Inqilab Logo

সোমবার, ০১ জুলাই ২০২৪, ১৭ আষাঢ় ১৪৩১, ২৪ যিলহজ ১৪৪৫ হিজরী

ধর্ষণের অপমান সইতে না পেরে ছাত্রীর আত্মহত্যার অভিযোগ

৪ দিন পার হলেও মামলা নিচ্ছে না পুলিশ

| প্রকাশের সময় : ১৪ অক্টোবর, ২০১৭, ১২:০০ এএম


পঞ্চগড় জেলা সংবাদদাতা : পঞ্চগড়ের তেঁতুলিয়া উপজেলায় অব্যাহত ধর্ষণের অপমান সহ্য করতে না পেরে কাজি শাহাবুদ্দীন বালিকা উচ্চ বিদ্যালয়ের নবম শ্রেণীর মেধাবী ছাত্রী রহিমা আক্তার সোনিয়া গলায় ফাঁস লাগিয়ে আত্মহত্যা করেছে বলে অভিযোগ উঠেছে। ধর্ষণের ভিডিও প্রকাশের ভয় দেখিয়ে তেঁতুলিয়া উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের ইমার্জেন্সি এটেনডেন্ট ও ওষুধ ব্যবসায়ী মনসুর আলী রাজন ও বাংলালিংকের কাস্টমার কেয়ারের কর্মকর্তা বিকাশ এজেন্ট আতিকুর রহমান আতিক নামের দুই যুবক ইন্টারনেটে ধর্ষণের ভিডিও ফুটেজ প্রচারসহ প্রাণে মেরে ফেলার ভয় দেখানোয় গত মঙ্গলবার (১০ অক্টোবর) কোচিংয়ে যাওয়ার সময় অর্ধেক রাস্তা থেকে বাসায় ফিরে এসে ঘরের সড়ের সাথে গলায় ওড়না দিয়ে ফাঁসি লাগিয়ে আত্মহত্যা করে সোনিয়া। ওই রাতেই ধর্ষণ এবং আত্মহত্যায় প্ররোচণার অভিযোগে পরিবারের লোকজন থানায় মামলা করতে গেলেও এ রিপোর্ট লেখা পর্যন্ত পুলিশ মামলা রেকর্ড করেননি। তবে থানায় একটি অপমৃত্যু (ইউডি) মামলার পর গত বুধবার (১১ অক্টোবর) ময়নাতদন্ত শেষে পরিবারের কাছে সোনিয়ার লাশ হস্তান্তর করে পুলিশ। ঘটনার পর পরই ওই দুই ধর্ষক গা ঢাকা দিয়েছে।
পরিবার ও এলাকাবাসি সূত্রে জানা গেছে, প্রায় তিন মাস আগে অসুস্থ্য মায়ের ঔষুধ নিয়ে যাওয়ার কথা বলে তেঁতুলিয়া উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের ইমার্জেন্সি এটেন্ডেন্ট ও তেঁতুলিয়া বাজারের রাজন ফার্মেসির মালিক মনসুর আলী রাজন স্কুল ছাত্রী সোনিয়াকে তার দোকানে ডেকে আনে। পরে ওষুধ বাসায় আছে বলে সোনিয়াকে মোটরসাইকেলে তুলে বাংলালিংকের কাস্টমার কেয়ারের কর্মকর্তা বিকাশ এজেন্ট আতিকের তেঁতুলিয়া উপজেলা কোয়ার্টারে বাসায় নিয়ে যায়। বাসায় আতিকের স্ত্রী না থাকার সুযোগ নিয়ে ঘরের ভিতরে রাজন ও সোনিয়াকে রেখে বাইরে থেকে তালা দিয়ে চলে যায় আতিক। এভাবেই প্রথমে রাজন পরে আতিক তাকে ধর্ষণ করে এবং ভিডিও ধারণ করে। ইন্টারনেটের মাধ্যমে সেই ভিডিও ফুটেজ প্রচার ও কাউকে জানালে মেরে ফেলার ভয় দেখিয়ে গত তিন মাস থেকে বিভিন্ন সময়ে তারা সোনিয়াকে ধর্ষণ করে আসছে। সোনিয়া বাবা জাহেরুল ইসলাম জানান, বুধবার রাতে ধর্ষণ এবং আত্মহত্যায় প্ররোচণার অভিযোগে রাজন ও আতিকের নামে তেঁতুলিয়া থানায় মামলা করতে যাই। কিন্তু পুলিশ মামলাটি রেকর্ড করেনি। আসামীও ধরেনি। তেঁতুলিয়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) সরেস চন্দ্র জানান, সোনিয়া আত্মহত্যা করেছে সংবাদ শুনে আমরা একটি অপমৃত্যু (ইউডি) মামলা রেকর্ড করেছি। পরিবারের পক্ষ থেকে কারো বিরুদ্ধে যদি কোন সুনির্দিষ্ট অভিযোগ আসে লাশের ময়না তদন্ত রিপোর্ট পাওয়ার পরে যথাযথভাবে আইনি ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

 



 

দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।

আরও পড়ুন
এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ
গত​ ৭ দিনের সর্বাধিক পঠিত সংবাদ