হিন্দুত্ববাদী রাজনীতির খড়গ : আসামের এনআরসি এবং বাংলাদেশ
কিশোর শিক্ষার্থীদের নিরাপদ সড়ক দাবীর আন্দোলনে ঢাকাসহ সারাদেশে তীব্র রাজনৈতিক উত্তেজনা ও অনিশ্চয়তা দেখা যাচ্ছিল,
পত্রিকার জন্য লিখতে বসলেই চোখের সামনে ভেসে ওঠে মিয়ানমার থেকে বিতাড়িত হয়ে বাংলাদেশে আসা অসহায় নারী-পুরুষ-শিশু-বৃদ্ধ রোহিঙ্গাদের মুখ। বিভিন্ন পত্র-পত্রিকায় প্রতিদিন প্রকাশিত হচ্ছে গত ২৫ আগস্ট নতুন করে শুরু হওয়া রোহিঙ্গা মুসলমানদের গণহত্যা, নারী ধর্ষণ, বাড়ীঘর পুড়িয়ে দেয়া এবং শত শত বছরের বসতবাড়ি থেকে তাড়িয়ে দেয়ার ফলে প্রাণ নিয়ে জঙ্গল-পাহাড়-খাল-নদী ডিঙ্গিয়ে বাংলাদেশে আশ্রয় নেয়া রোহিঙ্গাদের দুরবস্থার কথা। এসব শুনতে শুনতে কেবলই প্রশ্ন জাগে মানুষ কেমন করে এমন নিষ্ঠুর অমানুষ হয়ে উঠতে পারে? যারা এই রোহিঙ্গা-বিরোধী বর্বর অভিযানে অংশ নিচ্ছে, তারা অধিকাংশই মিয়ানমার সেনাবাহিনীর সদস্য, মহামতি গৌতম বুদ্ধের প্রচারিত অহিংসা ও শান্তির ধর্ম বৌদ্ধ ধর্মে বিশ্বাসীর দাবিদার বৌদ্ধ ভিক্ষু ও বৌদ্ধ নেতা। তাদের বর্বরতার শিকার রোহিঙ্গাদের নির্যাতিত হওয়ার কাহিনী শুনলে অতি বড় পাষাণেরও চক্ষু অশ্রæসজল হয়ে ওঠে। ফলে অন্য কোন বিষয়েই লেখা প্রায় অসম্ভব হয়ে পড়ে।
কিন্তু একই বিষয়ে দিনের পর দিন আর কাঁহাতক লেখা যায়, এ প্রশ্ন নিয়ে যখন পেরেশান ছিলাম তখনই গত ৭ অক্টোবর শনিবার একটি বাংলা দৈনিকে প্রকাশিত একটি সচিত্র প্রতিবেদনে চোখ আটকে গেল, যার শিরোনাম ছিল : “মস্কোয় ‘ঐতিহাসিক’ সফরে বাদশাহ সালমান : রাশিয়া থেকে অস্ত্র কিনছে সৌদি।” বার্তা সংস্থা এএফপির বরাতে ঐ প্রতিবেদনে বলা হয় : ‘সৌদি বাদশাহ সালমান বিন আবদুল আজিজের ঐতিহাসিক রাশিয়া সফরে অস্ত্র এবং জ্বালানি নিয়ে চুক্তি করেছে দুই দেশ। গত বৃহস্পতিবার এই চুক্তি স্বাক্ষর করেন সৌদি বাদশাহ সালমান ও রুশ প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন।’
সৌদি আরব ও রাশিয়ার মধ্যে স্বাক্ষরিত এই চুক্তির গুরুত্ব বিশ্লেষণ করতে গিয়ে প্রতিবেদনে বলা হয় : ‘এটি কোনো সৌদি রাষ্ট্র প্রধানের প্রথম রাশিয়া সফর। সৌদি আরব ও রাশিয়া বিশ্বের সবচেয়ে বড় তেল রপ্তানিকারক দেশ। এই সফরে তেল উৎপাদন ও রপ্তানি সহযোগিতা বাড়ানোর বিষয়ে আলোচনার উদ্যোগ নিয়েছে দুই দেশ। বিশ্বব্যাপী তেলের দাম পড়ে যাওয়ার পরিপ্রেক্ষিতে তেল উত্তোলনের পরিমাণ হ্রাসের জন্য ওপেক চুক্তিতে আরও সম্প্রসারিত করতে আগ্রহী মস্কো ও রিয়াদ।’
