পটুয়াখালীর যুবক ক্বারী সাইয়্যেদ মুসতানজিদ বিল্লাহ রব্বানীর কোরআন তেলাওয়াতে মুগ্ধ যুক্তরাষ্ট্রবাসী
ইসলামি সভ্যতা ও সংস্কৃতি বিকাশে বাংলাদেশের অবদান অনস্বীকার্য। এদেশে ইসলামি সংস্কৃতি চর্চার ইতিহাস অনেক প্রাচীন।
সরকার প্রধান বিচারপতি সুরেন্দ্র কুমার (এসকে) সিনহাকে ‘কারসাজি করে’ সরিয়ে দিচ্ছে বলে মন্তব্য করেছেন বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর। তিনি বলেন, তাঁর (এস কে সিনহা) অপরাধ তিনি সত্য কথা বলতে চেয়েছেন, আইনের শাসন প্রতিষ্ঠা করতে চেয়েছেন, মানুষের অধিকার প্রতিষ্ঠা করতে চেয়েছেন। প্রধান বিচারপতির ছুটি সম্পর্কে বিভিন্ন পত্র-পত্রিকায় গণমাধ্যমে যে সমস্ত বিষয় উঠে এসেছে- এদেশের মানুষ খুব পরিস্কার করে বুঝে গেছে, এটা হচ্ছে আপনাদের (সরকার) কারসাজি, এই কারসাজি করে আপনারা এই প্রধান বিচারপতিকে সরিয়ে দিচ্ছেন। গতকাল (মঙ্গলবার) সন্ধ্যায় জাতীয় প্রেসক্লাবে আয়োজিত এক সভায় তিনি এসব কথা বলেন। শহীদ জেহাদ দিবস উপলক্ষে এ স্মরণ সভার আয়োজন করে শহীদ জেহাদ স্মৃতি পরিষদ।
সভায় মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলেন, আজকে অত্যন্ত দুঃসময়, দেশের ইতিহাসে এরকম দুঃসময় আর কখনো আসেনি। আমার যা কিছু অর্জন একাত্তর সালে সব কিছু তছনছ হয়ে যাচ্ছে, আমার যা কিছু অর্জন নব্বই সালে সব কিছু ধ্বংস করে দিচ্ছে, আমার সমস্ত প্রতিষ্ঠানগুলোকে যা বুকের রক্ত দিয়ে অর্জন করেছি এরা কেড়ে নিয়ে যাচ্ছে হায়নারের মতো। সর্বশেষ আক্রমন বিচার বিভাগ। ওই একটা জায়গা ছিলো যেখানে গিয়ে দাঁড়াতে পারতো মানুষ, সরকারের অন্যায়ের বিরুদ্ধে, শক্তিশালী গোয়েন্দার বিরুদ্ধে, শাসকদের অন্যায়ে বিরুদ্ধে গিয়ে দাঁড়াতে পারতো। সেটাও এখন নেই। এখন যে আপীল বিভাগ, সেই আপীল বিভাগের ষোড়শ সংশোধনী বাতিলের রায়ের পরে ক্ষিপ্ত হয়ে এখন সেটাকে ধবংস করবার জন্য সমস্ত কাজ তারা (সরকার) সম্পন্ন করেছে। এই জাতির মানুষেরা কী সব আহম্মক, বুঝে না কিছু। এর একটাই মাত্র উদ্দেশ্য- তারা (সরকার) এখানে একদলীয় শাসনব্যবস্থা প্রতিষ্ঠা করতে চায়। তারাই একমাত্র থাকবে আর কেউ থাকবে না। ১৯৭৫ সালে তাই করেছিলো, এখন ভিন্ন আঙিকে ভিন্ন মোড়কে একই কায়দায় একইভাবে সমস্ত অধিকার কেড়ে নিয়ে আবার সেখানে শুধু তাদের শাসনকে পাকাপোক্ত করা।
