পটুয়াখালীর যুবক ক্বারী সাইয়্যেদ মুসতানজিদ বিল্লাহ রব্বানীর কোরআন তেলাওয়াতে মুগ্ধ যুক্তরাষ্ট্রবাসী
ইসলামি সভ্যতা ও সংস্কৃতি বিকাশে বাংলাদেশের অবদান অনস্বীকার্য। এদেশে ইসলামি সংস্কৃতি চর্চার ইতিহাস অনেক প্রাচীন।
আজও কর্মসূচি পালন করবেন আইনজীবীরা
প্রধান বিচারপতি সুরেন্দ্র কুমার সিনহার ছুটিকে কেন্দ্র করে পাল্টাপাল্টি কর্মসূচি অব্যাহত রেখেছেন সুপ্রিম কোর্টের আইনজীবীরা। গতকাল বুধবার দুপুরে বিএনপির সমর্থিত ও সরকার সমর্থিত আইনজীবীরা পৃথক পৃথকভাবে অবস্থান কর্মসূচি ও মানববন্ধন করেন। এসময় বিএনপি সমর্থিত আইনজীবীরা অভিযোগ করে বলেন, প্রধান বিচারপতির সব ধরনের যোগাযোগের মাধ্যম বিচ্ছিন্ন করা হয়েছে। কেন প্রধান বিচারপতিকে কারা অন্তরীণ করে রেখেছে দেশবাসী জানতে চায়। অপরপক্ষের আইনজীবীরা বলেছেন, আইনজীবী সমিতিকে একটি পক্ষ রাজনীতিকীকরণ করছে। আমাদের আন্দোলন বিচার বিভাগের স্বাধীনতা সমুন্নত রাখার জন্য। এসময় সমিতির প্রাঙ্গণে এক ধরনের উত্তেজনার সৃষ্টি হয়। উভয়পক্ষই আবার আজ বৃহস্পতিবারের কর্মসূচি ঘোষণ করেছে।দুপুরে একর্মসূচি পালন করা হবে। এদিকে সুপ্রিম কোর্ট প্র্ঙ্গাণের আশে পাশে নিরাপত্তাও জোড়দার করা হয়েছে। আইন শৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্যরা সর্তক অবস্থা নেয়।
প্রধান বিচারপতি ছুটি ও বিচার বিভাগের ভার্বমূতির রক্ষার দাবিতে সুপ্রিম কোর্ট আইনজীবী সমিতির সভাপতি জয়নুল আবেদীনের সভাপতিত্বে অবস্থান কর্মসূচি পালিত হয়। এসময় বক্তব্য রাখেন- অ্যাডভোকেট মীর মোহাম্মদ নাছির উদ্দীন, নিতাই রায় চৌধুরী, সমিতির সাবেক সম্পাদক গিয়াস উদ্দিন আহমেদ, সমিতির বর্তমান সম্পাদক ব্যারিস্টার মাহবুব উদ্দিন খোকন, ব্যারিস্টার বদরুদ্দোজা বাদল, ব্যারিস্টার কায়সার কামাল, তৈমুর আলম খন্দকার, খালেদা পান্না, গোলাম মো: চৌধুরী আলাল, সমিতির সহসভাপতি উম্মে কুলসুম রেখা, বারের সদস্য আয়শা আক্তার, শামীমা সুলতানা দীপ্তি, ওয়ালিউর রহমান খান, আবেদ রাজা, মোহাম্মদ আলী, গাজী কামরুল ইসলাম সজল, মির্জা আল মাহমুদ, খালেদা পান্না, রফিকুল ইসলাম তালুকদার রাজা, ব্যারিস্টার সাদিয়া আফরোজ, ব্যারিস্টার তাসনিয়া প্রধান, শরীফ ইউ আহমেদ প্রমুখ।
