পটুয়াখালীর যুবক ক্বারী সাইয়্যেদ মুসতানজিদ বিল্লাহ রব্বানীর কোরআন তেলাওয়াতে মুগ্ধ যুক্তরাষ্ট্রবাসী
ইসলামি সভ্যতা ও সংস্কৃতি বিকাশে বাংলাদেশের অবদান অনস্বীকার্য। এদেশে ইসলামি সংস্কৃতি চর্চার ইতিহাস অনেক প্রাচীন।
রায় নিয়ে প্রধানমন্ত্রীকে ভুল বোঝানো হয়েছে। কারো সাথে বিরোধ নেই, কোনো চাপে নয়, বিচার বিভাগ ও ন্যায় বিচারের স্বার্থে স্বেচ্ছায় বিদেশ যাচ্ছি। ছুটিশেষে দেশে ফিরে আসবো। আমি সম্পূর্ণ সুস্থ আছি -প্রধান বিচারপতি
প্রধান বিচারপতি সুরেন্দ্র কুমার সিনহা অষ্ট্রেুলয়ার উদ্দেশে সিঙ্গাপুরের পথে যাত্রা করেছেন। তার বহনকারী সিঙ্গারপুর এয়ারলাইন্সের এসকিউ ৪৪৭ নাম্বার বিমানটি গত রাত ১১ টা ৫৫ মিনিটের দিকে হজরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর ছেড়ে যায়।
ঢাকা ছেড়ে অস্ট্রেলিয়ার পথে রওনা হওয়ার আগে প্রধান বিচারপতি সুরেন্দ্র কুমার সিনহা গণমাধ্যমের উদ্দেশ্যে একটি লিখিত বিবৃতি দিয়ে যান। প্রধান বিচারপতির লিখিত ও স্বাক্ষরিত বিবৃতিটি এখানে হুবহু দেওয়া হল:
“আমি সম্পূর্ণ সুস্থ আছি, কিন্তু ইদানিং একটা রায় নিয়ে রাজনৈতিক মহল, আইনজীবী ও বিশেষভাবে সরকারের মাননীয় কয়েকজন মন্ত্রী ও মাননীয় প্রধানমন্ত্রী আমাকে ব্যক্তিগতভাবে যেভাবে আলোচনা করেছেন, এতে আমি সত্যিই বিব্রত। আমার দৃঢ় বিশ্বাস সরকারের একটা মহল আমার রায়কে ভুল ব্যাখ্যা প্রদান করে পরিবেশন করায় মাননীয় প্রধানমন্ত্রী আমার প্রতি অভিমান করেছেন, যা অচিরেই দূরীভূত হবে বলে আমার বিশ্বাস। সেই সাথে বিচার বিভাগের স্বাধীনতা নিয়ে আমি একটু শঙ্কিতও বটে। কারণ, গতকাল প্রধান বিচারপতির কার্যভার পালনরত দায়িত্বপ্রাপ্ত প্রবীণতম বিচারপতির উদ্ধৃতি দিয়ে মাননীয় আইনমন্ত্রী প্রকাশ করেছেন যে, দায়িত্বপ্রাপ্ত প্রধান বিচারপতি অচিরেই সুপ্রিম কোর্টের প্রশাসনে পরিবর্তন আনবেন। প্রধান বিচারপতির প্রশাসনে দায়িত্বপ্রাপ্ত প্রধান বিচারপতি কিংবা সরকারের হস্তক্ষেপ করার রেওয়াজ নেই। তিনি শুধুমাত্র রুটিনমাফিক দৈনন্দিন কাজ করবেন। এটিই হয়ে আসছে। প্রধান বিচারপতির প্রশাসনে হস্তক্ষেপ করলে এটি সহজেই অনুমেয় যে, সরকার উচ্চ আদালতে হস্তক্ষেপ করছে এবং এর দ্বারা বিচারবিভাগ ও সরকারের মধ্যে সম্পর্কের আরও অবনতি হবে। এটি রাষ্ট্রের জন্য কল্যাণ বয়ে আনবে না।”