রুশ প্রেসিডেন্ট পুতিন ক্রেমলিনে নিজ বাসভবনে সৌদি বাদশাহ সালমানকে অভ্যর্থনা জানান। বৈঠকে রুশ প্রেসিডেন্ট পুতিন বলেন, ‘আমি বিশ্বাস করি আপনার (বাদশাহ সালমান) সফর দ্বিপক্ষীয় সম্পর্ক উন্নয়নে ইতিবাচক ভূমিকা রাখবে।’ বাদশাহ সালমান আশাবাদ ব্যক্ত করেন বিশ্বব্যাপী তেলের বাজার স্থিতিশীল রাখতে এবং বৈশ্বিক অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধির জন্য কাজ করবে দুই দেশ। এখানে উল্লেখযোগ্য যে সৌদি আরব বহু বছর ধরে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের মিত্র দেশ। তাদের সামরিক ক্রয়ও যুক্তরাষ্ট্র-নির্ভর। এবারই প্রথম যুক্তরাষ্ট্রের প্রতিদ্ব›দ্বী রাশিয়ার সঙ্গে সামরিক ক্রয় সংক্রান্ত চুক্তি করল সৌদি আরব।
যে কোন স্বাধীন দুটি দেশ তাদের স্বাধীন চিন্তাধারা ও প্রয়োজন মোতাবেক চুক্তি করবে, এতে আশ্চর্যের কিছু নেই। বরং এতে তাদের স্বাধীন চিন্তাধারার ক্রিয়াশীলতাই প্রমাণিত হয়। আন্তর্জাতিক সম্পর্কের ক্ষেত্রে যে একটা কথা বলা হয়, কোন স্বাধীন দেশের স্থায়ী কোন বন্ধু বা স্থায়ী কোনো শত্রæ থাকতে পারে না, তাতে তাদের স্বাধীনতার সীমাবদ্ধতাই প্রমাণিত হয়, যা অনাকাক্সিক্ষত। সে নিরিখে এক কালের মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের ঘনিষ্ঠ মিত্র দেশ সৌদি আরব যদি যুক্তরাষ্ট্রের প্রতিদ্ব›দ্বী দেশ রাশিয়ার সাথেও মৈত্রী সম্পর্ক গড়ে তুলতে পারে, তাতে তার বৈদেশিক নীতির গতিশীলতাই প্রমাণিত হয়।
প্রশ্ন সেটা নয়। প্রশ্ন সৌদি বাদশাহ সালমানের রাশিয়া সফর সম্পর্কে পত্রপত্রিকায় প্রকাশিত সচিত্র প্রতিবেদন নিয়ে। প্রকাশিত প্রতিবেদনে জানা যায়, রাশিয়া সফরে বাদশাহ সালমানের সফর সঙ্গী ছিলেন মোট দেড় হাজার। সঙ্গে সোনার তৈরি চলন্ত সিঁড়ি ও বিশেষ কার্পেটও ছিল। প্রতিবেদনের সঙ্গে প্রকাশিত ছবিতে দেখা যায় উড়োজাহাজ থেকে নামার সময় বাদশাহ ব্যবহার করেন সঙ্গে নিয়ে আসা সোনার তৈরি চলন্ত সিঁড়ি। মাঝপথে সিঁড়ি নষ্ট হয়ে গেলে বাকী পথ সিঁড়ি দিয়ে হেঁটেই আসতে হয় ৮১ বছর বয়সী বাদশাহকে। বাদশাহ সালমান যে হোটেলে অবস্থান করেন সেখানে তিনি নিজস্ব আসবাব ব্যবহার করেন। এগুলো সৌদি-আরব থেকে নিয়ে যান তিনি। হোটেলে অবস্থানকালে তাঁর