বিএনপির মানববন্ধন আজ, পাল্টা কর্মসূচি আওয়ামী লীগ
সারা দেশের মহানগর ও জেলা পর্যায়ে আজ মানববন্ধন করবে বিএনপি ও তার মিত্ররা। আর এ
বগুড়া ব্যুরো ও দুপচাঁচিয়া উপজেলা সংবাদাতা : বগুড়ার দুপচাঁচিয়ায় মেধাবী স্কুলছাত্রী রাফিজা আকতার সাথী আত্মহত্যার প্ররোচণা ও পুলিশের ওপর হামলা মামলার প্রধান আসামি হুজাইফ ইয়ামিন (২০) ও তার বাবা আমিনুর ইসলাম মীর এখন বগুড়া কারাগারে। গতকাল বৃহষ্পতিবার দুপুরে তারা সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালত-৪ এর বিচারক আবদুল্লাহ আল মামুনের আদালতে হাজির হয়ে দু’টি মামলায় জামিনের জন্য আবেদন করলে বিচারক তা’ নামঞ্জুর করে তাদের কারাগারে পাঠানোর নির্দেশ দিলে পুলিশ তাকে সরাসরি বগুড়া কারাগারে পাঠিয়ে দেয়। দুপচাঁচিয়া থানার ওসি এ প্রসঙ্গে জানান, চাঞ্চল্যকর এই দু’টি মামলার তদন্ত কর্মকর্তা এসআই খায়রুল ইসলাম ও জাকির হোসেন আদালতের কাছে ওই দুই আসামিকে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য দু’টি মামলায় পৃথকভাবে সাতদিন করে রিমান্ড আবেদন করলে আদালত ১৫ অক্টোবর শুনানির দিন ধার্য করেণ।
উল্লেখ্য হুজাইফ ইয়ামিন নামের ওই বখাটের ‘ ইভ টিজিং’ এ অতিষ্ট হয়ে গত ৮ অক্টোবর স্কুলছাত্রী সাথী নিজ বাড়িতে আত্মহত্যা করে মর্মে অভিযোগের ভিত্তিতে অভিযুক্ত হুজাইফ ইয়ামিনকে আটক করতে ওই দিন রাতে জিয়ানগর ইউপির হারুঞ্জা গ্রামে গ্রামে অভিযানে গেলে গ্রামবাসী পুলিশের ওপর হামলা চালায় ও তাদের আটকে রাখে।
পরে অতিরিক্ত পুলিশ নিয়ে রাতে আবারো ওই গ্রামে অভিযান চালিয়ে আটক পুলিশদের উদ্ধার ও এই ঘটনায় জড়িত সন্দেহে ২৬জন গ্রামবাসিকে কে আটক করা হয়। এ ঘটনায় দু’টি পৃথক মামলা দায়ের করা হয়। আত্মহত্যার প্ররোচণায় মেয়ের বাবা গোলাম রব্বানী বখাটে হুজাইফ ইয়ামিন ও তার বাবা আমিনুর ইসলাম মীরকে আসামি একটি এবং পুলিশের কাজে বাধা প্রদান ও তাদের ওপর হামলার অভিযোগে পুলিশের উপ-পরিদর্শক (এসআই) আব্দুর রহিম ২৬ জনের নাম উল্লেখ সহ ৪০-৫০ অজ্ঞাতপরিচয় গ্রামবাসিকে আসামি করে আরেকটি মামলা করেন।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।