এর আগে রাত ১০টার দিকে প্রধান বিচারপতি তাঁর বাসভবন ছেড়ে যাওয়ার আগে সাংবাদিকদের বলেন, আমি পালিয়ে যাচ্ছি না, আবার দেশে ফিরে আসব।
তিনি বলেন, “আমি অসুস্থ না। বিচার বিভাগ যদি কলুষিত না হয় সে জন্য আমি আমি সাময়িকভাবে যাচ্ছি। আবার ফিরে আসব। বিচার বিভাগ যেন বিব্রত না হয়।”
প্রধান বিচারপতির সরকারি বাসভবনের কাকরাইল মসজিদ সংলগ্ন ফটকের সামনে তাঁকে বহনকারী গাড়িটি পৌঁছার পর তিনি নিজেই গাড়ি থেকে নামেন। গাড়ির ভেতরে প্রধান বিচারপতির স্ত্রীকে দেখা যায়। গাড়ি থেকে নামার পর প্রধান বিচারপতি সাংবাদিকদের সঙ্গে এক থেকে দুই মিনিট কথা বলেন। পরে গাড়িতে ওঠেন। এর পরপরই তাঁর গাড়ি প্রধান ফটক ছেড়ে যায়।
বিমানবন্দর সূত্রে জানা গেছে, সিঙ্গাপুরের স্থানীয় সময় ভোর ছয়টা দিকে তিনি সিঙ্গাপুরে পৌঁছাবেন। সেখানে ঘণ্টাখানেক যাত্রা বিরতির পর অস্ট্রেলিয়ার উদ্দেশে রওনা দেবেন প্রধান বিচারপতি।
সিঙ্গাপুর এয়ারলাইন্সের ডিউটি ম্যানেজার মোঃ জুনায়েদ হোসেন সাংবাদিকদের জানান, ঢাকা থেকে রওনা হয়ে ফ্লাইট এসকিউ ৪৪৭ স্থানীয় সময় ভোর ৬টায় সিঙ্গাপুরে পৌঁছাবে। সেখানে ৪৫ মিনিট যাত্রাবিরতি করে রওনা হবে অস্ট্রেলিয়ার উদ্দেশ্যে। সিঙ্গাপুর থেকে অস্ট্রেলিয়ায় পৌঁছাতে প্রায় সাত ঘণ্টা লাগে বলে জানান তিনি।
সুপ্রিম কোটের অবকাশ শেষে আদালত খোলার আগের দিন গত ২ অক্টোবর প্রধান বিচারপতি এস কে সিনহা হঠাৎ করে এক মাস ছুটি ছুটির জন্য আবেদন করেন। তাঁর এক মাস ছুটি নেয়াকে কেন্দ্র করে রাজনৈতিক অঙ্গন ও আইনজীবীদের মধ্যে শুরু হয় তোলপাড়। তর্ক বিতর্ক, আন্দোলন পাল্টা আন্দোলনে উত্তপ্ত হয়ে উঠে সুপ্রিম কোট প্রাঙ্গণ। দেশ-বিদেশে ছড়িয়ে পড়ে এই বিতর্কের ডালপালা। দেশের বিডিয়ার পাশাপাশি আন্তর্জাতিক মিডিয়াও এ খবর গুরুত্ব সহকারে প্রকাশ করা হয়। আইন মন্ত্রী বলেছেন, প্রধান বিচারপতি ব্যক্তিগত ছুটিতে রয়েছেন। এ নিয়ে বির্তক করার সুযোগ নেই। এ ছুটির সঙ্গে ষোড়শ সংশোধনী বাতিল রায়ের কোনো সম্পর্ক নেই। অ্যাটর্নী জেনারেল দাবি করেন ক্যান্সার রোগের কারণে প্রধান বিচারপতি ছুটি নিচ্ছেন। কিন্তু সুপ্রিম কোট আইনজীবী সমিতি অভিযোগ করে সংবিধানের ষোড়শ সংশোধনী বাতিল রায়ের পর্যবেক্ষণে ক্ষুব্ধ হয়ে সরকার প্রধান বিচারপতিকে এক মাসের ছুটি নিতে বাধ্য করেছে। অতপর জোর করেই তাকে বিদেশ পাঠানো হচ্ছে। বিএনপি থেকেও একই অভিযোগ করা হচ্ছে। গতকালও বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী বলেছেন, বন্দুকের নলে ভয় দেখিয়ে প্রধান বিচারপতিকে ছুটি নিতে বাধ্য করে এখন বিদেশ পাঠানো হচ্ছে।
হঠাৎ ছুটি নেয়া এবং বিদেশ যাওয়ার প্রস্তুতি ইস্যুতে প্রতিদিনই কোন না কোন সংবাদের প্রায় শিরোনাম ছিলেন প্রধান বিচারপতি এসকে সিনহা। এর আগে ষোড়শ সংশোধনীর রায়ের পর এস কে সিনহা টক অব কান্টিতে পরিণত হন। আদালত অঙ্গণ থেকে শুরু করে জনসাধারনের মুখে আলোচনা চলে এস কে সিনহার। বিচার বিভাগীয় নানা মুখী যুগান্তকারী কাজ করে তার প্রশংসার কম হয় নি। এস কে সিনহা সর্বপ্রথম জাতীয় বিচার বিভাগীয় সম্মলেন থেকে বিচার বিভাগকে একটি আধুনিকায়নের নানা উদ্যোগ নেন।
সর্বশেষ বিচারপতিদের অপসারণের ক্ষমতা সংসদের হাতে ফিরিয়ে নিতে করা সংবিধানের ষোড়শ সংশোধনী বাতিলের রায় পর থেকে মন্ত্রী-এমপিদের কঠোর সমালোচনার মুখে পড়েন প্রধান বিচারপতি। যদিও বিএনপি সমর্থিত আইনজীবীরা এ রায়কে স্বাগত জানায়। সুপ্রিম কোর্ট আইনজীবী সমিতিও রায়কে ঐতিহাসিক রায় হিসাবে আখ্যায়িত করেন। এছাড়াও সমাজের সুশীল সমাজের একটি অংশ রায়কে মৌন সমর্থন করেন। যদিও প্রকাশ্যে কোন বক্তব্য বিবৃতি দেননি।
প্রধান বিচারপতি এস কে সিনহার চাকরির আরও তিন মাস বাকি আছে। আগামী বছরের ৩১ জানুয়ারি পর্যন্ত রয়েছে তার চাকরির মেয়াদ। ২০১৫ সালের ১৭ জানুয়ারি প্রধান বিচারপতির দায়িত্ব পাওয়া বিচারপতি সিনহা এই বছর সংবিধানের ষোড়শ সংশোধনী বাতিলের রায় দেয়ার পর থেকে ক্ষমতাসীনদের চরম সমালোচনার মুখে। বিচারপতিদের অসারণের ক্ষমতা সংসদের হাতে ফিরিয়ে নিতে সংবিধানের এই সংশোধন এনেছিল বর্তমান সরকার। হাই কোর্ট ওই সংশোধন বাতিলের পর আপিল বিভাগও একই রায় দেয়।