নিজস্ব আসবাব ব্যবহার করার স্বপক্ষে নিরাপত্তার যুক্তি প্রদর্শন করা যেতে পারে। কিন্তু বিমান থেকে নামার জন্য সোনার তৈরি চলন্ত সিঁড়ি ব্যবহারের স্বপক্ষে কোন যুক্তি প্রদর্শন করা যাবে? মাঝখানে সিঁড়ি নষ্ট হওয়ার ফলে বাদশাহ যে বাকী পথ সিঁড়ি দিয়ে হেঁটেই নামতে বাধ্য হন- এ ঘটনায় প্রমাণিত হয় বিমান থেকে নামার জন্য সোনার তৈরি চলন্ত সিঁড়ি নিয়ে আসা ছিল ¯্রফে অপচয়, যা ইসলামে কঠোরভাবে নিষিদ্ধ।
আমরা এসব কথা বলছি এ কারণে যে, সৌদি আরবে আজ যারাই রাজত্ব করুন, এটি সেই দেশ যেখানে একদা জন্ম গ্রহণ ও মৃত্যুবরণ করেন সমগ্র মানব ইতিহাসের মহত্তম ব্যক্তি শেষ নবী হজরত মুহম্মদ (সা.), যাঁর উম্মত হবার কারণে আমরা নিজেদের ধন্য মনে করি। যে মহামানবের পদধুলিতে একদা ধন্য হয়েছে আরবের মাটি তাঁকে বাংলাদেশের জনগণ কতটা সম্মান করে, ভালবাসে, তা ফুটে উঠেছে বাংলাদেশের জাতীয় কবি কাজী নজরুল ইসলামের কবিতায়, যেখানে তিনি বলেছেন :
“দূর আরবের স্বপন দেখি বাঙলা দেশের কুটির হতে
বেহোঁশ হয়ে চলছি যেন কেঁদে কেঁদে কাবার পথে।
হায় গো খোদা, কেন মোরে
পাঠাইলে কাঙাল করে
যেতে নারি প্রিয় নবীর মাজার শরীফ জিয়ারতে?
স্বপ্নে শুনি নিতুই রাতে যেন কাবার মিনার থেকে
কাঁদছে বেলাল ঘুমন্ত সব মুসলিমেরে ডেকে ডেকে।
ইয়্যা এলাহি! বল সে কবে
আমার স্বপন সফল হবে,
(আমি) গরীব বলে হব কি নিরাশ মদিনা দেখার নিয়ামতে \”
আরব দেশকে এবং আরবের মানুষদের আমরা শ্রদ্ধা করতে চাই এ কারণে যে সে দেশে জন্মগ্রহণ করেছিলেন এবং ওফাতের পর শুয়ে আছেন সে মাটিতেই ইতিহাসের আদর্শতম মানুষ হজরত মুহাম্মদ (সা.)। কিন্তু তিনি তো আমাদের বিলাস-ব্যসনে কালিমালিপ্ত জীবন-যাপনের শিক্ষা দিয়ে যাননি। তিনি সাম্য-ভ্রাতৃত্বের আদর্শ ইসলামের বাণী শুধু আজীবন প্রচার করেই যাননি, নিজেও সে আদর্শ দেখিয়ে গেছেন তাঁর যাপিত জীবনে। আমাদের জাতীয় কবি নজরুলের ভাষায়-
“দ্বীন-দরিদ্র কাঙ্গালের তরে এই দুনিয়ায় আসি,
হে হজরত বাদশাহ হয়ে ছিলে তুমি উপবাসী
(তুমি) চাহনাই কেহ হইবে আমির পথের ফকির কেহ,
(কেহ) মাথাগুঁজিবার পাইবে না ঠাঁই, কাহারো সোনার গেহ,
ক্ষুধার অন্ন পাইবে না কেহ কারো শত দাসদাসী \
(আজ) মানুষের ব্যথা অভাবের কথা ভাবিবার কেহ নাই,
ধনী মুসলিম ভোগও বিলাসে ডুবিয়া আছে সবাই,
(তাই) তোমারেই ডাকে যত মুসলিম গরিব শ্রমিক চাষী \”
