Inqilab Logo

শনিবার ৩০ নভেম্বর ২০২৪, ১৫ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৭ জামাদিউল সানী ১৪৪৬ হিজরি

এস কে সিনহাকে জোর করে বিদেশ পাঠানো হচ্ছে -মির্জা ফখরুল

| প্রকাশের সময় : ১৪ অক্টোবর, ২০১৭, ১২:০০ এএম

স্টাফ রিপোর্টার : সংবিধানের ষোড়শ সংশোধনী রায় সরকারের মনোপূত না হওয়ায় প্রধান বিচারপতি সুরেন্দ্র কুমার সিনহাকে জোর করে ছুটি দেয়ার পর বিদেশে পাঠানো হচ্ছে বলে অভিযোগ করেছেন বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর। তিনি বলেছেন, দেশবাসী সবার কাছেই এটা স্পষ্ট, প্রধান বিচারপতিকে জোর করে বিদেশে পাঠানো হচ্ছে। যদি সরকার জোর করেই বিদেশে না পাঠাবেন, সরকারের উচিত প্রধান বিচারপতির সঙ্গে সাধারণ মানুষের কথা বলার সুযোগ দেয়া। কিন্তু সরকার তাকে (প্রধান বিচারপতি) কোন কথা বলতে দিচ্ছে না। শুক্রবার বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য তরিকুল ইসলামকে তার শান্তিনগরের বাসায় দেখতে গিয়ে সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে বিএনপির মহাসচিব এসব কথা বলেন। এ সময় ১৫ অক্টোবর ইসির সঙ্গে সংলাপে অংশ নেয়া প্রসঙ্গেও কথা বলেন মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর।
একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন অনুষ্ঠান নিয়ে পরামর্শ নিতে গত ৩১ জুলাই সুশীল সমাজের প্রতিনিধিদের সঙ্গে বৈঠকের মধ্য দিয়ে সংলাপ শুরু করে নির্বাচন কমিশন। এরপর ১৬ ও ১৭ অগাস্ট গণমাধ্যম প্রতিনিধিদের সঙ্গে মতবিনিময়ের পর ২৪ অগাস্ট থেকে শুরু হয় নিবন্ধিত ৪০টি রাজনৈতিক দলের সঙ্গে ধারাবাহিক সংলাপ। এবার দলগুলোকে নিবন্ধনক্রমের নিচ থেকে আমন্ত্রণ জানানো হয়। সে হিসাবে বিএনপির ১৫ অক্টোবর আর আওয়ামী লীগের ১৮ অক্টোবর সংলাপের তারিখ রাখা হয়।
মির্জা ফখরুল ইসলাম বলেন, নির্বাচন কমিশনে আমরা সংসদ ভেঙে দেয়া, নির্বাচনের আগে ও পরে সেনা মোতায়েন, আরপিও’র বিভিন্ন ধারা সংশোধনসহ বিভিন্ন প্রস্তাব দেব। একাদশ সংসদ নির্বাচন নিরপেক্ষ করতে বিএনপির পক্ষ থেকে একটি ‘সামগ্রিম প্রস্তাবনা’ তুলে ধরা হবে বলেও জানান তিনি। তিনি বলেন, আমরা বড় টিম নিয়ে নির্বাচন কমিশনের সংলাপে যাব, সেখানে গিয়ে লিখিতভাবে আমাদের সমস্ত প্রস্তাব তাদের সামনে তুলব। ইট উইল বি এ ভেরি কমপ্রিহেনসিভ। আমি মনে করি যে, এটা (প্রস্তাবনা) একটা মাইলফলক হয়ে থাকবে।
বিএনপির মহাসচিব বলেন, বিশেষ করে সরকার প্রধানের ক্ষেত্রে আমরা আমাদের কথা বলেছি যে, এটা এমন একটা অবস্থা তৈরি হয়েছে যে, এখানে একটা পরিবর্তন আসা দরকার। তারা (ক্ষমতাসীনরা) সংবিধানে যেসব সংশোধনী করেছে, সেই সংশোধনীর মধ্য দিয়ে এই নির্বাচন কতটুকু সুষ্ঠু হবে সেটাও কিন্তু প্রশ্ন থেকেছে সংশোধনীর মধ্যেই। যেমন পার্লামেন্ট ডিজলবড (বিলুপ্ত) হবে না। পার্লামেন্ট ডিজলবড না করলে কীভাবে নির্বাচনটা সুষ্ঠু হবে? আমাদের এখানে একটা ট্র্যাডিশন হয়ে আসছে, মানুষের মধ্যে একটা সাইকি তৈরি হয়েছে যে সেনাবাহিনী নিয়োগ না করলে নির্বাচনে সুষ্ঠু অবস্থা আশা করা যায় না। এই বিষয়গুলো আমরা বলেই আসছি, সংলাপেও বলব। তিনি বলেন, এই অবস্থার পরিপ্রেক্ষিতে আমি স্পেকুলেট করতে পারি কখনোই সুষ্ঠু নির্বাচন হবে না। আমাকে তো আশাবাদী হতে হবে, আমাকে তো পথ বের করতে হবে। পথ বের বের করার জন্য আমরা সর্বাত্মক চেষ্টা করছিÑ শেষ পর্যন্ত চেষ্টা করে যাব, যেন আমরা নির্বাচনে অংশ নিতে পারি, যেন সুষ্ঠু সুন্দর নির্বাচন হয়। বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য তরিকুল ইসলামের সাংবাদিকদের বলেছেন, মানুষ একটা নিরপেক্ষ নির্বাচন দেখতে চায়। সব দলই তা চায়। সিপিবি বলেছে, নির্বাচনের আগে সংসদ ভেঙে দিতে হবে, একই কথা অন্যান্য দলও বলছে। এখন বিষয়টা নির্ভর করছে সরকার এটা কীভাবে নেবে তার ওপর। একটি অবাধ, সুষ্ঠু, নিরপেক্ষ ও শান্তিপূর্ণ নির্বাচন লক্ষ্যে বিএনপি কাজ করে যাচ্ছে।



 

Show all comments
  • কাঞ্চন ১৪ অক্টোবর, ২০১৭, ৩:৩৯ এএম says : 0
    একদম ঠিক কথা
    Total Reply(0) Reply

দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।

ঘটনাপ্রবাহ: মির্জা ফখরুল

২১ ফেব্রুয়ারি, ২০২৩
২০ ফেব্রুয়ারি, ২০২৩

আরও
আরও পড়ুন
এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ
গত​ ৭ দিনের সর্বাধিক পঠিত সংবাদ