রায়ের পর্যবেক্ষণে প্রধান বিচারপতি সংসদ ও বঙ্গবন্ধুকে খাটো করেছেন বলে অভিযোগ তুলে ক্ষোভে ফেটে পড়েন ক্ষমতাসীন দলের নেতা ও সংসদ সদস্যরা। ক্ষমতাসীন দলের বিক্ষুব্ধ নেতারা প্রধান বিচারপতির বিরুদ্ধে দুর্নীতির অভিযোগও তোলেন। অন্যদিকে জিয়াউর রহমানের সামরিক সরকার আমলে প্রতিষ্ঠিত সুপ্রিম জুডিশিয়াল কাউন্সিল ফিরিয়ে আনার এই রায়কে স্বাগত জানায় বিএনপি। ষোড়শ সংশোধনী বাতিলের রায় এবং তার কিছু পর্যবেক্ষণের বিষয়ে আইনি পদক্ষেপ নিতে জাতীয় সংসদে একটি প্রস্তাবও গ্রহণ করা হয়। ওই প্রস্তাব পাসের আগে সংসদে আলোচনায় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেন, আদালত তার এখতিয়ারের বাইরে গিয়ে সংসদে আনা সংবিধান সংশোধন বাতিলের এই রায় দিয়েছে। সংসদ ও গণতন্ত্রকে প্রশ্নবিদ্ধ করে এই রায় দেয়ার উদ্দেশ্য নিয়েও প্রশ্ন তোলেন তিনি। ওই রায় ‘ভ্রমাত্মক’ বলে প্রতিক্রিয়া এসেছে সাবেক প্রধান বিচারপতি ও বর্তমানে আইন কমিশনের সদস্য এ বি এম খায়রুল হকের কাছ থেকে। এই রায় পুনর্বিবেচনার (রিভিউ) আবেদন করবেন জানিয়ে আইনমন্ত্রী আশা প্রকাশ করেছেন, এতে তারা কামিয়াব হবেন।
এরই মধ্যে সুপ্রিম কোটের অবকাশ ছুটি শুরু হলে ১৪ দিনের ছুটি নিয়ে প্রধান বিচারপতি বিদেশ যান। সে সময় আপিল বিভাগের বিচারপতি আবদুল ওয়াহহাব মিঞাকে ভারপ্রাপ্ত প্রধান বিচারপতি নিয়োগ দেয়া হয়। তখনই আইনজীবীদের মধ্যে গুজব ছড়িয়ে পড়ে প্রধান বিচারপতি এসকে সিনহাকে বাধ্যতামূলক ছুটি দেয়া হতে পারে। দেশে ফিরে এসে প্রধান বিচারপতি এসকে সিনহা যোগদান করে বেঞ্চ পুনর্গঠন করেন। কিন্তু গত ২ অক্টোবর প্রধান বিচারপতি অসুস্থতার কথা বলে এক মাসের ছুটি চেয়ে প্রেসিডেন্টর কাছে আবেদন করেন বলে জানান আইন মন্ত্রী। ওই দিন রাতেই আইন মন্ত্রনালয় আপিল বিভাগের সিনিয়র বিচারপতির দায়িত্বর দিয়ে গেজেট প্রকাশ করে। তবে বিএনপির অভিযোগ, প্রধান বিচারপতি অসুস্থ নন, তাঁকে জোর করে দায়িত্ব পালন থেকে বিরত রাখা হয়েছে।
এস কে সিনহার অনুপস্থিতিতে প্রথম কর্ম দিবস: গত ৩ অক্টোবর প্রধান বিচারপতি এস কে সিনহা ছুটিতে যাওয়ায় সুপ্রিম কোর্টের অবকাশ শেষে প্রথম কার্য দিবসেই দায়িত্বরত প্রধান বিচারপতি মো. আবদুল ওয়াহহাব মিঞার নেতৃত্বে আপিল বিভাগের কার্যক্রম শুরু হয়। সকাল ৯টা ৫ মিনিটে আপিল বেঞ্চের বিচারিক কর্যক্রম শুরু হয়। তা ১০টা পর্যন্ত চলে। এদিন হাইকোর্ট বসেনি। দুপুরে ফুলকোর্টের সভা করেন। সময় বিচার বিভাগের ভাবমূর্তি অক্ষুন্ন রাখতে বিচারকদের প্রতি আহŸান জানান দায়িত্বপ্রাপ্ত প্রধান বিচারপতি আবদুল ওয়াহ্হাব মিঞা। একই সঙ্গে হাইকোর্টের বেঞ্চগুলো পুনরায় পুনর্গঠনের সিদ্ধান্ত নেন। এরপর এ দিন দুপুরে আইনমন্ত্রী আনিসুল হক সুপ্রিম কোর্টে খাস কামরায় গিয়ে দায়িত্বপ্রাপ্ত প্রধান বিচারপতির সঙ্গে বৈঠক করেন।