জাতীয় কবি কাজী নজরুল ইসলাম যা দুঃখ করে বলে গেছেন, সেটাই যেন মুসলিম উম্মাহর প্রভাবশালী অনেকের জন্য সত্য হয়ে গেছে। রাসূলুল্লাহ (সা.)-কে উদ্দেশ্য করে তিনি বলেছেন :
“তোমার বাণীর করিনি গ্রহণ, ক্ষমা কর হজরত।
ভুলিয়া গিয়াছি তব আদর্শ তোমার দেখানো পথ।
ক্ষমা করো হজরত \
বিলাস বিভব দলিয়াছ পায়ে ধুলি-সম তুমি প্রভু,
আমরা হইব বাদশাহ নওয়াব তুমি চাহনাই কভু।
এই ধরণীর ধনসম্ভার,
সকলের এতে সম-অধিকার,
তুমি বলেছিলে ধরণীতে সবে সমান পুত্রবৎ\”
জাতীয় কবি কাজী নজরুল ইসলাম বাঙলার মাটিতে অবস্থান করেও আরব দেশে নবীজীর রওজায় তাঁর সালাম পৌঁছে দেবার আকুতি জানিয়ে হজযাত্রীদের উদ্দেশ্যে বলেন :
“কাবার জিয়ারতে তুমি কে যাও মদিনায়?
আমার সালাম পৌঁছে দিও নবীজীর রওজায়।
হাজীদের ঐ যাত্রাপথে
দাঁড়িয়ে আছি সকাল হতে,
কেঁদে বলি, কেউ যদি মোর
সালাম নিয়ে যায় \
পঙ্গু আমি, আরব সাগর লংঘিব কেমন করে,
তাই নিশিদিন কাবা যাওয়ার পথে থাকি পড়ে।
বলি, ওরে দরিয়ার ঢেউ
(মোর) সালাম নিয়ে গেল না কেউ।
তুই দিস মোর সালামখানি
মরুর লু হাওয়ায় \”
মুসলিম উম্মাহ তার মুক্তির প্রকৃত পথ ভুলে গিয়ে ধন সম্পদের নেশায় উম্মত হয়ে ভুল পথে ছুটে চলেছে দেখে জাতীয় কবি তাদের সান্ত¦না দিয়ে তাদের প্রকৃত শান্তির পথের সন্ধান দিতে গিয়ে বলেছেন :
“খোদা এই গরীবের, শোনো শোনো মোনাজাত
দিও তৃষ্ণা পেলে ঠান্ডা পানি ক্ষুধা পেলে লবণ ভাত।
মাঠে সোনার ফসল দিও
গৃহ-ভরা বন্ধু প্রিয়
আমার হৃদয়-ভরা শান্তি দিও
সেই তো আমার আব হায়াত \
আমায় দিয়ে কারও ক্ষতি হয় না যেন দুনিয়ায়।
আমি কারুর ভয় না করি, মোরেও কেহ ভয় না পায়।
(যবে) মসজিদে যাই তোমার টানে
(যেন) মন নাহি যায় দুনিয়া প্রাণে,
(আমি) ঈদের চাঁদ দেখি যেন
আসলে দুখের আঁধার রাত \”
জাতীয় কবি আরও যে গান আমাদের কণ্ঠে তুলে দিয়েছেন, তাতে আমাদের আর যেন কোন দুঃখই থাকার কথা নয়। কবির ভাষায়-
“এই সুন্দর ফুল সুন্দর ফল, মিঠা নদীর পানি
(খোদা) তোমার মেহেরবানি
শস্য-শ্যামল ফসল-ভরা মাটির ডালি খানি
(খোদা) তোমার মেহেরবানি
তুমি কতই দিলে রতন
ভাই বেরাদর পুত্র স্বজন
ক্ষুধা পেলেই অন্ন যোগাও
মানি-চাই না মানি \
খোদা! তোমার হুকুম তরক করি প্রতি পায়
তবু আলো দিয়ে বাতাস দিয়ে বাঁচাও এ বান্দায়।
শ্রেষ্ঠ নবী দিলে মোরে
তরিয়ে নিতে রোজ-হাশরে
যেন না ভুলি তাই তো দিলে