সভাপতির বক্তব্যে অ্যাডভোকেট জয়নুল আবেদীন অভিযোগ করে বলেন আমরা জানতে পেরেছি প্রধান বিচারপতির সব ধরনের যোগাযোগের মাধ্যম বিচ্ছিন্ন করে রাখা হয়েছে। সারা দেশের আইনজীবীরা জানতে চান, কারা প্রধান বিচারপতিকে কারা অন্তরীণ করে রেখেছে? । তিনি আরো বলেন, ‘আমাদের আন্দোলন কর্মসূচি চলাকালীন কখনো কোনো আইনজীবী বিরোধিতা করেননি। কিন্তু আজ দেখা যাচ্ছে যে বেতনভুক্ত সরকারী কর্মচারীরা বাঁচার জন্য আইনজীবীদের বিরোধিতা করতে দাঁড়িয়ে গেছেন। অ্যাটর্নি জেনারেল, অতিরিক্ত অ্যাটর্নি জেনারেল, ডেপুর্টি অ্যাটর্নি জেনারেল এবং সহকারী অ্যাটর্নি জেনারেলরা তাদের (বঙ্গবন্ধু আওয়ামী আইনজীবী পরিষদ) কর্মসূচিতে ছিলেন। আমি তাদের জিজ্ঞাসা করলাম আপনারা কেন এখানে এসেছেন? তারা বলছেন যে, চাকরি রক্ষা করার জন্য আমরা এখানে দাঁড়িয়েছি। তাদের (আওয়ামী লীগের) সঙ্গে সাধারণ আইনজীবীরা নেই।
আওয়ামীপন্থী আইনজীবীদের মানববন্ধন: আদালত অঙ্গনকে রাজনীতিকীকরণ ও অপতৎপরতার বিরুদ্ধে মানববন্ধন করেছে বঙ্গবন্ধু আওয়ামী আইনজীবী পরিষদ। দুপুরে সুপ্রিম কোর্ট প্রাঙ্গণে এ মানববন্ধন অনুষ্ঠিত হয়। পরিষদের আহŸায়ক অ্যাডভোকেট ইউসুফ হোসেন হুমায়ুন বলেন, প্রধানমন্ত্রীকে কটূক্তিকারীদের সঠিক জবাব আইনজীবীরা দেবেন। আমি সুপ্রিম কোর্ট আইনজীবী সমিতির সভাপতি ছিলাম, আমার ওয়াদা ছিল সুপ্রিম কোর্টকে রাজনীতিমুক্ত রাখা। আজকে সেই সমিতিকে রাজনীতিকীকরণ করা হয়েছে। এ সময় তিনি একই দাবিতে বৃহস্পতিবার বিক্ষোভ কর্মসূচির ঘোষণা দেন। পরিষদের সদস্য সচিব ব্যারিস্টার ফজলে নূর তাপস বলেন, মানবতার জননী প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা প্রমাণ করেছেন বাঙালি জাতি কত উদার। নিজস্ব অর্থায়নে পদ্মা সেতু করে তিনি বিশ্বের কাছে বাংলাদেশের মাথা উঁচু করেছেন। আজকে সুপ্রিশ কোর্ট বারকে ব্যবহার করা হচ্ছে। ভবিষ্যতে এর সমুচিত জবাব দেয়া হবে। অচিরেই সাধারণ সভা ডেকে ওই কুলাঙ্গারদের বিতাড়ন করা হবে। এসময় অ্যাটর্নি জেনারেল মাহবুবে আলম বলেন, সমিতির আন্দোলনের সঙ্গে আইনজীবীরা নেই। আইনজীবীরা আমাদের সঙ্গে রয়েছেন। আমাদের আন্দোলন বিচার বিভাগের স্বাধীনতা সমুন্নত রাখার জন্য। আর তারা ঘোলা পানিতে মাছ শিকার করতে চাচ্ছে। এসময় উপস্থিত ছিলেন বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের সভাপতিমন্ডলীর সদস্য অ্যাডভোকেট আবদুল মতিন খসরু, সুপ্রিম কোর্ট আইনজীবী সমিতির সাবেক সম্পাদক শ ম রেজাউল করিম, ড. বশির আহমেদ প্রমুখ ।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।