ছুটি নিয়ে আইনজীবীদের প্রতিক্রিয়া: দীর্ঘ ছুটি থাকার পর আবার ছুটি কেন এটা নিয়ে জনমনে সন্দেহ সৃষ্টি হয়েছে। এটা নজিরবিহীন ঘটনা। মানুষ এটা জানতে চায়। হঠাৎ ছুটির আবেদন নেপথ্যে কোন রহস্য আছে কিনা তা নিয়েও সংশয় প্রকাশ করেছেন সুপ্রিমকোর্টের আইনজীবীরা। তবে অ্যাটর্নি জেনারেল বলেছেন, তার ছুটি চাওয়ার বিষয়টি নজিরবিহীন কোনো ঘটনা নয়। সাবেক আইন মন্ত্রী শফিক আহমেদ ও ড. শাহদীন মালিক মনে করেন এই মুহুতে রাজনৈতিক চাপে ছুটির আবেদন বলে মনে হয় না। তাদের মতে এই মুহুতে এটা জল্পনা-কল্পনা ছাড়া আর কিছু মনে হয় না। সুুিপ্রম কোর্ট আইনজীবী সমিতির সভাপতি জয়নুল আবেদীন বলেছেন, এই্ ছুটির ঘটনা নজিরবিহীন। অর্তীতে এমন ঘটনা দেখি না। এটা নিয়ে জনমনে এক ধরনের সন্দেহ সৃষ্টি হয়েছে। এছাড়াও সুপ্রিম সিনিয়র আইনজীবীরা জরুরী বৈঠক বসে প্রধান বিচারপতির ছুটির নিয়ে গভীর উদ্বেগ প্রকাশ করেন। এছাড়া সুপ্রিম কোর্ট আইনজীবী সমিতির নেতারা সারা দেশে ব্যাপী পাঁচদিনের কর্মসূচি পালন করেন। যদিও সরকার সমর্থিত আইনজীবীরা এ নিয়ে এক মত পোষণ করেন নি। প্রধান বিচারপতি সুরেন্দ্র কুমার সিনহাকে বিচারাঙ্গনের ফেরত চেয়ে সমাবেশ করেন সুপ্রিম কোর্টের সাধারণ আইনজীবীরা।এমন উদ্ভুত পরিস্থিতি নিয়ে সুপ্রিম কোর্টে আইনজীবীরা এস কে সিনহার ছুটির পক্ষে বিপক্ষে মিছিল সমাবেশ ও প্রতিবাদ সমাবেশ পালন করেন।
ছুটির আবেদনে নিয়ে বিতর্ক: প্রধান বিচারপতির ছুটির কথা জানিয়ে প্রেসিডেন্টকে চিঠি দেন। এ নিয়ে দেশব্যাপী ব্যাপক আলোচনা-সমালোচনা চল। এরপর একজন চিকিৎসক বিচারপতি এস কে সিনহার স্বাস্থ্য পরীক্ষার জন্য তার বাসায় যান। এরই প্রেক্ষিতে সচিবালয়ে নিজ দপ্তরে আইন মন্ত্রী সাংবাদিকদের সামনে তুলে ধরলেন এসকে সিনহার সেই চিঠি। সাংবাদিকদের পুরো চিঠিটি পড়েও শোনান মন্ত্রী। আইন মন্ত্রী বলেন, প্রধান বিচারপতি ক্যান্সারে আক্রান্ত। যদিও এই চিঠিতে প্রধান বিচারপতি স্বাক্ষর ও কয়েকটির বানান ভুল ছিলে দাবি করেন আইনজীবী সমিতির নেতারা।