তিনি বলেন, ওরা (ক্ষমতাসীন দল) জানে যদি নির্বাচন হয় নিরপেক্ষ সরকারের অধীনে নিরপেক্ষভাবে, আমাদের বাংলাদেশের সব মানুষরা যদি ভোট দিতে যায় তাহলে কোনো মতেই রাষ্ট্র ক্ষমতায় ফিরে আসতে পারবে না। পারবেন না বলেই তারা সেই নির্বাচন সেই ভাবে হতে দিতে চায় না। ক্যারি ক্যাচার, কারুকার্য ফুটবল খেলায় দেখেন তো আপনারা। সেখানে সেন্টার ফরোয়ার্ড সেই মেসির মতো ড্রবলিং করে বলকে কাটিয়ে কাটিয়ে নিয়ে যায়। এরা হচ্ছে সেই ড্রবলিং করে করে বলকে খালি মাঠে গোল দিতে চাচ্ছে। আমাদের দায়িত্বটা স্পষ্ট- রাজনৈতিক দল হিসেবে, রাজনৈতিক কর্মী হিসেবে দেশপ্রেমিক হিসেবে, গণতন্ত্রকামী মানুষ হিসেবে আমাদের দায়িত্ব জনগনকে সচেতন করা। এই যে ভয়াবহ একটা নীল নকশা সেই নীল নকশাকে পরাজিত করে দিয়ে জনগনের শাসনকে প্রতিষ্ঠা করা, নির্বাচনকে নিশ্চিত করা। এজন্য সকলকে বিশেষ করে তরুন সমাজকে দেশের ওপর চেপে বসা অপশক্তির বিরুদ্ধে ঐক্যবদ্ধ হওয়ার আহবান জানান বিএনপি মহাসচিব।
তিনি বলেন, আমাদের নিজের পায়ে নিজের দাঁড়াতে হবে। অনেক বিপদ আসবে, অনেক ত্যাগ স্বীকার করতে হবে। আমাদের অনেক ভাইকে মেরে ফেলেছে, অনেকে হারিয়ে গেছে, অসংখ্য মিথ্যা মামলা হচ্ছে প্রতিদিন। তারপরও আরো ত্যাগ স্বীকার করতে হবে এবং আমাদের বিজয় অর্জন করতে হবে আমাদের ভবিষ্যতের জন্য, ভবিষ্যৎ বংশধরদের জন্য, আমাদের সবার জন্য। এই প্রত্যায় নিয়ে আমাদের সবাইকে এক সাথে এগিয়ে যেতে হবে। বিএনপি চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা কাউন্সিলের সদস্য ডাকসু‘র সাবেক ভিপি আমানউল্লাহ আমানের সভাপতিত্বে ও নাজিম উদ্দিন আলমের পরিচালনায় আলোচনা সভায় সাবেক ছাত্র নেতা শামসুজ্জামান দুদু, হাবিবুর রহমান হাবিব, ফজলুল হক মিলন, আসাদুজ্জামান রিপন, খায়রুল কবির খোকন, মোস্তাফিজুর রহমান বাবুল, খন্দকার লুৎফর রহমান, সাইফুদ্দিন আহমেদ মনি, আসাদুর রহমান খান, শহীদ উদ্দিন চৌধুরী এ্যানি, হাবিবুল ইসলাম হাবিব, কামরুজ্জামান রতন, আজিজুল বারী হেলাল, এবিএম মোশাররফ হোসেন, মীর সরফত আলী সপু, যুব দলের সাইফুল ইসলাম নিরব, সুলতান সালাউদ্দিন টুকু, স্বেচ্ছাসেবক দলের শফিউল বারী বাবু, আবদুল কাদের ভুঁইয়া জুয়েল, মহিলা দলের হেলেন জেরিন খান, ছাত্র দলের রাজীব আহসান, জেহাদের ভাই কেএম বাশার প্রমূখ বক্তব্য দেন।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।