বিএনপির মানববন্ধন আজ, পাল্টা কর্মসূচি আওয়ামী লীগ
সারা দেশের মহানগর ও জেলা পর্যায়ে আজ মানববন্ধন করবে বিএনপি ও তার মিত্ররা। আর এ
নাজিম বকাউল, ফরিদপুর থেকে : প্রতিনিয়ত সহিংসতায় জড়িয়ে পড়ছে ফরিদপুরের সালথা উপজেলার মানুষ। একদিকে যেমন সংঘর্ষে হতাহতের তালিকা দীর্ঘ হচ্ছে অপরদিকে তেমনি লুটপাটের কারণে প্রতিনিয়ত সহায় সম্বলহীণ হয়ে নি:স্ব হচ্ছে মানুষ। সালথায় ২০১৭ সালে এ পর্যন্ত বিভিন্ন সময়ে অর্ধ শতাধিক সহিংসতায় নিহত হয়েছে কমপক্ষে ছয় ব্যাক্তি আর আহত হয়েছে কয়েকশ নারী পুরুষ ও শিশু। এছাড়া লুটপাটের শিকার হয়েছে কয়েকশ বাড়ীঘর। সোমবার রাতে গোবিন্দপুর গ্রামের এক পক্ষের নেতা শেরআলীর সমর্থক কানাইয়ের বাড়ীঘরে হামলা চালায় দেলোয়ার খাঁ গ্রæপের লোকজন। এঘটনার জেরে মঙ্গলবার সকালে গোবিন্দপুর গ্রামে দু’পক্ষ দেশীয় অস্ত্র ঢাল-কাতরা, সড়কি-ভেলা, রামদা-ইটপাটকেল, লাঠিসোটা নিয়ে একে অপরের উপর ঝাপিয়ে পড়ে। দীর্ঘ ২ ঘন্টাব্যাপী চলা এই সংঘর্ষে মান্নান মাতুব্বারের স্ত্রী জহুরা বেগম (৬০) নিহত হয়। এসময় উভয় পক্ষের অন্তত ১৫টি বাড়িতে হামলা চালিয়ে ব্যাপক ভাংচুর ও লুটপাট করে সংঘর্ষকারীরা। সংঘর্ষকারীরা নির্মমভাবে হত্যা যজ্ঞে মেতে ওঠে। প্রকাশ্যে হত্যা করে প্রতিপক্ষের মানুষকে। অপরপক্ষের দাবী সংঘর্ষে নিহতের কোন ঘটনা ঘটেনি। প্রতিপক্ষকে সাহেস্তা করতে পুর্বে মৃত ব্যাক্তিকে সংঘর্ষে নিহত হয়েছে বলে চালিয়ে দেয়া হচ্ছে। তারা দাবী করেন, অপর পক্ষের লোকজন ইতিপুর্বে একাধিক হত্যা মামলার আসামী তারাই প্রতিপক্ষকে চাপে ফেলতে এ ঘটনা সাজিয়েছে। তারা জানান, সালথা উপজেলায় প্রতিপক্ষকে ফাসাতে নিজ পক্ষের দুর্বল বা অসুস্থ মানুষকে হত্যার ঘটনা নতুন হয়। সালথা উপজেলায় এবছর অন্তত ৫০টি সংঘর্ষের ঘটনা ঘটেছে। এতে আটঘরে তিনজন, লক্ষণদিয়ায় দুইজন ও বল্লভদিয়ায় একজনের মৃত্যু হয়। এসব ঘটনায় আহত হয়েছে কয়েকশ মানুষ আর লুটপাটে সহায় সম্বল হারিয়েছে কয়েকশ মানুষ।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।