সরকারি বাস ভবনে প্রধান বিচারপতি: ছুটির পর প্রথম কয়েকদিন দেখা সাক্ষাৎ কড়াকড়ি ছিল। এরপর প্রধান মন্ত্রী আন্তর্জানিক বিষয়ক উপেদেস্টা ও সুপ্রিম কোর্ট রেজিস্ট্রার জেনারেল দেখা করেন। এরপর আরো কয়েকজন অতিরিক্ত ও ডেপুটি রেজিস্ট্রার দেখা করেন। গত ৬ অক্টোবর প্রধান বিচারপতির সঙ্গে সাক্ষাৎ করে প্রধানমন্ত্রীর আন্তর্জাতিক বিষয়ক উপদেষ্টা। এছাড়াও ঐদিন এস কে সিনহার সঙ্গে দেখা করেন রেজিস্ট্রার জেনারেল ও অতিরিক্ত রেজিস্ট্রার । গত ৭ অক্টোবর প্রধান বিচারপতির স্বাস্থ্য পরীক্ষা করেন বিএসএমএমইউ’র কার্ডিওলজি বিভাগের বিভাগীয় প্রধান সজল কৃষ্ণ ব্যানাজি। ৮ অক্টোবর প্রধান বিচারপতি বনানীর জনসন প্যালেস ক্লিনিকে ডা. সেনফোর্ড সরকারের কাছে দাঁতের চিকিৎসা নেন। এছাড়াও স্বাস্থ্য পরীক্ষা করতে প্রধান বিচারপতির বাসায় আসেন তার ব্যক্তিগত চিকিৎসক মো. এ কে এম সালেক। এছাড়া বাস ভবন থেকে বের হয়ে তিনি দুইটির মন্দিরে যান।
প্রেসিডেন্টকে অবহিতকরণ চিঠি: প্রেসিডেন্টকে অবহিত করে আইন মন্ত্রণালয়ে চিঠি পাঠিয়েছেন প্রধান বিচারপতি। এটি এখন প্রক্রিয়াধীন বলে জানান আইন সচিব। এরপর গত বৃহস্পতিবার আইনমন্ত্রী বলেন, প্রধান বিচারপতি সুরেন্দ্র কুমার সিনহা একমাসের ছুটিতে আছেন। এরই মধ্যে আবার অস্ট্রেলিয়া, কানাডা ও আমেরিকা সফরে আগামী ১০ নভেম্বর পর্যন্ত বিদেশে অবস্থানের কথা জানিয়ে প্রেসিডেন্টকে চিঠি দিয়েছেন। ১৩ অক্টোবর তিনি বিদেশ যাচ্ছেন- এখন পর্যন্ত বিষয়টি এ পর্যায়ে রয়েছেন। প্রধান বিচারপতির ব্যক্তিগত কারণে ছুটিতে গেছেন, ব্যক্তিগত প্রয়োজনে তিনি এখন বিদেশ সফর করবেন। আইনমন্ত্রী বলেন, প্রধান বিচারপতির অনুপস্থিতিতে একজন দায়িত্ব পালন করবেন। ব্যক্তিগত প্রয়োজনে তিনি এখন বিদেশ সফর করবেন, এর মধ্যে বিতর্ক কিসের? প্রধান বিচারপতি ইস্যুতে কূটনৈতিকদের কাছে বিএনপির নালিশ সম্পর্কে আনিসুল হক বলেন, তাদের হাতে আন্দোলনের আর কোনো ইস্যু নাই। এখন তারা খড়-কুটা আঁকড়ে ধরে আন্দোলনের চেষ্টা করছেন। কিন্তু আমরা বলবো, আদালতের বিষয় নিয়ে যেন তারা কোনো রাজনীতি না করেন। এতে কোনো ফল হবে না।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।