বিএনপির মানববন্ধন আজ, পাল্টা কর্মসূচি আওয়ামী লীগ
সারা দেশের মহানগর ও জেলা পর্যায়ে আজ মানববন্ধন করবে বিএনপি ও তার মিত্ররা। আর এ
ঝিনাইদহ জেলা সংবাদদাতাঃ ঝিনাইদহের কোটচাঁদপুর উপজেলার হরিনদিয়া গ্রাম থেকে মাকছুদুর রহমান ওরয়ে মাসুদ রানা (২৪) নামে এক কলেজ ছাত্রকে বিশেষ কায়দায় তুলে নেওয়ার অভিযোগ উঠেছে।
গত বৃহস্পতিবার বিকালে একটি কালো গাড়িতে অজ্ঞাত পরিচয় কিছু লোক মোবাইল টাওয়ার বসানোর স্থান খোঁজার নাম করে মাসুদ রানাকে তুলে নিয়ে যায়। কোটচাঁদপুর সরকারী কেএমএইচ বিশ্ববিদ্যালয় কলেজের অনার্স শেষ বর্ষের ছাত্র মাসুদ রানা হরিনদিয়া গ্রামের মোমিনুর ইসলামের ছেলে। খবর পেয়ে কোটচাঁদপুর উপজেলা চেয়ারম্যান নাজমা খাতুন শুক্রবার দুপুরে মাসুদ রানার বাড়িতে গিয়ে পরিবারকে ধৈর্য্য ধরার পরামর্শ দেন। অপহৃত মাসুদ রানার চাচা আবুল কালাম আাজাদ জানান, বৃহস্পতিবার বিকালে হরিনদিয়া গ্রামে ঢাকা মেট্রো-ঘ-১৩-৭৭৬৯ নম্বরের কালো রংয়ের একটি গাড়িতে তিন জন লোক নিজেদের মোবাইল কোম্পানীর কর্মকর্তা বলে পরিচয় দেয়।
এ সময় মাসুদসহ আরো ৫/৬ জন গ্রামের বাজারের পাশে বসে ছিলেন। তিনি জানান, তারা স্থান নির্বাচনের কথা বলে মাসুদ রানাও একই গ্রামের আব্দুল জলিলের ছেলে সাইদুর রহমানকে তুলে নিয়ে যায়। খোলা মাঠের মধে তারা কিছু ছবিও তোলে। এরপর সাইদুরকে রেখে মাসুদ রানাকে কালো গাড়িতে কোটচাঁদপুরের দিকে চলে আসে। সেই থেকে নিখোঁজ রয়েছেন মাসুদ রানা।
তার মোবাইলটিও বন্ধ পাওয়া যাচ্ছে। মাসুদ রানার চাচা আবুল কালাম আজাদ আরো জানান, মাইক্রোবাসে গ্রামীণফোনের স্টিকার লাগানো ছিল। এ সময় আমিও সেখানে উপস্থিত ছিলাম। মাইক্রোবাসে চারজন মানুষ ছিল। তাদেরকে দেখে মনে হচ্ছিল তারা প্রশাসনের লোক।
স্থানীয় কুশনা ইউনিয়নের ৯ নং ওয়ার্ডের মেম্বর ওহিদুর রহমান খবরের সত্যতা স্বীকার করে বলেন, প্রয়োজনীয় কাগজপত্র নিয়ে শুক্রবার সন্ধ্যায় আমরা জিডি করতে থানায় যাচ্ছি।
বিষয়টি নিয়ে ঝিনাইদহ গোয়েন্দা বিভাগের ওসি দাউদ হোসেন জানান, এই নামে তারা কোন ব্যক্তিকে আটক করেনি।
কোটচাঁদপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা বিপ্লব কুমার সাহা জানান, ঘটনাটি আমি শুনেছি। বিষয়টি তদন্ত করে দেখা হচ্ছে। তিনি বলেন, মাসুদ রানার পরিবার জিডি করতে থানায় আসলে প্রয়োজণীয় ব্যবস্থা গ্রহন করা হবে।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।