প্রাক্তন প্রেমিকের নির্যাতনের শিকার অভিনেত্রী
মালায়ালাম সিনেমার অভিনেত্রী আনিকা বিক্রমন। প্রাক্তন প্রেমিক অনুপ পিল্লাই তাকে শারীরিকভাবে নির্যাতন করেছেন বলে অভিযোগ
ধাপে ধাপে প্ররোচিত করে আত্মহত্যার দিকে ঠেলে দেয়া কথিত গেম ব্ল হোয়েল বাংলাদেশে প্রভাব ফেলেছে। ইতোমধ্যে অনেকে আত্মহত্যা করেছে বলে পত্রিকায় সংবাদ প্রকাশিত হয়েছে। এ নিয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করেছেন জনপ্রিয় চিত্রনায়ক, প্রযোজক ও শিল্পপতি অনন্ত জলিল। তিনি এ গেমকে নিরুৎসাহিত করে গত সোমবার তার ভক্তদের উদ্দেশে একটি দীর্ঘ স্ট্যাটাস দেন। স্ট্যাটাসে তিনি বলেন, আশা করি আল্লাহতায়ালার দয়ায় আপনারা সবাই ভাল আছেন। তবে আমি মানসিকভাবে কিছুটা আঘাতপ্রাপ্ত, তার কারণ ব্ল হোয়েল গেমের চিন্তায়। এই গেমটির কারণে বিশ্বের বিভিন্ন দেশের সম্ভবনাময় প্রাণ কেড়ে নিয়েছে। তার বিষাক্ত ছোবল আমাদের প্রিয় বাংলাদেশেও পড়েছে। আমি শংকিত, আমার দেশের সম্ভবনাময় তরুণ-তরুণীদের নিয়ে। বাংলাদেশের যুবক-যুবতীরা বেশ মেধাবী এবং জ্ঞানী। তারা জানে, এই গেম তাদেরকে শুধু বিপদেই ফেলবে না, তাদের সাথে তার পরিবারকেও অনিশ্চিত রাস্তায় ঠেলে দিবে। আমি আল্লাহর কাছে কড়জোড়ে দোয়া করছি, আল্লাহ যেন বাংলাদেশের সকলকে বিশেষ করে যারা গেস খেলেন তাদেরকে এই বিপদগামী গেমের হাত থেকে রক্ষা করেন। একটা কথা ভাবতে হবে, কেন আমরা অপরের নির্দেশনায় যাকে আমরা কখনও দেখিনি, যার পরিচয় জানি না, তার কথায় কেন নিজের জীবন অকালে বিলিয়ে দিব? আমরা জানি, আত্মহত্যা মহাপাপ, তবে কেন আমরা এই গেম খেলতে যাবো? কেনো এই গেমের সাথে সংযোগ স্থাপন করবো? আমরা অবশ্যই এই গেম থেকে দূরে থাকবো এবং কাউকে খেলতে দেখলে অবশ্যই তাকে আমরা গেমটি হতে যে কোন উপায়ে ফিরিয়ে আনবো। কারণ সে কারো সন্তান, ভাই বা বোন। আমি চাইন,া শুনতে আমার প্রিয় দেশের কেউ এই গেমের প্রভাবে নিজের সামান্যতম ক্ষতির সম্মুখীন হোক। বন্ধুগণ, এইসব ফালতু গেম নিজের মোবাইলে ইন্সটল করে নিজের পার্সোনাল ইনফরমেশন গেমের এডমিনকে একসেস দেয়ার কোন মানেই হয় না। অপরকে ব্ল্যাকমেল করতে দিবেন কেন? ব্ল হোয়েল খেলা মানেই নিজেকে ব্ল্যাকমেলে ফেলা। একটু মাথা খাটান। ধরুন, অপরিচিত কেউ আপনার একটা একান্ত ব্যক্তিগত ছবি চাইল। যে ছবি অন্য কেউ দেখলে আপনার মানসন্মান শেষ। আপনি দেবেন? ব্ল হোয়েল এসব গেমের মাধ্যমে চাইবে। সুতরাং এইসব ফালতু জিনিস মাথায় না নিয়ে মাথা খাটান ভালো কিছুতে, যা নিজের এবং মানুষের উপকারে আসে। বন্ধুগণ, আমরা বেশির ভাগই মুসলিম ঘরের সন্তান। ইসলাম আমাদের শান্তির পথ দেখায়, ভালো ও আলোর পথ দেখায়। আসুন, এসব বিপথে পরিচালিত গেমকে দূরে ফেলে, সে সময়ে ভালো কিছু করি। বর্তমান সরকার তথ্য প্রযুক্তিকে অনেক এগিয়ে নিয়েছে। আমরা চাইলে সফটওয়্যার, ফটোশপ, গ্রাফিক্সসহ অনেক সেক্টরে কাজ করতে পারি, লেখাপড়ার পাশাপাশি। এতে যেমন নিজের প্রতিভাকে যর্থাথ ব্যবহার করা হবে তেমনি দেশ এগিয়ে যাবে। আশা করি, আমরা নিজেরাও এ গেমের ধারে কাছে যাবো না, অপরকেও যেতে দেবো না। কেউ যদি এ গেমের প্রতি অলরেডি আসক্ত হয়ে পড়ে, তবে তাকে যথাযথ উপায়ে গেমের কাছ থেকে ফিরিয়ে আনবো। পরবর্তীতে তাকে ভালো কাজে উৎসাহিত করবো, ইনশাআল্লাহ। সাথে নিজেও নিজের ধর্ম পালন করবো এবং অন্যদের পালন করতে দাওয়াত দিবো এবং উৎসাহিত করবো ইনশাআল্লাহ।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।