পাক কোরানের বাণী
(খোদা) তোমার মেহেরবানি \”
আজ মুসলিম উম্মাহর কেউ এক শক্তিশালী দেশের কেউ অন্য শক্তিশালী দেশের পায়রবী করে পার পাবে বলে যে ভুল পথে অগ্রসর হচ্ছে তা ত্যাগ করে আল্লাহর পথে ফিরে আসার আহ্বান জানিয়ে জাতীয় কবি বলেন :
“ইয়া আল্লাহ তুমি রক্ষা করো দুনিয়া ও দ্বীন
শান সওকতে হউক পূর্ণ আবার নিখিল মুসলেমিন।
আমিন আল্লাহুম্মা আমিন।
খোদা, মুষ্টিমেয় আরববাসী যে ঈমানের জোরে
তোমার ন্যায়ের ডঙ্কা বাজিয়েছিল দুনিয়াকে জয় করে,
খোদা দাও সে ঈমান, সেই তরক্কী, দাও সে একীন
আমিন আল্লাহুম্মা আমিন \
হায়, যে জাতির খলিফা ওমর শাহানশাহ হয়ে
ছেঁড়া কাপড় পরে গেলেন উপবাসী রয়ে
আবার মোদের সে ত্যাগ দাও, খোদা
ভোগবিলাসে মোদের জীবন করোনা মলিন।
আমিন আল্লাহুম্মা আমিন।
খোদা তুমি ছাড়া বিশ্বে কারও করব না ভয়,
তাই এ বিশ্বে হয়নি মোদের কভু পরাজয়
দাও সেই দীক্ষা শক্তি সেই ভক্তি দ্বিধাহীন।
আমিন আল্লাহুম্মা আমিন\”
মুসলিম উম্মাহ তার প্রকৃত মুক্তি ও উন্নতির পথ ত্যাগ করে একবার বর্তমান বিশ্বের দুই প্রধান শক্তির অন্যতম যুক্তরাষ্ট্রের আনুগত্য, অন্যবার রাশিয়া ও অন্যান্য শক্তির আনুগত্য করে পার পাবার যে ভুল পথে অগ্রসর হচ্ছে, সে পথ বাদ দিয়ে সর্বশক্তিমান আল্লাহতায়ালার বিধান মোতাবেক ঐক্যবদ্ধ হয়েই যে বিজয়ী হতে পারবে, নইলে পদে পদে লাঞ্ছনা ও হয়রানি হবে তাদের ললাট লিখন, এ সত্য অনুধাবনের সময়ে যে দ্রæত ফুরিয়ে যাচ্ছে, তা আমরা কবে বুঝতে পারব, তার উপরেই নির্ভর করছে যে আমাদের ভবিষ্যৎ। নইলে মিয়ানমারের রোহিঙ্গাদের দুর্ভাগ্য আরও অনেক মুসলিম দেশ ও অঞ্চলের জন্য যে অপেক্ষা করছে তা অবধারিত।
সৌদি বাদশাহ সালমান বিন আব্দুল আজিজ সৌদি আরবের পুরাতন মিত্রদেশ যুক্তরাষ্ট্রের প্রধান প্রতিদ্ব›দ্বী রাশিয়ার সাথে বন্ধুত্বপূর্ণ সম্পর্ক গড়ে তোলার যে নতুন উদ্যোগ গ্রহণ করেছেন, তাকে বাস্তবে সফল করে তুলতে হলে তাঁকে দু’টি ব্যাপারে সজাগ থাকতে হবে বলেই আমাদের বিশ্বাস। এর একটি হলো কোন স্বাধীন রাষ্ট্রের স্থায়ী বন্ধু বা স্থায়ী শত্রæ থাকে না, এই সত্যে বিশ্বাস। আরেকটি হলো ইসলামের ইতিহাসের গৌরবোজ্জ্বল যুগের দৃষ্টান্ত থেকে শিক্ষা গ্রহণ করে ইসলামী বিধানের আলোকে রাষ্ট্রের আভ্যন্তরীণ ও আন্তর্জাতিক নীতি প্রণয়ন ও অনুসরণ করা।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।