতির অস্ট্রেলিয়া যাওয়ার খবর নিশ্চিত করেন। আনিসুল হক বলেন, প্রধান বিচারপতি শুক্রবার বিকেলে অস্ট্রেলিয়ার উদ্দেশ্যে বাংলাদেশ ত্যাগ করার কথা রয়েছে।
এর আগে বৃহস্পতিবার দিনের প্রথমভাগে আইন মন্ত্রণালয় থেকে প্রধান বিচারপতির ছুটি সংক্রান্ত প্রজ্ঞাপন জারি করা হয়।
প্রসঙ্গত, সংবিধানের ষোড়শ সংশোধনী বাতিলের রায়ের পর দেশজুড়ে শুরু হয় নানা বিতর্ক। প্রধানমন্ত্রী থেকে শুরু করে সরকারের একাধিক মন্ত্রী, এমপি ও আওয়ামী লীগসহ ক্ষমতাসীন ১৪ দলীয় জোট নেতারা প্রধান বিচাপতি এসকে সিনহার কঠোর সমালোচনা করেন। এমনকি তার অপসারণ চেয়ে আন্দোলনও শুরু করেন আওয়ামীপন্থী আইনজীবীসহ দলের নেতাকর্মীরা।
অপরদিকে বিএনপি ওই রায়কে স্বাগত জানিয়ে বক্তব্য দেয়। এরপর আদালত ছুটিতে যায়। ছুটির মধ্যে প্রধান বিচারপতি এসকে সিনহা অস্ট্রেলিয়া ও জাপান সফর করে দেশেও ফিরেন। কিন্তু ছুটির পর আদালত শুরুর আগের দিন হঠাৎ করে প্রধান বিচারপতির এক মাসের ছুটির আবেদনের খবরে নতুন করে শুরু হয় তোলপাড়। সিহনাকে জোর করে ছুটি নিতে ও বিদেশ যেতে বাধ্য করা হচ্ছে বলে অভিযোগ করছে বিএনপিসহ সুপ্রিমকোর্ট আইনজীবী সমিতি। তবে সরকারের পক্ষ থেকে বলা হচ্ছে, এটা স্বাভাবিক ছুটি। তিনি ক্যান্সার আক্রান্ত, ছুটি নিতেই পারেন। তবে এ নিয়ে দেশের গণমাধ্যমের কাছে কোনও প্রতিক্রিয়া জানাননি প্রধান বিচারপতি এসকে সিনহা।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।